এই সময়ে যোগাযোগ করলাম কলকাতায় বউবাজার MERLION MANAGEMENT AND EDUCATION CENTER এর ডিরেক্টর মিঃশান্তনু পোদ্দারের সাথে। অবশ্য ২০১০ সালের ৬ এপ্রিল যখন প্রথম বিদেশে পাড়ি দেয় তখন কলকাতার এই অফিস থেকেই যাবতীয় যোগাযোগ করা হয়।সেই থেকে শান্তনু বাবুর সাথে গড়ে ওঠে এক সুসম্পর্ক।এই সূত্রেই এবারও নবীন স্যারের অনুপস্থিতিতে যোগাযোগ করা হয় তাঁর সাথে। তিনি তখন মুম্বাই।ছেলে তাঁর সাথে যোগাযোগ করে INDIAN CDC প্রস্তুতির জন্য নির্দিষ্ট আবেদনপত্র পূরণ করে GOVERNMENT SHIPPING OFFICE এ জমা করে দেয়।তারপর শুধু অপেক্ষা। কবে হাতে পাবে বহু প্রত্যাশিত এই CDC. ২ রা জুলাই বোনের জন্মদিন। কর্মসূত্রে বিদেশ থেকে কল আসলেই আবার চলে যেতে হবে। সেই কথা চিন্তা করেই বোনের জন্য লোক মারফৎ পাঠিয়ে দিল জন্ম- দিনের উপহার। আমাদেরই এক নিকট আত্মীয়ের এই সময়ে অফিসিয়াল কাজে মুম্বাই যাওয়ায় তাঁর কাছেই বোনের পছন্দমত একটা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন পাঠিয়ে দেয়।এদিকে মায়ের মন বোঝেনা তাই গত পূজায় ছেলে বিদেশে থাকলেও তার জন্য কেনা জামাপ্যান্ট এবং এবারের জন্য আরও একটা করে কিনে এক সাথে পাঠিয়ে দিল।মায়ের পাঠানো জামা প্যান্ট তার খুব পছন্দ হয়। সাথে সাথেই মাকে ফোন করে তা জানায়।মাতৃত্বের টানে মায়ের চোখে তখন আনন্দাশ্রু! আর বোন তখন ফোন হাতে পেয়ে যেন আরও বাচ্চা হয়ে উঠেছে।সে প্রচন্ড খুশি! ফোন করে দাদার কাছ থেকে অপারেটিং শিখে নিতে চায়। বারেবারে ফোন ক’রে না জানা তথ্য জানতে থাকে। যতক্ষণ না রপ্ত হয় ততক্ষণ চলে শিখে নেওয়ার পালা। ছেলে ছোটবেলা থেকেই ছিল একটু আরাম প্রিয়। পড়াশুনা খেলাধুলা ছাড়া বাড়ির কোন কাজে তাকে পাওয়া যেত না। অবসর সময়ে বন্ধু-বান্ধবদের সাথেই কাটিয়ে দিত সময়।পরোপকারী প্রচেষ্টা তার মধ্যে প্রকাশ পেতো বেশি।বিপদে-আপদে সবার আগে দৌড়ে যেত।কলেজে পড়াশুনা করা কালীন কোন কোন সময়ে মায়ের কাছে আবদার করে ভাত মেখে একটু খাইয়ে দিতে বলতো।আমি আবদারের আদিখ্যেতা দেখে প্রচন্ড রেগে যেতাম তবুও তার মা কোন কোন সময়ে দিয়েছে সেই ন্যাকামো আবদারে সাড়া। আজ সেই মা নীরবে নিভৃতে বসে দুঃখ করে।তার খোকা এখন কি করছে,কি খাচ্ছে, খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতো করছে কিনা, অলসতায় অভুক্তাবস্থায় কিংবা অর্ধাহারে কি দিন কাটাচ্ছে?এমন ভাবনায় প্রতিনিয়ত ভাবিয়ে তুলত। অবশ্য প্রতিদিনই ফোনে কথা বলে খবরাখবর নেয় কিন্তু তাতে কি?ফোনে যদি না খেয়ে বলে- আজ এটা খেলাম,কাল খেয়েছিলাম ওটা,সেটাই বিশ্বাস করতে হবে। যখন জাহাজে কর্মরত অবস্থায় থাকে তখন সেই চিন্তাটা করতে হয় না। কিন্তু ল্যান্ডে আসলেই হয় তার অনিয়ম।আর তখনই মায়ের মনে জাগে দুশ্চিন্তা।কোন ভাল-মন্দ জিনিস বাড়িতে রান্না করলে বারবার তার কথা মনে পড়তে থাকে। আমিও বয়স বাড়াতে তার অনুপস্থিতি উপলব্ধি করে বড় অসহায় বোধ করি।ল্যান্ডে থাকাকালীন একদিন ফোন না করলেই বড় ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়তাম।যখন যেখানে যে অবস্থায় থাকুক না কেন যদি জানতে পারি বা বুঝতে পারি যে, সে ভালো আছে তবেই স্বস্তি! ব্যতিক্রম হলেই শুধু বিধাতার উপর দায়িত্ব তুলে দিয়ে শান্তি পাবার চেষ্টা করতাম! শান্তনু বাবুর মাধ্যমে INDIAN CDC এর জন্য আবেদন করে দিন গণনা করে যেতে থাকে। বারেবারে ফোন করে যখন আশানুরূপ কোন সদুত্তর না পাওয়া যায় তখন সে হয়ে ওঠে উতলা। খোঁজখবর নিতে থাকে এখানে ওখানে। ঠিক এই সময় যোগাযোগ হয়ে যায় COCHIN STREET, FORT- MUMBAI-400001 এ POLESTAR MARINE SERVICES PVT LTD এর চেয়ারম্যান রবি স্যারের সাথে। সেই সাথে ডিরেক্টর সুধীর স্যার, ম্যানেজার মিসেস আয়েশা ম্যাডামের সাথে।ফোনে কথা বলার পর অফিসে বায়োডাটা নিয়ে যেতে বলেন।সেই মতো অফিসে গেলে ম্যাডাম তার বায়োডাটা দেখে অবাক হয়ে যান।দয়া মায়া প্রতিটি মানুষের মধ্যেই থাকে।কারো কম- কারো বেশি। ছেলের কাছে সবকিছু শোনার পর ম্যাডামের যেন একটু মায়া বেশি হল! তিনি জিজ্ঞাসা করলেন-” বেটা তোমারা ঘর পর কোন্ কোন্ হায় –?” সেই থেকে শুরু। একটু একটু করে জেগে উঠলো মাতৃত্বের স্নেহ! সেই সুবাদে শুরু হলো অন্যান্য অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ,যা সে কোনদিন ভাবতেও পারেনি। তাঁদের একান্ত আন্তরিক সহযোগিতায় নতুন করে জমা করে INDIAN CDC এর আবেদন পত্র এবং তখনই যেসব তথ্য জানতে পারলো, তাতে নিজেই উপলব্ধি করল- যে পদ্ধতিতে আবেদন পত্র ইতিমধ্যে জমা করা হয়েছে তাতে যথেষ্ট ত্রুটি রয়ে গেছে আর তার জন্যই পরবর্তীতে বাড়ির ঠিকানায় রেজিস্ট্রি ডাকে ফেরত আসে,আগে জমা করা ডকুমেন্টস সহ আবেদন পত্র। আমার মত ছেলেও কারও কাছ থেকে কোন উপকার পেলে কৃতজ্ঞতার সাথে তা স্মরণে রাখে। বেলাপুরে থাকাকালীন হঠাৎ তার ল্যাপটপে বড় রকম ত্রুটি দেখা দিলে সে তখন ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়ে। অপরিচিত জায়গায় কার কাছে গিয়ে প্রতারিত হবে এই আশঙ্কায় বড় বিচলিত।ঠিক এই সময়ে যোগাযোগ হয় মারাঠি যুবক সচিনের সাথে।সে তার ল্যাপটপে সমুদ্রে কর্মরত অবস্থায় বিভিন্ন জাহাজের ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে পড়ে।গভীর সমুদ্রের আরও ছবি দেখবার জন্য উদগীব হয়ে ওঠে।তখন তার মাধ্যমে যোগাযোগ হয় টেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বিবেকের সাথে। তার একান্ত সহযোগিতায় সেই উদ্ভূত ত্রুটি থেকে বিনা অর্থ ব্যয়ে আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এক বন্ধুত্বের বন্ধন।তখন ঐ মারাঠি বন্ধুদের মাঝে বলতে শোনা যায়- “বাঙ্গালী লেড়কা এতনা সাচ্চা হোতা হ্যায়? এ পয়লে মালুম নেহি থা–” দিনে দিনে ওদের বন্ধুত্বের বন্ধন হতে থাকে আরও অটুট।প্রতিদিন যখন আমার সাথে সে কথা বলতো তখন ওদের প্রশংসা শুনে আমারও খুব ভালো লাগতো।ভাবতাম এক দেশ এক প্রাণ এক জাতি -আমরা সবাই ভারতবাসী।সর্বপ্রথম ১১ ই ডিসেম্বর ২০০৫ যখন হাওড়া স্টেশন থেকে রওনা হয়েছিল তখন দুঃখ আতঙ্কে মুষড়ে পড়েছিলাম।”রোজা” চলচ্চিত্রে মুম্বাইয়ের সেই বিভিন্ন সংঘাত মূলক দাঙ্গার ছবি ভাবিয়ে তুলত নানান দুশ্চিন্তা।আর আজ তাদের এই বন্ধুত্বের বন্ধনের খবরাখবরে সত্যিই আমাদের অনেক ভালো লাগলো।বেলাপুরে থাকাকালীন ঐ বন্ধুদের মধ্যে শচীন, প্রমথ,অনিল, সুভাষ, কার্তিক ও অঙ্কিত অন্যতম।তিন মাসের বন্ধুত্বে একে চিনেছে অন্যকে।সেই সুবাদে সেদিন শচীনকে অনেকটাই অন্যমনস্ক লাগছিল।ভীষণ মনমরা অবস্থা ছেলের চোখ এড়াতে পারল না।প্রকাশ পেল তার রহস্য। ২৩ শে আগস্ট ২০১৩ রাত্রি দশটা নাগাদ ছেলে আমায় ফোন করে ঘটনার প্রসঙ্গে জানায়।ঘটনার সূত্রপাত সচিনের প্রেমঘটিত ব্যাপার।ঘটনার বিবরণে ছেলে হয় ভীষণ চিন্তিত।বন্ধুর সুসময়ে বন্ধু পাওয়া যায় অনেক কিন্তু দুঃসময়ে প্রকৃত বন্ধু মিলে কজন?সে সচেষ্ট হল সমস্যার সমাধানে।প্রেম প্রীতি সমাজের সকল স্তরে সকল সময় সংঘটিত হয়।তৈরিও হয় সমস্যা। আবার সমাধানও হয় কিন্তু এই সমস্যা ছিল নানা দিক থেকে বড় জটিল। তবুও সে আপ্রাণ চেষ্টা করলো সমস্যা সমাধানের।তার বুদ্ধির জোরে দুই পরিবারের মাঝে এলো স্বস্তি।ছেলের গুরুত্ব গেল বেড়ে।এমনি করে সে ছেলেবেলা থেকেই বন্ধুদের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছে নিজেকে।এমন কি বন্ধুদের দোষ নিজের মাথায় নিয়ে অন্যদের চোখে সে হয়েছে অপরাধী।তবুও বন্ধু হয়ে বন্ধুত্বের মর্যাদা রক্ষা করে গেছে কিন্তু কালের বিবর্তনে বন্ধুদের সেই দিনের চরিত্র গেছে বদলে। বিনিময়ে পেয়েছে কখনও বড় ব্যথা। কিন্তু ভিন্ন রাজ্যে এইসব বন্ধুদের অকৃত্রিম ভালবাসায় হয়েছে মুগ্ধ।চেষ্টা করেছে অপরের উপকার করে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে সেই ব্যথা কিছুটা হলেও লাঘব করার।এই সময় এদিকে যোগাযোগ হতে থাকে বিদেশের অনেক কোম্পানির সাথে কিন্তু INDIAN CDC না থাকায় কোথাও জয়েনিং করতে পারছে না।সে প্রচন্ড উতলা হয়ে উঠলো।নিরুপায়ে অপেক্ষায় রইলো।অবশেষে হল আশা পূরণ।হাতে পেল বহু আকাঙ্ক্ষিত INDIAN CDC।আমায় ফোন করে জানিয়ে পেল পরম স্বস্তি। সঙ্গে সঙ্গে চীপ কুক হিসাবে প্রয়োজনীয় ট্রেনিং শুরু করল। VASHI PLAZA তে SNS MARITIME INSTITUTE থেকে ট্রেনিং শেষে সংগ্রহ করল PROFICIENCY IN SECURITY TRANING FOR SEAFARERS WITH DESIGNATED SECURITY DUTIES এর প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট। সেই সাথে সমস্ত মেডিকেল করিয়ে FOOD HANDLING ON BOARD SHIP এর FIT CERTIFICATE সংগ্রহ করল।এই সময়ে নানান অফিসে নিয়মিত যাতায়াতে যেন অধৈর্য হয়ে পড়ল।এবার দুবাই থেকে এসে পুনরায় জয়েনিংয়ে এত অপেক্ষার কথা নয় তবুও করতে হলো।দীর্ঘ কয়েক মাস বেকার থাকায় একটু আর্থিক চাপে একটু অস্বস্তি বোধ করতে লাগলো। তবুও নিজে কষ্ট সহ্য করেও আমাদের কাছে সে কথা ব্যক্ত করত না।অবশ্য এই সময় প্রতিদিন কয়েকবার করে বাড়িতে ফোন করে সমস্ত খবরা খবর সংগ্রহ করতো।এই সময়ে পরপর দুইদিন আমাকে নিয়ে মর্মান্তিক দুঃস্বপ্ন দেখে বড় চঞ্চল হয়ে ওঠে।বাড়িতে মায়ের কাছে ফোন করে আমার শারীরিক খবরা-খবর নিতে থাকে।আমাকে ফোন করলে আমি তাকে সান্তনা দিয়ে বুঝাবার চেষ্টা করি,বহুদিন বাড়িছাড়া অবস্থায় অত্যাধিক দুশ্চিন্তা করার প্রতিফলনই এই দুঃস্বপ্ন কিন্তু সে মানতে চায় না।বড় চঞ্চল হয়। ঠিক এই সময়ে প্রতিবেশীদের কথা জানতে চাইলে মা জানায় আমাদেরই প্রতিবেশী খোকাদা, অসীমদা ও চন্দন পালিত পুনেতে অরুন বাবুর বাড়িতে দুর্গাপূজা উপ লক্ষে গিয়েছেন এবং সেখানে কয়েকদিন থাকবেন। এ কথা জেনেই তাঁদের সাথে সাক্ষাতে বাক্যালাপের জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়ে।পরে যখন জানতে পারলাম নভী মুম্বাইয়ের বেলাপুর থেকে পুনে মাত্র এক দেড় ঘণ্টার রাস্তা তখন আমি ফোন করলাম পুনেতে অসীমদাকে। তিনি শুনেই অত্যন্ত খুশি হয়ে তাকে সেখানে পাঠিয়ে দেবার কথা বলেন।সেই মতো ১৪ই অক্টোবর ২০১৩ সেখানে সন্ধ্যায় গিয়ে পৌঁছায়।তাকে নিয়ে আসবার জন্য অরুন বাবু নিজেই ইউনিভার্সিটি মোড়ে গাড়ি পাঠিয়ে দেন।সেখান থেকে সোজা বাড়ি।দীর্ঘদিন পরে বাবার প্রতিবেশী বন্ধুদের কাছে পেয়ে আনন্দে আপ্লুত হয়ে ওঠে।সে যখন সেখানে গিয়ে পৌঁছায় তখন প্রতিমা নিরঞ্জনের প্রস্তুতি চলছে।সেই সময় তাদের অনুরোধে প্রতিমা নিরঞ্জনে অংশ নিয়ে রাত্রে আর বেলাপুরে ফিরতে পারলোনা।পরদিন সকালে তাকে নিয়ে সবাই ঘুরতে গেলেন খান্ডেলা—— সেখানকার মনোরম দৃশ্যে বিভিন্ন পোজে সকলের ছবি তোলে। বিশেষ করে খোকাদা ও অসীমদার ছবির মাঝে যেন আমার প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়।সেখান থেকে সন্ধ্যায় বেলাপুর রুমে পৌঁছে আমাকে জানায় সেই ছবিগুলি আমায় মেইল করে পাঠিয়ে দিয়েছে। যদিও সম্পূর্ণ সুস্থ কিন্তু বয়সের চাপে সম্প্রতি খোকাদার অলস চালচলনে একটু মন্থর গতি এসে যায়। তা দেখে ছেলের মনে খারাপ লাগে।তার নির্দেশ মতো আমি সেই ফটো বড় সাইজের প্রিন্ট বের করে খোকাদা ও অসীমদার হাতে তুলে দিই।ওঁরা খুব খুশি হয় আর এসব ছবি তার ল্যাপটপে স্মৃতি স্বরূপ বন্দী করে রাখে।প্রতিমা নিরঞ্জনের রাতে অরুন বাবুর সাথে ছেলের নানান কথাবার্তায় যখন দুবাইয়ের DULAM INTERNATIONAL কোম্পানির কথা জানতে পারেন তখন তিনি একটু অবাক হলেনও বটে! ছেলে যেসব কোম্পানিতে কাজ করে এসেছে অরুণবাবুও সেখানে কাজ করেছেন আগে। তার ল্যাপটপে DULAM কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মী MR.T.K.UNNI ও MR. THOMAS স্যারের ছবি দেখে ছেলের বক্তব্যে নিশ্চিত হয়ে যান। সব দেখে শুনে তিনি করলেন তার প্রশংসা এবং তার উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করেন। ঠিক এই সময়ে হঠাৎ নতুন করে যোগাযোগ হয় CBD BELAPUR এর BRIDGE VIEW MARITIME PVT LTD এর ডিরেক্টার MR.VIVEK ANAND স্যারের সাথে। তিনি ছেলের বায়োডাটা EMAIL করে পাঠিয়ে দিতে বলেন। সে তা পাঠালে বিবেক স্যার দুবাইয়ে STANDARD MARINE কোম্পানিতে ফরওয়ার্ড করে দেন।তারপর বিবেক স্যারের সাথে সাক্ষাতে কয়েক দিন বিস্তারিত আলোচনার পর যখন সেখানে জয়নিং এর জন্য মতৈক্যে পৌঁছায় তখন ২৫ শে অক্টোবর ২০১৩ সন্ধ্যায় STANFORD MARINE কোম্পানির দুবাই অফিস থেকে ম্যাডাম প্রায় ৪০ মিনিট ধরে তার ইন্টারনেটে ইন্টারভিউ নেন ।প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরে ম্যাডাম খুশি হয়ে- গুড! ভেরি গুড!! বলতে থাকেন। ইন্টারভিউর পর ছেলেও খুব খুশি হয় এবং আমাকে সব জানিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ফোন করে MR. T.K.UNNI কে। তিনি কোম্পানির নাম শুনেই নিশ্চিন্তে নির্ভাবনায় এখানে জয়েনিং করার নির্দেশ দেন। সঙ্গে সঙ্গেই তার জয়েনিংয়ের সিদ্ধান্ত কোম্পানিকে জানিয়ে দিল। শুরু হয়ে গেল প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি—-