পরাধীনতার শৃংখল ছিঁড়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতনে প্রাপ্ত স্বাধীনতার মাঝেও প্রচ্ছন্ন বিভ্রান্তি পায় প্রকাশ। স্বাধীন দেশের স্বাধীন প্রজা তখনও দেশ শাসনে দ্বিধাগ্রস্থ স্বাধীনতার দুই বছর পাঁচ মাস এগারো দিন পর দেশবাসী পেল এক উজ্জ্বল বার্তা- সাধারণ প্রজাতন্ত্র দিবসের স্বীকৃতি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ শাসনের পথ হ’ল প্রশস্ত, উদ্ভূত সকল অসন্তোষের মাঝে সকল স্বাধীন প্রজা তখন পেল এক দিশা। তবুও আজ ছিয়াত্তর বছরেও প্রজাতন্ত্র দিবসের ব্যাখ্যার ব্যর্থতায় পেতে হয় লজ্জা। ফিরে দেখায় -স্মৃতিপটে জেগে ওঠে উনিশশো সাতচল্লিশের পনেরই আগস্ট আর উনিশশো পঞ্চাশের ছাব্বিশে জানুয়ারি ”স্বাধীনতা দিবস” আর “প্রজাতন্ত্র দিবস” এর আত্মপ্রকাশ। আজ ভাবতেও অবাক লাগে যে স্বাধীনতার জন্য দেশের প্রজারা দিয়েছে রক্ত বিপ্লবী ক্ষুদিরাম ফাঁসির মঞ্চে হাসিমুখে হয়েছেন শহীদ সেই দেশের প্রজা হয়েও প্রজাতন্ত্র দিবসের ব্যাখ্যায় আমরা অনেকেই হই ব্যর্থ কিংবা দিই ভুল বার্তা। সংবিধানের সংগঠিত যে বুনিয়াদকে সামনে রেখে- দেশ চলবে সম্মুখে আজ প্রজাতন্ত্র দিবসে সকল প্রজাই হয়ে উঠুক এই দিনের যথার্থ সঠিক বোধোদয়ের নিমিত্তে সরব- জেগে উঠুক তাৎপর্যের প্রকৃত অনুভব——!!