অনাবিল…
শ্যামাপ্রসাদ সরকার
উপসংহারের পাতায় এসে দেখছি
কি অমোঘ কালহারিণী এসে,
উল্টে পাল্টে দিচ্ছে এতদিনের সঞ্চয়,
আশ্রয় দিচ্ছে তাও অহৈতুকী কারুণ্যের ঘ্রাণে!
তবুও তো কবিতা আসছে, পাচ্ছে সৃজন,
দড়ি বেয়ে উঠে আসছে কাম,
আসঙ্গের ইচ্ছাও উঠছে পাকেচক্রে!
আচ্ছা! চুম্বন কেন কবিতার মত নির্বেদ হবার আগে,
হাতের ক্ষণস্থায়ী তাপ বুক অবধি জারিত করে?
কেনই বা সবটুকু নিঃশেষ হতে গিয়েও,
ত্রিবলীরেখাডোরে বাঁধা পড়ে অনঙ্গ;
কেনই বা তখন তোমায় ঈশ্বরী পাটনী বলে ডাকতে ইচ্ছা করে,
আর তার সন্তানকেও দুধে-ভাতে দেখতে ইচ্ছে হয়!
এতগুলো কেন’র আসলে উত্তর হয় না –
তার বদলে দিকচক্রবালে অস্তমিত হওয়াটা সহজ! যদিও কবিতার তারুণ্য কবিকেই মেরে তার রক্ত চোষে,
তারপরেও জানি আবারো কবিতার ঠোঁটে ঘাসফুল নামিয়ে দিতে ইচ্ছা করে।
….জানি আবার….আমারও ইচ্ছা করবে!
–~০০০XX০০০~–