দুঃখিনী মা
মৃনাল কান্তি বাগচী
দশ মাস দশ দিন ধরে
যাকে রেখেছিলো জননী জঠরে,
সেই সন্তানই তাকে
ঘর থেকে দিলো বের করে।
নীরব অশ্রু জলে
বক্ষ ভাসাইয়া,
জননী ধীর পায়ে চলে হাঁটিয়া।
কোথাও তার
থাকার ঠাঁই নাই,
অজানা উদ্দেশ্যে
তার এই যাত্রা তাই।
যে ছিলো তার
নারী ছেঁড়া ধন,
তার থেকে পাবে এই ব্যবহার
ভাবিনি জীবনে কখনো।
যার সুখের তরে করেছিলো
সে সর্বসুখ বিসর্জন,
সে এখণ কামিনী কাঞ্চনে
মত্ত সর্বক্ষণ।
জননীকে ঘর হতে
বের করে দিতে দ্বিধা হয়নি তার,
হায়রে বিধাতা!
একি সন্তান তার?
সন্তানের জননী হয়ে
করেছে সে কি অপরাধ ?
তারই লাগি
ভাগ্যে ঘটেছে তার এই পরমাদ।
এই কথা
ভাবতে ভাবতে,
মনের দুঃখে জননী চলে অজানা পথে এগিয়ে,
চলন্ত এক রক্ত পিপাসু বাস এসে
তাকে পিষে দিয়ে দিলো বিধাতার কাছে পাঠিয়ে।
হয়তো বিধাতা তার এই দুঃখ
সহিতে না পারিয়া,
তাকে নিজের কাছে নিলো তুলিয়া।।।
অবুঝ মন
মৃনাল কান্তি বাগচী
কোন কোন ভালোবাসার
থাকেনা কোন ভবিষ্যৎ,
তবুও সে ভালোবাসার
হয়না কখনো যবনিকাপাত।
কিছু কিছু ভালোবাসা
ফল্গুধারার মত হৃদয় মাঝে বয়ে চলে,
মনুষ্য হৃদয়ের গোপন রহস্য
উন্মোচন করা যায়না কোনকালে।
সৃষ্টি,স্হিতি,বিনাশ
বিধাতারই অভিপ্রায়,
যুগে যুগে চলছে কত গবেষণা
তবুও সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি,এটাই বিস্ময়!
সবচেয়ে দুর্বোধ্য এই ধরায়
মানুষের মন,
কখন সে যে কি চায়
নিজেই জানেনা কখন।
আকাশ বলাকা
আকাশকে ভালোবেসে ছুটে চলে,
মানুষের মন চলে অজানা খেয়ালে।
এই অজানা খামখেয়ালী মন নিয়ে
চলে মনুষ্য জীবন,
যে ভালোবাসার ভবিষ্যৎ নেই
তবুও সে কথা বোঝেনা অবুঝ মন।।।
——–++++++++ ——–