স্বপ্নের ফেরিওয়ালা
নবু
আমি স্বপ্নের ফেরিওয়ালা,
ঘুরে বেড়াই দেশ-বিদেশ।
ফুটপাতের পরে, যেখানে ঘর বেঁধেছে অন্ধকার,
সেখানেও ছড়াই স্বপ্নের আলোকার।
ঝুপড়ির ছাউনিতে, ভেঙে পড়া দেয়ালে,
আমার স্বপ্নের ডাক শোনে সবাই।
শিশুদের চোখে জ্বলে আশার আলো,
যখন বেচি তাদের রঙিন স্বপ্নের পসরা।
একদিন এমন এক ছেলের সাথে দেখা,
ফুটপাতের ধুলোয় মাখামাখি তার দেহ।
ক্ষুধার্ত চোখে তাকিয়ে আমার দিকে,
এক মুঠো অন্ন দেয়না কেউ তাকে,
বলে উঠল, “দাদা, দাও আমাকে একটা স্বপ্ন!”
হৃদয় কেঁপে উঠল আমার,
দিয়ে দিলাম তাকে একটা স্বপ্নের বীজ।
বলে দিলাম, “শোনো বাবা,
এই বীজ যত্ন করে রোপণ কর তোমার মনে।
সেখানে ফুটবে সুন্দর ফুল, দেখবে জনে জনে,
তোমার জীবন হবে আলোকিত, সুখের ঘড়াপূর্ণ।”
ছেলেটি আনন্দে ঝাঁপিয়ে পড়ল,
বীজটি চেপে ধরল বুকে।
আমি বিশ্বাস করি, সে তার স্বপ্ন পূরণ করবে,
একদিন উজ্জ্বল আলোয় সে নিজেকে সাজাবে।
ফুটপাতের পরেও স্বপ্নের আকাশ বিস্তৃত,
আমি ছড়িয়ে যাব স্বপ্নের বীজ অবিরাম।
যতদিন বেঁচে থাকব,
থাকবে আমার এই পেশা,
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হয়ে ঘুরে বেড়াব দেশ-বিদেশ।
এটাই যে আমার এক মাত্র নেশা।
—oooXXooo—