প্রতীক্ষিত প্রত্যাশা
✍️শিব প্রসাদ হালদার
অপর্ণা পণ করেছে সে অরিন্দমকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবে না। তার রীতি নীতি আদর্শ এবং সততা দেখে একটু একটু করে মুগ্ধ হয়েছে। সবার অজান্তে আপন কোমল হৃদয়ে সে নিজেই হারিয়ে গেছে। নিজে গড়েছে নিজের মনে রঙিন স্বপ্নের বাসা। অরিন্দম কখনো ভাবতে পারেনি অপর্ণা তাকে এতোটা ভালোবাসে।
মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে কোচিং ক্লাসে প্রথম পরিচয়। একসাথে পড়াশুনা।এক সাথেই সেবার পিকনিকে দীঘায় গিয়েছিল লাক্সারি বাসে। কোচিংয়ে পাঠ্যরত প্রায় ষাট জনের মিলিত দল।পাঁচ জন অভিভাবিকা সহ সাত জন ছাত্রীও ছিল। পিকনিক সেরে ফেরার পথে শেষ রাতে তারা পড়ল দুর্বৃত্তদের খপ্পরে। চলন্ত বাস থামিয়ে যখন মদ্যপ পাষন্ডেরা নির্বিচারে লুটপাটের মাঝে অপর্ণার হাত ধরে অশালীন ব্যবহারে উদ্যত তখনই গর্জে উঠল আরিন্দম। অন্যায়ের প্রতিবাদে প্রতিরোধ গড়ে তোলাই তার স্বভাব। এই মুহূর্তেও তার অন্যথা হলো না। পথের মাঝে অপরিচিত জায়গায় বেগতিক বুঝে সবাই সন্ত্রস্ত। অরিন্দম তার প্রচন্ড বুদ্ধির জোরে প্রবল প্রতিরোধে কুপোকাত করে তাদের। সেই কালোরাতে মুহূর্তের মাঝে উপস্থিত বিপদ কাটিয়ে অরিন্দম সকলের মানসম্মান বাঁচিয়েছিল। সব দেখে অপর্ণা মুগ্ধ হয়ে গেল। যদিও এতদিনে অপর্ণার প্রেমের পরশ পেতে দু-চারজন যে একটু-আধটু হাত বাড়ায়নি তা নয়। কেউ কেউ ঘুরঘুর করেছে -হয়েছে চোখাচোখি। কখনোবা মুচকি হাসি কিন্তু আজকের ঘটনায় সেই চিন্তা ভাবনা সব ত্যাগ করে শুধু অরিন্দম কে আপন করে ভেবে নিতে শুরু করলো।
অপর্ণার প্রাণ প্রেমের ভাবাবেগে ভাসতে লাগলেও অরিন্দমকে সরাসরি এ কথা কোনদিন বলতে পারেনি। মনে রয়েছে বড় সংশয়। অরিন্দম যে অপর্ণার দাদা অপুর প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী।অপু অরিন্দমকে কিছুতেই সহ্য করতে পারতনা। সে একটু বদমেজাজী শিক্ষিত বেকার। কাজকর্ম কোন কিছুই করেনা। বছর তিনেক হ’ল অসৎ বন্ধুদের সঙ্গদোষে অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়েছে। তার জন্য আপর্ণার মাকে কম গঞ্জনা সইতে হয় না! পিতৃহারা অপর্ণার মনে দাদার অপকীর্তির জন্য ক্ষোভ জমে। সহপাঠীদের কাছে শুনতে হয় নানান কথা।এইতো গত বছর অরিন্দমদের পাড়ায় পুজোর চাঁদা নিয়ে কি ঝামেলাই না হ’ল! অপু অরিন্দমদের পাড়ায় বড্ড মার খেয়েছিল। আর এমন ঘটনাতো প্রায়ই ঘটিয়ে চলেছে। তাকে নিয়ে সবাই যেন অতিষ্ঠ।
অরিন্দম সবসময় গঠনমূলক সামাজিক কাজে অগ্রনী ভূমিকা নেয়। সে সকলের কাছে ভালোবাসার পাত্র হলেও অপু মোটেও অরিন্দমকে ভালোচোখে দেখতো না। ঘাত প্রতিঘাতে এমনি করে পাঁচটি বছর কেটে গেছে। দিনে দিনে অপুর ক্ষোভ বেড়েছে ছাড়া কমেনি। প্রতিহিংসা চরিতার্থে অপু অরিন্দমকে মারবার চেষ্টাও করে কিন্তু সফল হয়নি – হয়েছে অপদস্ত। ধীরে ধীরে ক্ষোভ আরও বেড়েছে। পরিকল্পনায় মাথায় আসে বদ মতলব।অরিন্দমকে চিরদিনের জন্য সরিয়ে দিতে সচেষ্ট হয়।
শ্রাবণ মাস। মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে। তার উপর লোডশেডিং। ঘুটঘুটে অন্ধকার। বকুলতলার মোড়ে বিশাল বট গাছের আড়ালে অপু একান্ত গোপনে অপেক্ষা করছে প্রবল প্রতিশোধের আশায়। কিন্তু কে কাকে মারে? কথায় বলে- “রাখে হরি মারে কে!” বিশাল বট গাছের গোড়ায় আরও একটা বিশাল লম্বা তালগাছ। বট বৃক্ষের লম্বা লম্বা ঝুরিতে তালগাছটিকে পেঁচিয়ে রেখেছে। আর অপু পেঁছিয়ে গেছে প্রতিহিংসার পাঁচে—-!
সেদিন পড়া শেষ করে কোচিং মাস্টার পবিত্র বাবুর সাথে অরিন্দম পরামর্শটা সেরে নিল। তারা আসছে রবিবার তারকেশ্বর বাবার বাড়ি জল নিয়ে যাবে। কোচিং-এর জনাদশেক ছাত্রসহ পবিত্র বাবু এবার তাদের সঙ্গে যাচ্ছেন।কথা সেরে অরিন্দমের ফিরতে রাত প্রায় এগারোটা বেজে গেল। অপু প্রহর গুনে চলেছে। বৃষ্টি এলো আরও জোরে।ক্ষোভ বাড়তেই থাকে। ঠিক তখনই ঘটে গেল এক অঘটন! অপুর মাথায় যেন বজ্রপাত হল! ঐ উঁচু থেকে সজোরে তার ঘাড়ে এসে পড়ল এক মস্ত বড় তাল। ভুত-প্রেত বুঝার আগেই জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সেই বৃষ্টির মাঝে নির্জন জঙ্গলে কাঁদায় পড়ে গোঙরাতে থাকে। ঘটনার পরেই ওই রাস্তা দিয়ে ফিরছে অরিন্দম। এমনিতেই ওই বট গাছের কাছে এলে রাত্রে যেন সবাই ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে ওঠে। কেউ কেউ বলে ওই গাছে ভূত আছে। শ্রাবণের এক অমাবস্যার রাতে তাল কুড়াতে এসে এক বৃদ্ধ মারা গেছে। লোকে বলে তার মৃত্যু হয়েছিল ভূতের হাতে। হঠাৎ গোঙরানো শব্দ শুনে সাহসী অরিন্দমের গা ছমছম করে উঠলো। তবুও সাইকেল থামিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল। বুঝতে পারলো-এ তো নির্ঘাত মানুষের গোঙরানো শব্দ। সেই শব্দকে অনুসরণ করে এগিয়ে গিয়ে যা দেখল তাতে সে নিজেই কিংকর্তব্যবিমূঢ়! জঙ্গলে নোংরা কাঁদায় মুখ থুবড়ে পড়ে আছে প্রায় অচৈতন্য এক দেহ।গড়াগড়িতে পড়ে গেছে ছটফটানির চিহ্ন।পাশ ফিরাতেই সে চিনতে পারল – আহত ব্যক্তি অন্য কেউ নয়।অপর্ণার দাদাঅপু।
অপু অরিন্দমকে শত্রু ভাবলেও অরিন্দম কিন্তু কখনও সেই মনোভাব নিয়ে চলেনি তবে তার স্বভাব তার কৃতকর্মের জন্য করে নিন্দা- করে ঘৃণা। মানুষের সেবায় দেখা যায় তার আত্মপ্রকাশ। ঐ দুর্যোগের রাতে এই ঘটনা সামান্য হলেও তার মাঝে লুকিয়ে ছিল অসামান্য অঘটন। হয়তো বিধাতার নির্দেশে অরিন্দমের সৎ নীতির সাহচর্যে এই শত্রুর সেবাটাই করতে হলো নিজেকে। সেই রাতে দুই বন্ধুকে ডেকে সে নিজেই ব্যবস্থা করে ডাক্তারি পরিষেবার। আর সামান্য সময়ের বিলম্বে ছেলেটার প্রাণ যেত- ডাক্তারের মুখে এ কথা শুনে অরিন্দম নিজেই নিজের হাত কপালে নিয়ে বিধাতাকে জানালো প্রণাম। সে যেন ধন্য এমন দুঃসময়ে দু-দন্ডের জন্য হলেও আপন শত্রুর সেবাতে পেয়েছে সুযোগ! তার চেষ্টাতেই অপু সেদিন ফিরে পেল প্রাণ। এল পরিবর্তন। সেই থেকেই অপর্ণার ভালোবাসার প্রশস্ত পথে কালোমেঘ একটু একটু করে কেটে যেতে লাগলো।
চরিত্রবান চতুর ছেলে অরিন্দম যখন বুঝতে পারলো অপর্ণা সত্যিই তাকে ভালবাসে ঠিক তখনই একদিন অতর্কিতে সহপাঠিনী সুমিত্রার হাত দিয়ে অপর্ণা পাঠিয়ে দিল প্রথম প্রেমপত্র। কৈশোর পেরিয়ে যৌবনের প্রারম্ভে যতই হোক চোখাচোখি- একটু আধটু মুচকি হাসাহাসি, কোন মেয়ের কাছ থেকে প্রেমপত্র এই প্রথম। অরিন্দম কে বড্ড ভাবিয়ে তুললো। যে ছেলে এমন ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকত সে পত্রে পেল এই প্রথম প্রেমের ছোঁয়া।
এমনি করেই কেটে গেলো প্রায় মাস তিনেক। একদিন বিকালে সেই বট গাছের কাছে দেখা হলো অপুর। সে অরিন্দমের হাত দুটি ধরে যেন কেঁদে ফেলল- “ভাই আমাকে ভুল বুঝিস না- আমি ক্ষোভে অন্যায় ভাবে তোর প্রতি অনেক অবিচার করেছি। সেদিন তুই না আসলে হয়তো আমি আর বাঁচতাম না। আমাকে ক্ষমা করিস ভাই—-!” অপুর এই অনুশোচনার কথা পৌঁছে গেল অপর্ণার কানে। সে খুশীতে ডগমগ। সে ভাবলো এইবার বুঝি তার স্বপ্ন সফল হতে আর কোন বাধা রইলো না।
সেদিন যার একান্ত ঐকান্তিক সমবেদনার ছোঁয়ায় ছেলেকে সুস্থ হয়ে সৎ পথে ফিরে আসবার অনুপ্রেরণা জাগালো তাকে কাছে ডেকে অপর্ণার মা কৃতজ্ঞতা জানাতে না পারলে মনে যেন শান্তি পাচ্ছেন না। ছেলেকে ডেকে বললেন হ্যাঁরে অপূ! অরিন্দম কে একদিন বাড়িতে আসতে বলিস তো। যার জন্য তুই প্রাণ ফিরে পেলি তার প্রতি কি তোর বিদ্বেষ এখনো কাটেনি? কিন্তু তখনও মা জানেন না- সেই অশান্ত অসৎ ছেলের অন্তরে এসেছে অনেক পরিবর্তন। এই অঘটনের মাঝে খুঁজে পেয়েছে এক নতুন দিশা। সুস্থ বিবেকের উন্মোচনের শুরুতে তাই অরিন্দমের হাত দুটি ধরে ক্ষমা চেয়ে নিতে দ্বিধা করেনি।
অপুর অনুশোচনায় অরিন্দমের অশান্ত মন সহজে শান্ত হলো না। পুরোনো ব্যাথা কি করে এত সহজে ভুলে যাবে? অন্যায় ভাবে অত্যাচার অপু তো কম করেনি! সময়ের বিবর্তনে পরিবর্তিত হতে চলেছে পাপিষ্ঠের প্রাণ। অভিমানে অরিন্দম এখনও অপুকে এড়িয়ে চলে। বিবেকের দংশনে অপুকে কুরে কুরে খেতে থাকে। ঠিক এমনই সময়ে অরিন্দমের হাতে এসে পৌঁছালো অপর্ণার দ্বিতীয় প্রেমপত্র। পত্রে আবদার আর আবেদনে বড্ড ব্যতিব্যস্ত করে তুললো।
কোচিং ক্লাসে যাবার সময় অপর্ণাদের বাড়ির সামনে দিয়েই যেতে হয়। বিকালে ওই সময় অপর্ণা দাঁড়িয়ে থাকে বারান্দায়। অতৃপ্ত হৃদয়ে গুনগুনিয়ে গান করে-” ক্ষণিকের একটু দেখা- বেশি হলে ক্ষতি কি——?” চলন্ত সাইকেলে চেপে চলতে থাকে চোখাচোখি। প্রেমের ভাবাবেগে উভয়েই বাঁধা পড়তে থাকে একটু একটু করে।
বাড়ির সামনেই একদিন বিকালে আপর্ণার মার সাথে অরিন্দমের দেখা হয়ে গেল। এক রকম জোরের সাথে আদর করে অরিন্দমকে ডেকে নিয়ে গেলেন বাড়িতে। অপর্ণা তখন আনন্দে আপ্লুত! তারপর থেকে অরিন্দম অপর্ণাদের বাড়িতে মাঝে মধ্যে আসতো। আস্তে আস্তে গড়ে উঠতে থাকে আরও গাঢ় সম্পর্ক। অপুরও ভাগ্য হ’ল সুপ্রসন্ন। বেকারত্বের যন্ত্রণা থেকে পেল মুক্তি। ভালো একটা নামি কোম্পানিতে মিলে গেল চাকরি। কেউ দেখলে সহসা বিশ্বাস করতে পারবে না আজকের এই শান্তশিষ্ট ছেলে বছরখানেক আগে ছিল কতটা অশান্ত!
অপু চাকরি পাবার পর তার বিয়ের জন্য ভালো ভালো সম্বন্ধ আসতে থাকে কিন্তু তার মা অপর্ণার বিয়ে না দিয়ে ছেলের বিয়ে কিছুতেই দেবেন না। কিন্তু সিঁথিতে সিঁদুর রাঙিয়ে জীবন সঙ্গীর স্বীকৃতি দিতে অপর্ণা চাপ দিতে থাকে অরিন্দমকে। অরিন্দমের একান্ত আপন হবার পণ করলেও অরিন্দমের কিন্তু সেই মন ষোলআনা তৈরি হয়নি। সে চায় আরো প্রতিষ্ঠিত হয়ে নিতে। এ ব্যাপারে মাঝেমধ্যে ভাবলেও বাড়িতে একথা কোন ভাবে বলতে পারছে না। বাবাকে প্রচন্ড ভয় পায়। তিনি খুব গম্ভীর -বড় বিচক্ষণ। যতই লুকিয়ে প্রেমের লুকোচুরি চলুক আত্মপ্রকাশ তো একদিন হবেই। হলও ঠিক তাই—
অতর্কিতে একদিন অপর্ণার প্রেরিত প্রেমপত্র পড়ে গেল অরিন্দমের মায়ের হাতে। গোপনে গড়ে ওঠা সম্পর্কটা মার মাধ্যমে বাবার গোচরে চলে এলো। তিনি হলেন আরো চিন্তিত। সম্মানের দিকে তাকিয়ে সুচিন্তিত সমাধানে হলেন সচেষ্ট। আর ঠিক তখনই অচিন্ত্যবাবুর শরণাপন্ন হলেন অপর্ণার মা।তাঁরা কয়েক দিন ধরে নিজেদের মধ্যে মত বিনিময় করলেন। অচিন্ত্য বাবু তাদের প্রেম অস্বীকার করলেন না- আবার স্বীকৃতিও দিলেন না। বেকার ছেলের ব্যাপারে অপর্নার মাকে বাস্তব যুক্তি দিয়ে অনেকভাবে বোঝালেন। তিনি বুঝলেন কিন্তু বুঝতে চাইল না অপর্ণা। তার পণ পরিবারটাকে করে তুলল ব্যতিব্যস্ত। কিন্তু যতই ব্যস্ত হোক সর্বোপরি যার স্বীকৃতিতে হবে স্বার্থসিদ্ধি তার পাখনা মেলা পায়চারি পরিলক্ষিত হল না। উভয় পরিবারে উড়ন্ত প্রজাপতি পাক খেতেখেতে এসে না বসলে কি বিয়ের ফুল ফোটে? তাই হয়তো আশান্বিত আশায় আটকে থাকলো সামাজিক স্বীকৃতি!
অরিন্দমের চাকরির ডাক এলো সুদূর দুবাই থেকে। অরিন্দম পড়ে গেল দোটানায়।একদিকে তার জীবনের উন্নত ক্যারিয়ার – অন্যদিকে অপর্ণার বারবার অনুনয়ের অনুরোধ।অবশেষে একটা শর্তের স্বপক্ষে শান্ত হ’ল। অপর্ণা চাইল- এখনই বিয়ে না হোক আপাততঃ উভয় পরিবারের পাকা সম্মতি আদায় করে নিতে। অরিন্দমকে ঘনঘন মোবাইলে ফোন করে ব্যতিব্যস্ত করে তুললো। শুরু করলো কান্নাকাটি। নীরবে নির্জনে শয্যায় শুয়ে শুয়ে কাঁদল কত! কিন্তু তার আশা আপাতত পুরন হলোনা! অরিন্দম পাড়ি দিল আরব দুনিয়ায়। এয়ারপোর্টে সে এলো তাকে ক্ষনিকের বিদায় জানাতে। অপর্ণা অরিন্দমের হাত দুটি ধরে বললো-” আমার জীবনে শুধু তুমি। তুমি ছাড়া অন্য কাউকে আমি ভাবতে পারিনি- পারবোও না। যতদিন না পাব তোমার স্বীকৃতি ততদিন আমি তোমার পথ পানে চেয়েই থাকবো——–। আপর্ণার চোখের কোনায় তখন অশ্রু চিকচিক করে উঠলো! তবুও নিজেকে সামলিয়ে তাকে জানালো অভিবাদন। সুদূর নিলীমায় পাখনা মেলে মিলিয়ে গেল অরিন্দমের প্লেন। অপর্ণা একদৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়েই রইল——–!
–~০০০XX০০০~–