সুবিশাল এক গাছের চিত্র!
গাছ চিরকাল মানব-মিত্র!!
প্রেমাঙ্কুর মালাকার
মাত্র একটি সুবিশাল গাছ,
বিস্তৃত অঞ্চলে –
মহাসমাবেশে হাজির সেখানে,
গ্রামবাসী দলে দলে!
সে গাছ টাঙিয়ে রেখেছে আকাশে,
সুবিশাল সামিয়ানা ;
দারুণ গ্রীষ্মে প্রখর রৌদ্র,
দিতে পারবে না হানা!
এই তরুতল প্রকৃতির দান,
যেন সুবিশাল হল-
এ.সি.নেই তবু জনতা সেখানে,
ঘামবেনা গল গল!
মাথার উপরে পত্র-পুঞ্জে,
বিশাল আচ্ছাদন ;
চারিধার খোলা বাতাস বইছে,
মৃদু মৃদু শন শন!
বাইগাছি গ্রামে সুবিশাল বট,
দেখেছি কিশোর বেলা-
গ্রীষ্মকালেই দেখি বটতলে,
কতো মানুষের মেলা!
বট-ঝুড়ি ধরে শিশুরা ঝুলতো,
দুলে দুলে উদ্দাম!
কতো ফেরিওলা ঠা ঠা রোদে নিতো,
বটতলে বিশ্রাম।
বটতলে শুয়ে গবাদি পশুরা,
জাবর কাটতো টানা-
গ্রীষ্মে দুপুরে পুরো গ্রামবাসী,
বটতলে দিতো হানা!
গাছ মানুষের পরম মিত্র,
চরাচরে সংসারে;
এই গাছ কেটে নিজের পায়েই,
মানুষ কুড়ুল মারে!
আমাজনে আছে অতি বিখ্যাত,
“বৃষ্টি-অরণ্যানি”-
ঘন জঙ্গল বৃষ্টি নাবায়,
মেঘে দিয়ে হাতছানি!
আমাজন বন তামাম বিশ্বে,
প্রাকৃতিক ফুসফুস ;
খনিজের খোঁজে জঙ্গল কেটে,
ফুসফুসে দুরমুশ!
—oooXXooo—