আমার কোনো যন্ত্রনা নেই। যন্ত্রনাকে বলি হুঁশ। অথচ যখন দাউদাউ করে জ্বলে উঠি উপাধ্যায় হীনা, ছল করি জল আনছি গাগরি।
রমনীটির ঘরে চৌকিটার নিচে স্টোভের গনগনে আঁচে ভাত ফোটে। নুন আর গলাভাত খেয়ে তার আত্মজা ঘুমোতে চায়। খাতা খুলে যেই দেখে রমনী, সামান্য অঙ্কে বেসামাল তার কন্যা। অকারনে জোড়ে, চড় মারে। রমনীটির হাই ব্লাড প্রেসার, ছাতাহীন ভীষন রোদ। স্বামীর কারখানা তেও নিভন্ত কয়লার আঁচ। আমি মায়ের হাত ধরে পৌঁছেছিলাম, তার পাশ করার আশায় অনেকগুলো কাঠি লজেন্স সাথে করে। অথচ তাদের অগোছালো ঘর, থমথমে। যেনো আকস্মিক কোনো মৃতদেহ। বুকফাটা কান্নাকাটি সকলের। মানুষের মৃত্যুর চেয়ে আর বড় ক্ষতিকে আমি চিনতাম না। ছলছলে চোখ নিয়ে দেখি, সারা গালে দগদগে লাল দাগ নিয়ে শৈশবের বন্ধুটি আমায় কাঠি লজেন্স ভাগ করে কিয়ৎক্ষন, ” আনন্দম ” মুখে পুড়ে দিল নিজের আর আমার। শিশুটির মুখের লালায় বেঁচে থাকার স্বর। কালো রাত্রির আঁধারে, আমাকে অকালে বাঁচতে শিখিয়েছে।