আত্মনিধন
স্বপ্না নাথ
গুটি গুটি যায় এগিয়ে ওই যে লোভের থাবা,
নিজের হাত নিজেই কাটে বুদ্ধিমান হাবা।
হাতটি গেলে খাবে কি!
অন্ন মুখে যাবে কি?
বৃক্ষ নিধন করে তুমি,
বাতাসটা পাবে কি?
মাঠে মাঠে বিষের ফসল,
কোনটা বিকল, কোনটা নকল,
অলিক ফাঁদে মানুষ সকল,
কৃত্তিমতায় ডুবল আসল।
অট্টালিকায় ডাকে পুকুর,
পাখ পাখালি ধুঁকছে হাপুর।
উদক হিনে পড়ছে ডোবায়,
বিসর্জনের দুর্গা ঠাকুর।
বাতানুকুলে বিত্ত ঘুমে,
টালির ঘরে শিশু ঘামে,
গরম হওয়ার হলকা মিশে,
অক্সিজেনের পারদ নামে।
স্রোতস্বিনীর বক্ষ পরে,
প্রবাহতে বাঁধন পড়ে,
ছন্দ হারা অচল গড়ে,
হড়পা বানে জীবন কাড়ে।
মুঠোফোনে প্রণয় পাশা,
দেয়া নেয়ায় সর্বনাশা,
কেউ চেনে না পাশের বাসা,
মরণ সেথায় নিরব দিশা।
এখন যদি না হয় মতি,
সুখের যদি না হয় যতি,
নোয়ার প্লাবন গল্প নয়,
ভাসবো মোরা ভাসবে ক্ষিতি।
—ooXXoo—