২০২২-এর শারদোৎসব শুরু হতে আর হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা দিন। উৎসবের এই পাঁচদিন কেটে যাবে হৈ হৈ করে আনন্দ করতে করতে। মহালয়া থেকে উৎসবের প্রারম্ভ এবং দশমীতে সিঁদুর খেলা ও দেবী দুর্গার বিসর্জন দিয়ে মহোৎসবের পরিসমাপ্তি। রং বেরংএর সাজগোজ, প্যান্ডেল হপিং ও রকমারি রেসিপির খাওয়া দাওয়ার মধ্যে দিয়ে এই কদিন কচি কাঁচা, বৃদ্ধ বৃদ্ধা, গরীব আমির নয় থেকে নব্বই সকলেই থাকেন উৎসবের মেজাজে। কেউ এই চার দিন খাইয়ে আনন্দ পান, কেউ খেয়ে, কেউ ঘুমিয়ে, কেউ বা বই পড়ে বা বই বিক্রি করে। আসলে বাঙালি নিজের মত করে এই কদিন উপভোগ করে। মায়ের পড়ার জন্য নেই কোন বকুনি, নবমীর নিশি নিজের মত করে বেছে নেওয়ার জন্য নেই স্বামীকে স্ত্রীর চোখ রাঙানি। আসলে আমরা প্রবাসে থাকি কিংবা দেশে, মা দুর্গার আগমন এনে দেয় সকলের হৃদয়ে একটা অনাবিল আনন্দের হিল্লোল। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যবোধ ভারতবর্ষের সংস্কৃতি। সেই পরম্পরারই অন্যতম মুখ হল এই শারদীয়া। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে আপামর জনসাধারণ মিলিত হয় এই মিলন মেলায়। আমি বাঙালি হিসাবে গর্বিত এবং আনন্দিত এহেন উৎসবের সাক্ষী থাকতে পেরে। যাই হোক সকলের সার্বিক সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা, ছোটদের সকলকে প্রাণভরা ভালোবাসা ও বড়দের প্রণাম জানিয়ে উৎসবের দিনগুলো সকলের আনন্দে এবং নির্বিঘ্নে কাটার অভিপ্রায় নিয়ে আমার নাতিদীর্ঘ লেখা এখানেই শেষ করলাম।