বিবেক
স্বপ্না নাথ
বিবেক ঘুমিয়ে আছে,
নরম বিছানায়,আয়েসে।
মাঝে মাঝে পাশ ফেরে,
মাথাও হয়তো তোলে,
হয়তো দু ফোটা অশ্রু ও ঝরে,
তুই পা ঝুলিয়ে দেয়,
প্রতিবাদের সুরে,
আবার পাশ ফেরে সুরক্ষিত শয্যায়।
যুগে যুগে নারী কড়া নাড়ে বিবেকের দরজা য়,
তার জঠরে সৃষ্ট মানব কুলের পদপ্রান্তে যাচনা করে মাতৃত্বে সম্মান।
কত বানতলা, কত কাম দুনি, কত নির্ভয়া, কত হাসরত, কত বারাসাত কত কলঙ্কিত ইতিহাস।
এক দরজা থেকে আরেক দরজায় ছুটে যায়, ছুটে যায়, সুপ্ত বিবেকের কপাটে শত করাঘাত।
প্রতিদিন, প্রতিদিন, অনুভূতিহীন, অবিচারের প্রহসন,
শোষণের স্বার্থপরতায়,
বিকৃত মানসিকতায়,
দলা পাকানো মাংস, রক্ত, হাড় অভ্যাসে দাঁড়ায়।
সীতার পৃথিবী আজও বিদির্ন হয়,
দ্রৌপদী আজও বস্ত্রহিনা,
নারী মাংস ভোজে এখনো সমান গৃধের লোলুপতা।
পাশবিক, সে কি বলা যায়?
কাক কি কখনো কাকের মাংস খায়?
হায়রে বিবেক!
কবে হবে তব জাগরন?
কবে সব্যসাচীর মত দুহাতে রুখে দাঁড়াবে জননীর সুরক্ষায়!
কবে মহাদেবের মতো তান্ডবে ধরণী প্রকম্পিত করবে সতীর আত্মাহুতি র প্রতিবাদে!
এসো উজ্জ্বলিত করো বহ্নিশিখা,
আহুতি দাও লালসা, নৃশংসতার আদিমতাকে।
এসো জাগো,
বিশ্ব মাতৃত্বের দীক্ষায় দীক্ষিত করো বিবেকের সকল কিরন।
খুলে দাও অন্ধ অক্ষ,
মায়ের জন্য অসূর নিধনের ব্রত হোক সংকল্প।
—oooXXooo—