রাজদরবার
রণজিৎ মণ্ডল
প্রথম পর্ব
রাজা রাজদরবারে মন্ত্রীদের তলব করিল, মহারাজা রাজসিংহাসনে উপবিষ্ট হইল,
একে একে মন্ত্রীমশাইরাও নিজ নিজ সিংহাসন গ্রহন করিল:-
রাজামশাই: কি গো মন্ত্রীরা এসেছ সবাই?
মন্ত্রীগন: আজ্ঞে হাজির রাজামশাই।
রাজা: স্বাস্থমন্ত্রী কোথায়?
মন্ত্রী : এই তো রাজন, আমি হেথায়।
রাজা: ওওও বলি কি খবর করনার?
মন্ত্রী : রাজন সংক্রমন লাখের ওপরে যায়নি আর!
রাজা: এক কথা শোনাবে কতবার!
বলি মরেছে কত? আর বেঁচে
আছে কত? খবর রাখো তার?
মন্ত্রী : আজ্ঞে, এইভাবে মরলে থাকবে
না বেঁচে বেশী আর!
রাজা: আর হাসপাতালের ডাক্তার?
মন্ত্রী : আজ্ঞে, প্রায় সাবার!
রাজা: বেশ বেশ তুমি যেন করনা
বাধিও না আবার!গোমূত্র খেও
অন্তত দিনে দুবার।
আর কিছু আছে নাকি বলার?
মন্ত্রী : না রাজন, যদি অনুমতি দেন
বসার!
রাজা: আরে বস বস দাঁড়িয়ে থাকার
দরকার নেই আর।
ওহে, এই হীরের মালাটা
পুরস্কার তোমার।
এসো পরিয়ে দেই গলায়
তোমার।
মন্ত্রী : জয় হোক রাজার!
রাজা: বলি অর্থমন্ত্রী কোথায়?
মন্ত্রী : রাজন, আমি আপনার পাশেই,
থাকবো আর কোথায়?
রাজা: বলি, সব বেঁচা শেষ, নাকি
এখনো রেখেছো বাকি?
মন্ত্রী : রাজন, প্রায় শেষ, বিরোধীরা
দিয়েছিলো বাধা কিন্তু
আমার সাথে চালাকি!
রাজা: তুমি পন্ডিত মানুষ, তোমার
সাথেও খেলছে ভেলকি?
মন্ত্রী : রাজন, আরে নোবেলজয়ীরা
বাধাচ্ছে যত গোল,
রাজা: তুমি কি পাগোল! অর্থনীতিবিদ
যত বকে আবোল তাবোল!
মন্ত্রী : ওদের কথায় কে দিচ্ছে আমল?
বলে আবার, এই মহামারীতে
সবার অভাব টাকার, জোগান
চাই টাকার !
রাজা: এ আবার কি অনাচার!
মন্ত্রী : আমি বলেছি এ দায় ঈশ্বরের
নয় আমার !
রাজা: বাহ্ বাহ্, এই নাহলে তোমায়
পন্ডিত বলি বার বার।
দেরী করনা আর, যে কটা আছে
দাও করে পার, ভালো কথা কাল
যেন ভুলে যেও না আবার !
মন্ত্রী : না রাজন, আপনি থাকতে কি
ভুল হয় আমার!
রাজা: বেশ বেশ, তা হীরের মালা নেবে
নাকি?
মন্ত্রী : আর আছে নাকি?
রাজা: আছে বৈকি!
মন্ত্রী : তাহলে ছাড়ি কি?
রাজা: এসো এসো, কি সুন্দর দেখো
দেখি।
তাহলে আজ এইপর্যন্ত থাক্,
আগামীকাল শিক্ষামন্ত্রী কি
বলে দেখি!
(এরপর ক্রমশঃ…)