পুরুষগুলো উদয়াস্ত খেটেখুটে ঘরে ফেরেন খানিক বিশ্রাম নিতে, বলা ভালো, পরেরদিনের জন্য রসদ জোগাতে। শুধু পুরুষই বা বলি কেন- বাজারদর সামালাতে আজকাল মহিলারাও নেমে পড়েছেন কাঁধে কাঁধ মেলাতে! এব্যাপারে হাউজ-ওয়াইফদের ভূমিকাও কিছু কম নয়, সংসারের খরচ বাঁচিয়ে দুপয়সা সাশ্রয় করাকেও একপ্রকার আয়ই বলে।
আজকের গল্পের ‘শেফালি’ তেমনই একটি চরিত্র যে ঘর-গেরস্ত-সর্বস্ব একজন গৃহিণী। গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে তার স্বামী সুবল।
*****
সুবল সাউয়ের বাড়ি নদিয়ার শান্তিপুরে। একছেলে-একমেয়ে নিয়ে সুবল আর শেফালির “সুজলাং সুফলাং…. শস্যশ্যামলা”-এর মতো সবুজ-সতেজ সংসার! সেকারণেই বিমল আর পরিমলের বউয়ের মতো শেফালিকে কোনওদিন বাবুদের বাড়িতে গিয়ে এঁটো ঘাটতে হয়নি!
“ঘর তুমি চালাবা, ঠেইল্লা নিয়া যাওয়ার দায়িত্ব আমার। তা যে-ভাবেই হউক না ক্যন”!
শেফালিও কোনোদিন সুবলের কথার অমান্য করেনি। সূর্য উদয় থেকে অস্ত যাওয়া পর্যন্ত পুরো সংসারটা সামলায় একহাতে। ফলে সন্ধে হতে না হতেই বেচারি ঝিমিয়ে পড়ে! স্বামী ঘরে ফিরে এলে তাকে একটু যত্নআত্তি করার মতো মন বা শরীর- কোনটাই আর তখন সঙ্গ দেয় না! সুবলের কাজের ধারাটা যে অন্যরকম। ওর দিন শুরু হয় সকাল ন’টায়, আর শেষ হতে হতে রাত বারোটা, কখনও কখনও তেরটাও হয়। এসব অবশ্য রোজ নয়, উৎসব-পার্বণেই হয়। তা নাহলে তাঁতঘরের সেই আটঘণ্টা। তবে সুস্থ এবং পেটানো গড়নের কারণে সুবলের কাজ প্রায় সারাবছরই থাকে। বিশেষ করে মহাজনদের বউদের কাছে। ঠিকাদারকে তাঁরা বলেই রেখেছেন- “পাঠালে সুবলকেই পাঠাবেন, ওর উপযুক্ত পারিশ্রমিক দিয়ে দেব”!
এখানেই তো শেফালির যত আপত্তি! বিশেষকরে গোবিন্দ’খুড়োর ঐ কচি বউটাকে নিয়ে! ওঁর কু-নজর থেকে কিছুতেই আর সুবলকে সরানো যাচ্ছে না!
“ব্যাটাখেকো-রাক্ষসীডা ঘন ঘন তোমারে ডাকতে লোক পাঠায়! বুইড়া স্বামীডা তো কোনও কম্মেন্না! দিনরাত খালি আফিং খাইয়া পইড়া থাহে! তাই বুইল্লা কি হেয়ার দায় নেবে আমাগো সুবল সাউ? গেরামে আর কোনও মরদ নাই না কি”?
শেফালি এখানেই ক্ষান্ত হয় না, সুবলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও খানিকটা এগোতে থাকে-
“তোমারে আমি পই পই কইরা কইয়া দেতে আসি- ভুলেও যদি কোনোদিন কমলা সুন্দরীর ঘরে গ্যাসো, তয় ঘরে ফিররা দ্যাগবা- আমি-পালান-টুসি কেউইই আমরা ঘরে নাই! এককাপড়ে সোজা রানাঘাট! এই আমি কইয়া থুইলাম”!
সুবল এমনিতেই খুব কম কথার মানুষ, তারওপর সকালের প্রথম চা’য়ে চুমুক দিতে দিতে খানিক মুড়ি ফেলে তৃপ্তি করে খাচ্ছিল! শেফালির এমনসব বিটকেল কথা শুনে বিরক্ত হয়ে বলল-
“সকাল সকাল আবার ঐ এএক নোংরা প্যাচ প্যাসা আলোচনা শুরু কল্লা? কতবান্না কইসি- ঐসব কেচ্চার মইদ্যে আমারে তুমি টানবা না”!
“শক কইরা তো আর টানি নাই, এহান-ওহান থিয়া অনেক কতাই আমার কানে আয়, তাই কইলাম”!
তবুও সুবল উত্তেজিত না হয়ে ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে বলল-
“বেলে মাসের মতোন যেহানে যাআআ পাও হেয়াই যদি গেলতে শুরু করো, তাইলে তো এমনডাই হইবে! অকম্মের ঢেকিগো লগে এইসব নোংরা আলোচনায় সুর না মিলাইয়া ঘরে বইয়া টুসি’ডারে একটু অ-আ-ক-খ শিখাইলেও তো পারো”!
একথা বলে কোনোরকমে চা-মুড়ি গিলে নিয়ে নিজের কাজে বেরিয়ে গেল।
শেফালিরও মেজাজটাও খারাপ হয়ে গেল! মনে মনে ভাবল- “সত্যিই তো, নিজের নামে রোজ রোজ এমন কেচ্চা শোনতে কার ভালো লাগে! অরা কি আমারে মিথ্যা কইল! এট্টা পোমান পাইলে খুব ভালো হইত! কোনও পোমান সারাই শুদা শুদা নিজেগো মইদ্যে এই অশান্তি ঠিক হইতে আসে না বোদয়! মাঝখান থিকা আমার দাদার কানে যদি এইসব কতা ওঠে তাইলে তো এট্টা অনথ্য হইয়া যাইবে”!
এমন সময় জ্যান্ত অনর্থ এসে হাজির হলেন শেফালির উঠোনে!
তখন দাওয়ায় বসে পালান টুসিকে স্লেট-পেন্সিল দিয়ে ব্যস্ত রেখেছিল, আর নিজে “কুমোর পাড়ার গরুর গাড়িতে” চড়ে সারা হাঁট ঘুরে বেড়াচ্ছিল। ওঁকে দেখেই তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে গিয়ে মা’কে খবর দিল- “গোবিন্দ’দাদুর সুন্দরী দিদিটা আইসে গো মা! বাবারে ডাকতে কয়”!
সুন্দরী কমলার মিষ্টি গলা ততক্ষণে শেফালির কানে পৌঁছে গেছে- “ও শেফালি একটু বাইরে আয় না রে বোন! সুবল ঘরে আছে না কি”?
“আসলে সবাইকে দিয়ে সব কাজ হয় না রে। হাতের সামনে পরিমলই তো ছিল, কিন্তু ওকে আমার ঠিক পছন্দ নয়। তাই বলছিলাম- পয়সা নাহয় একটু বেশিই দেব, আমার কাজটা যেন সময় করে গিয়ে একটু করে দিয়ে আসে”!
“এই দেখো, ওর কাজ তোকে বুঝিয়ে লাভ কী? ওর কাজ ও ঠিক বুঝে নেবে! ওস্তাদ ছেলে সুবল! তোদের খুড়োকে তোরা জানিস ভালো করে, কোনও একটা কাজ যদি ঠিক করে করতে পারে”!
একথা বলে কমলা বেরিয়ে গিয়েও আবার ফিরে এলেন-
“কথায় কথায় এটা দিতেই ভুলে যাচ্ছিলাম রে। কাল তাহেরপুর থেকে আমার ভাই এসেছিল, মস্ত এক ঝুঁড়ি আম নিয়ে! তুই-ই বল শেফালি, দুইলোকের এত আম দিয়ে কী করব? তাই পাড়ার সব বাচ্চাদের বিলিয়ে দিচ্ছি”!
“আমাগো আমই তো আমরা খাইয়া শ্যাষ করতে পারি না, তোমার আম খামু কহন”?
প্রাণপণ চেষ্টা করে দুটো হাত জড়ো করে শেফালি যে পরিমান আমের কথা বোঝাতে চাইল তাতে দু’ থেকে তিনটের বেশি আম ধরে না!- সেটা বড় কথা নয়। “যার-তার দান যে সে গ্রহণ করে না” – সেটা যে ঠারেঠোরে সুন্দরীকে বোঝাতে পেরেছে- সেটাই বড় কথা!
কমলাও আটক্লাস পাশ দেওয়া মেয়ে, শেফালির মন পড়তে ওঁর খুব একটা অসুবিধা হয়নি। তাই ঠোঁটের কোণে হাসি লুকিয়ে রেখে বললেন-
“আচ্ছা ঠিক আছে, এনেই যখন ফেলেছি, আজকের দিনটা অন্তত রেখে দে ভাই”!
হাত বাড়িয়ে নেওয়ার ভদ্রতাটুকুও শেফালি দেখাল না! বাধ্য হয়ে কমলা সুন্দরী ব্যাগটা তুলে ছেলেটার সামনে আমগুলো ঢেলে দিয়ে বাচ্চাদুটোকে আদর করে ঘরের দিকে রওনা দিলেন।
কমলা সুন্দরী উঠোন ছেড়ে বেরোতেও পারেননি, শেফালি গজগজ করতে করতে আমগুলো আঁচলে তুলে নিয়ে গিয়ে সোজা আবর্জনার মধ্যে ফেলে দিয়ে এল!
মায়ের অমন রাগ দেখে টুসি’টা ভয় পেয়ে দাদাকে গিয়ে জাপটে ধরল!
****
তখন মাঘ মাস, বিয়ের মরশুম। ৪-নম্বর কলোনির মনোতোষ’কাকার বড়মেয়ে ‘টুকাই’-এর বিয়ে লেগেছে। পাড়াশুদ্ধু লোক সেখানে নিমন্ত্রিত! আমরাও! সপরিবারে!
ছেলেমেয়েরা আগেই চলে গেছে। আমরা দুজনে সব কাজ সেরেঠেরে শীত-পোশাকে চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত ঢেকেঢুকে নিয়ে বিয়েবাড়ির দিকে এগোচ্ছি।
মনোতোষ’কাকা সম্পৎশালী লোক, মেয়ের বিয়েতে খরচা করবেন তাতে আর আশ্চর্যের কী আছে! তবুও, আগ্রহ তো একটা আছেই! এগোতে থাকলাম গোগ্রাসে আগ্রহ গিলব বলে! আমার ক্যামেরা আমার থেকে শতগুন আগ্রহী, সেও এগোতে লাগল আমার আগে আগে!
“গেটের সামনে অত জটলা কেন গো? বর এল না কি”?
“তা হবে কেন? গোধূলি লগ্নে বিয়ে, বর- বরযাত্রী এতক্ষণে এসে বাসি হয়ে যাওয়ার কথা। অন্য কিছু হবে”!
কাছে গিয়ে আমরা হতবাক হয়ে গেলাম!
তাগড়াই চেহারার একজন প্রহরী গেটের সামনে দাঁড়িয়ে। শিল্পীর নিখুঁত শিল্প-শৈলী “হাঁ” করে দেখতে লাগলাম! মাটির প্রলেপ দিয়ে পুরো শরীরটা ঢাকা হলেও শরীরের প্রতিটি পুরুষালি সৌন্দর্য্য যে-ভাবে ফুটে উঠেছে তাতে করে কোনও নারী-মন আকৃষ্ট নাহয়ে পারে না!
কিন্তু অবাক কাণ্ড- হাজার আলোর বিচ্ছুরণও স্ট্যাচুটিকে বিন্দুমাত্র বিচলিত করতে পারল না! সে বুক টান করে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে অপলক দৃষ্টিতে!
গিন্নিকে বললাম- “ভাবতে পারো, এই কনকনে ঠান্ডায় কীভাবে একজন মানুষ একাজ করতে পারেন”!
“আজকাল এটার খুব চল হয়েছে দেখছি! পয়সাওয়ালা লোকজন কোনও অনুষ্ঠান পেলেই এঁদেরকে ভাড়া করে নিয়ে আসেন”!
পাড়ার ছেলেছোকরা’রা নানান অছিলায় ওঁকে নাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে লাগল, আমরা বুঝিয়ে সুজিয়ে ওদের বিরত করলাম। ওঁর কিন্তু কোনও হেলদোল নেই! হিমালয় পর্বতের মতো নির্ভীক চিত্তে নিজের কাজে ধ্যানস্থ রইল!
বিয়েবাড়িতে পৌঁছে প্রথমে ওঁকেই ক্যামেরা বন্দি করলাম! মনে মনে ভাবলাম- “ছবিটি কোনও প্রদর্শনীতে দেওয়া যাবে”!
ভিতরে ঢুকলাম!
টুকাইকে আশীর্বাদ করে ঘুরে ঘুরে সব দেখতে লাগলাম। সত্যিই, বিয়েবাড়ির প্যান্ডেলের সাজসজ্জা যেন কলকাতাকেও হার মানিয়ে দিল!
“অর কতা আর কইও না কাকি, আমাল্লগে কবে কোন অনুষ্টানে ও গ্যাসে? রোজই অর কাম থাহে!
“আজকের দিনটা অন্তত কাজে না গেলেই পারত রে, পাড়ার মধ্যে এরকম একটা বিয়ে…..”
“কী আর কমু কাকা, তাহেরপুরে এট্টা বড় কাজ আসে, মুজুরিও অনেক বেশি! তাই সেহানে গ্যাসে”!
কথা বলতে বলতে ওর চোখের কোণ দুটো চিকচিক করে উঠল! ওকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বললাম-
“কী করবে বল, দিনকাল যা পড়েছে, রোজগারের দিকটাও তো ভাবতে হবে? মন খারাপ করিস না শেফালি, দেখা হলে অবশ্যই বলব- এ-ভাবে দিনেরপর দিন অমানুষিক পরিশ্রম করলে উপার্জনের সব টাকাই তো আমাদের উপেন ডাক্তারকে দিয়ে দিতে হবে”!
গিন্নি আমার হাত চেপে ধরে বললেন-
“দেখো দেখো- কারা এসেছেন”!
তাকিয়ে দেখি সস্ত্রীক উপেন কাকা এবং তাঁদের সঙ্গে আমাদের গোবিন্দ’খুড়ো। ‘আফিং-খুড়োকে’ সোজা হয়ে হাঁটতে দেখে আমরা সকলেই অবাক হয়ে গেলাম! একটু এগিয়ে গিয়ে কুশল বিনিময় সেরে জিজ্ঞেস করলাম-“তুমি একা কেন গো খুড়ো, আমার সুন্দরী’খুড়িটি কোথায় গেলেন”?
“আর বলো কেন সমর, একটা জরুরি কাজে আজই আবার ওকে তাহেরপুর যেতে হল”!
ওঁর কথা শুনে আমরা দুজনে চোখ চাওয়া-চাউই করলাম! হয়তো শানাইয়ের শব্দে খুড়োর কথাটা শেফালির কানে গিয়ে পৌঁছয়নি! তাহলে বিয়েবাড়িতেই একটা হুলুস্থুল কাণ্ড বাঁধিয়ে দিত!
উপেন কাকাকে দেখে শেফালি এগিয়ে এলে কাকা জিজ্ঞেস করলেন-
“হ্যাঁ রে শেফালি, সুবল শরীরের প্রতি যত্ন-ঠত্ন নিচ্ছে তো”?
হ্যাঁ গো কাকা, নেচ্চে। তুমি বলার পথ্থেকে আর মোটে ঠান্ডা লাগাচ্চে না। সবসময় গরম কাপড় গায়ে রাখে”!
“তাহলে তো খুবই ভালো। আসলে কী বল তো- ঠান্ডা একবার লেগে গেলে সহসা সারতে চায় না”!
আমাদের দিকে নজর পড়তেই মনোতোষ’কাকা ছুটে এলেন। শেফালি আমাদের আড্ডা থেকে সরে গিয়ে বাচ্চাদের নিয়ে ভিতরে চলে গেল।
আমি ঠাট্টা করে মনোতোষ’কাকার উদ্দেশে বললাম- “নতুন পাজামা-পাঞ্জাবিতে তোমায় দেখাচ্ছে খুব ভালো! কাকিমাকে সঙ্গে নিয়ে দাঁড়াও না একটু ক্ষণ, একটা ছবি তুলি”!
কাকা আনন্দে গদগদ হয়ে বললেন-
“সত্যি সমর, পারোও বটে! মেয়ের বিয়েতে এসে কিনা তুমি বাপ-মায়ের ছবি নিয়ে পড়লে”!
সকলের ‘হো হো’ হাসি~ খানিক স্মৃতিচারণ~আমার ক্যামেরা-শাটারের মুহুর্মুহু শব্দ এবং সবশেষে মনোতোষ’কাকার পিঠ চাপড়ে বাহবা দেওয়ার পালা- সব নিয়ে অনেকটা সময় কেটে গেল। ‘ছ’মাসের আনন্দ চেটেপুটে সঙ্গে নিয়ে যে-যার ঘরে ফিরব’- এমনই ইচ্ছে !
বর যাত্রীদের বিদায় দিতে মনোতোষ’কাকা ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। উপেন’কাকা-কাকিমা আর গোবিন্দ’খুড়ো বর-কনেকে দেখতে ভিতরে ঢুকলেন। ওঁরা ফিরে এলেই আমরা একসঙ্গে খেতে বসব- এমনই কথা হল। এমন সময় শেফালি কাঁদতে কাঁদতে ছুটে এল- ওর মেয়েটাকে নাকি পাওয়া যাচ্ছে না!
“সে কী রে, ও তো তোর কোলেই ছিল, তাহলে গেলটা কোথায়”?
কখন যে বাচ্চাটা কোল থেকে নেমে গেছে শেফালি তা মনেই! করতে পারছে না, বেচারি কেঁদেই যাচ্ছে!
সারাবাড়ি খোঁজা শুরু হল- প্যান্ডেলের কোত্থাও নেই!
অনেক রাত হয়েছে, রাস্তাঘাট ফাঁকা! হঠাৎ শেফালির কী মনে হল- ছুটে গেল ঐ স্ট্যাচুটার দিকে! ওর পেছন পেছন ছুটলাম আমরাও..!
গিয়ে দেখি একরত্তি মেয়েটা ঐ স্ট্যাচুর পা’টা জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে! কিছুতেই ওকে ওখান থেকে টেনে আনা যাচ্ছে না!