মুক্ত মনা
শ্রী নীলকান্ত মণি
মন, তুমি যদি কভু কারো কে
দিতে চাও কিছু
দিয়ে দিও দ্বিধা-হীন ভাবে
অগ্র-পশ্চাৎ না ভেবে৷
হিসেবী মন বেশী ভুল করে৷
কোন আকাঙ্খা না রেখে
কোন দিন যদি
তুমি কাজ করতে পারো, মন কি শরীর
ক্লান্ত হবে না কোন মতে৷
একটি জীবৎ কালে
তোমার বয়স যতোই বেড়ে যাক
সে কখনোই পরাতে পারে না
বয়সের ফাঁস
তরুণ সবুজ তাজা মুক্ত
মনের গলা তে৷
‘না’ এই শব্দের দৌলতে
কেউ কোন কাজে
রত বা বিরত হতে পারে৷
বস্তুত, বাস্তবে সেটাই কিন্তু ঘটে৷
কোন কাজে বিরত থাকার অর্থ
অন্য কাজে প্রবৃত্তি বোঝায়৷
‘না’ এই শব্দ টির আগে পিছে
যারা বসে আছে, বসে থাকে
প্রবৃত্তি ও নিবৃত্তির প্রকৃত নিয়ন্ত্রক
একমাত্র তারাই৷ উপেক্ষিত তারা
ঘটায় যতেক গোলমাল সময়ান্তরে৷
হ্যাঁ শব্দটি সময়ের পথ বেয়ে কোনদিন
উতরে দিলেও দিতে পারে
‘না’ শব্দটি বড় বিটকেলে,
অসমর্থ লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে! কী করে বা
ভরসা রাখি তারই উপরে!
ওরে মন, তুই তবে থাক ঝুঁকে
এক রোখা হ্যাঁ এর উপরে৷
‘না’ এর চরণ যদি রাখো
কোন এক স্বপ্ন-নাও এর উপর
সে তখন হ্যাঁ হয়ে যায় প্রকারান্তরে৷
একসঙ্গে হ্যাঁ এবং না এই দুইটি চরণ
যদি রাখো দুইটি নাও এর উপর
জলের তাড়না, এ ক্ষেত্রে মনের,
বিচলন ঘটিয়ে দেবে, রুখতে পারবে না
নাও দুটি কে এক থাকতে দেবে না
ক্রমে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাবে,
নির্ঘাত ডুবিয়ে দিতে পারে
গভীর সে অম্বু সমুদ্র তে৷
সে বিপদ থেকে উদ্ধারের পথ
কি ভাবে পাওয়া যাবে!?
চলবে না চলবে না তা তো বুঝলাম
এ কথার মর্ম বুঝে নিতে গিয়ে
যদি দেখো কি চলবে সে কথা টা
উহ্য রয়ে গেছে
হে মন পথিক, তবে
তুমি একটু সাবধানে থেকো!
যখন যেদিকে খুশি তাড়না র ফল
বিষ ময় ও হতে পারে!?
মন তুমি মনে রেখো
যে কোন মানব
মনের মাঝেই
মুক্ত কিম্বা বদ্ধ হয়ে থাকে৷
—oooXXooo—