শরতের কাশফুল
সুপর্ণা দত্ত
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
রোমানিয়ার আদিবাসী ছন গোত্রীয় ঘাস,
বাংলার রূপ-মাধুর্য্য বাড়ায় ভাদ্র-আশ্বিন দুই মাস।
ধূ-ধূ করা ফাঁকা মাঠে যতদূর যায় চোখ,
বসুন্ধরার শুভ্র বসনেই যেন আগলে রাখে সুখ।
পাহাড়-নদী,উঁচু-নীচু,জলাভূমির দূর-দিগন্ত জুড়ে,
ধারালো চিরল পাতার কাশের ঝাড় ওঠে বেড়ে।
ভাদরের আকাশ, সূর্য সাদা মেঘে ঢাকা,
সেথায় যেন দুর্গা মায়ের আগমনের পথটা আঁকা।
শরতের হিমেল পরশ দোল দিয়ে যায় কাশে,
কাশের দোলে আকাশে বাতাসে আগমনীর সুর ভাসে।
নীল আকাশের নীচে ধবধবে সাদা কাশফুল
দূর থেকে সাদা বলাকার ঝাঁক বলে হয়ে যায় ভুল।
কেবল মন মুগ্ধকারী মাধুরী আকৃষ্ট করে তা নয়,
প্রতিশোধক ও ধর্মীয় আচারেও কাশ ব্যবহৃত হয়।
কখনও জ্বালানি,বা কখনও পান বরজের ছাউনি,
কখনও আয়ুর্বেদিক ওষোধি, বা গায়ের দুর্গন্ধ দূর করনি।
পুরাণ মতে কাশগোত্রীয় কুশের স্থান সবার উপরে,
শান্তির বার্তা বয়ে আনে কুশ মনের কালিমা দূর করে।
প্রকৃতির রোষে ও চাষের প্রয়োজনে মানুষের করা ভুল,
প্রকৃতি প্রেমিক হারাচ্ছে আজ শরতের কাশফুল।।
—oooXXooo–