ক্ষত্রিয় যাদুঘর
প্রেমাঙ্কুর মালাকার
গুড্ডু আনলো, এনথ্রোপলজি,
ক্ষেত্রিয় যাদুঘরে-
এন্ট্রি কার্ডে, বাঙালি মহিলা,
ধান ঝাড়ে কূলো ধরে।
তেইশ শতাংশ, বাঙালির বাস,
পরিসংখ্যানে লেখা-
তাই পথে ঘাটে, পাচ্ছি হামেশা,
কতো বাঙালির দেখা!
তামিল ‘ একুশ’, বিহারিরা ‘পাঁচ’,
উপজাতি মোটে ‘তিন’;
নিজভূমে ওরা, আজ পরবাসী,
পিছোচ্ছে দিন দিন!
ঘুরে ঘুরে দেখি,উপজাতিদের,
নানা রকমের ঘর;
নানা উপাদানে, বানিয়ে রেখেছে,
ঘাস পাতা বাঁশ খড়।
কতো রকমের, অস্ত্রশস্ত্র,
বর্শা ধনুক তীর –
এসব দেখতে, দেখিনা এখানে,
পর্যটকের ভীড়।
একজোড়া শিঙ, সে কী সুবিশাল,
ভাবি হবে বাইসন!
আন্দামানের, মহিষের শিঙ,
পড়ে দেখি বিবরণ।
খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে, এসব দেখতে,
সময় লাগেযে ঢের-
ঝাঁকি দর্শনে, বুড়ি ছুঁয়ে যাই,
পথে নাবলাম ফের।
—oooXXooo—