১৮৬৩ সালের ১২ ই জানুয়ারী আমাদের কাছে বিশেষ দিন, প্রতিটি ভারতবাসীর কাছে প্রতি বছর এটি স্মরনীয় ও বরনীয় দিন। সেদিন যে শিশু জন্মেছিলেন কলকাতার সিমলা পল্লীতে, যার মহিমা আজও ছড়িয়ে আছে সারা বিশ্বতে। মাতা ভুবনেশ্বরী দেবী,পিতা বিশ্বনাথ দত্ত বড়ই সৌভাগ্যবান, তাঁদের সন্তান বিবেকানন্দ পেয়েছেন জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ স্হান। তিনি বলতেন, ” জীবে প্রেম করে যেই জন,সেই জন সেবিছে ঈশ্বর”, “প্রতিটি মানুষের দেহের মাঝে বিরাজিছে মন্দির” । জাত পাত,উঁচু- নীচু নিয়ে সমাজে ছিলো যে বিভেদ, তাঁরই কৃপায় কমেছে অনেকটাই বৈষম্যের প্রভেদ। তিনি আমেরিকার শিকাগো ধর্ম মহাসভায় দিয়েছিলেন যে ভাষন, তার দ্বারা বিশ্ববাসীকে করেছিলেন বড়ই আপন। পাশ্চাত্য দেশের কাছে ভারতবর্ষ সম্বন্ধে ছিলো যে ভ্রান্ত ধারনা, সে ভুল ভাঙিয়ে করেছিলেন জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠত্বের অবতারনা। তিনি বিশ্ববাসীকে বেঁধেছিলেন সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধনে, তিনি বলতেন,”গীতা পাঠের থেকে অধিক গুরুত্ব থাকা উচিৎ শরীর গঠনে”। তাঁর কাছে বিবেক,মনুষত্ব ও জীবে প্রেম থেকে কিছু নয় বড়, তিনি বলতেন,” নারী পুরুষ শিক্ষা দীক্ষায় আলোকিত হয়ে ভারতকে গড়ো”। দেশবাসীর আত্মবিশ্বাস ও সচেতনতার জন্য লিখেছিলেন অনেক বই, যা পাঠ করে অনেকেই খুঁজে পেয়েছিলেন স্বাধীনতা অর্জনের মই। আজও তাঁর বানীও মূল্যবান লেখা যেথা হতে আদর্শ,নৈতিকতা ও ভালোবাসা যায় শেখা। যদিও তিনি মাত্র ৩৯ বছর বেঁচে ছিলেন আমাদের মাঝে, তবুও তাঁর বিশাল কর্মযজ্ঞের দৌলতে,তিনি রয়েছেন সকলের হৃদয় মাঝে। তিনি ভারতবর্ষের মহান সন্তান, তাঁর জন্মদিনে তাঁকে মোদের অন্তর হতে জানাই লাখো লাখো প্রনাম।।।