এসো আজ একটা গল্প বলি গল্পের নাম বিসর্জন আদুরে মেয়ে পাড়া বাড়ি কিংবা কলেজ চিন্ময়ী লক্ষ্মীও বা।
বাতাসের পায়ে পায়ে তখন রুনুঝুনু রুনুঝুনু ঝুনঝুন নূপুর ডাগর কালো শারদ চোখ নতুন প্রাণে বাঁচা একরাশ শিউলি কাশের খুশীকে কাজল করে প্যাণ্ডেলে প্যাণ্ডেলে প্রথম যৌবন দীর্ঘ ঘুম রাতের পর শারদ ঊষা পঞ্চমী গতকালের ব্যস্ততার আলতো ছোঁয়াটুকুও এখন আর নেই প্রাণময় চঞ্চল একটা দিন লোকাল ট্রেন ভরে প্যাঁজা তুলো ফুরফুর ।
ওর নাম পায়েল একমাত্র সম্বল ভালোবাসাকে সঙ্গী করে ছেড়েছিল ঘর ধরেছিল একটা আকাশ হাত যেন রামধনু কত তার রং । সেখানে রাজার ঘরে যে আনন্দ টুনির ঘরেও তা।
ওরে হতভাগিনী! তারপর ভালোবাসা মরে বাথরুমে ঝুলন্ত দেহ জুড়ে একরাশ আঁধার অত:পর বিসর্জন পঞ্চমীতেই। বাবার কাছে হাত পাততে হবেনা আর কতজনের যেন মুক্তি কাঁটা মুক্তির বোধন।
এবার মা আসছেন নৌকায় আকাশের মুখ ভার মা মেয়ে শুয়েছিল ঘরে খিল এঁটে গভীর রাত ঘুমিয়েছে সকলে কখন দুঃস্বপ্নের বালিশ মাথায় একটা ভ্রমর সারাক্ষণ কানের কাছে ভোঁ ভোঁ যুবতী মেয়ে কীরে রাজি? ভেবে দেখ? প্রত্যুত্তরে ছুড়ে দিয়েছিল সদ্য যৌবনকে একমুঠো বজ্র মেঘ সেই মেঘ থেকে বৃষ্টি নিশুতি রাতে টিন সরিয়ে দরজা সরিয়ে সালফিউরিক জ্বলতে জ্বলতে ঘুমিয়ে যায় মেয়ে চিরদিনের জন্য মায়ের বুক জুড়ে এখন ষষ্ঠী বিসর্জন ।
সিঁদুরের স্বপ্ন বুকে মেয়ে দুচোখে গার্গী অরুন্ধতী দশমী সেতো মন্দাকিনী কুলু কুলু গঙ্গা গঙ্গোত্রী হাতের রেকাবিতে সিঁদুর আর মাধুরী ভরা নারকেল নাড়ু , এই প্রথম মাকে বরণ তারপর পথের এক নির্জনে একটি হাত আরো একটা হাতের মিছিল ডুবতে ডুবতে সব শেষ নিথর ভাসানের মিছিলে আসছে বছর …