মেয়ে
মণিকা বড়ুয়া
শরীরটা ভাল নেই।
মাথা ঘুরছে।
তবু যেতে লাগে বাইরে।
ভরা সংসারে সবাই বাইরে।
দুজনের কোঁচকানো ঘরে তাকাই পরস্পরে।
নিঃসঙ্গ এক ডানায় রাখি হাত!
টুকটাক জিনিস কিনে ফিরছি যখন
“কিছু দাও না গো”,মেলে
দিল হাত
দিলাম কিছু হাতের তালুতে তার।
মুগ্ধ সে,চিকচিক চোখে ভাসমান নদী যেন!
বুকটা আমার কলকলিয়ে উঠলো। বেদনার সেতু
পেরিয়ে বললাম —-” কিছু খাবি? চল্ খাওয়াই”।
খেয়েদেয়ে সে এগিয়ে যায় পথে।
বারবার ফিরে ফিরে চায়।
বড়ো কোমল মেয়ে।
মায়া পড়ে যায়।
হঠাৎ রাস্তা পার হতে গিয়ে
টাল সামলাতে না পেরে
পড়ে গেলাম রাস্তার মাঝে—
দুপাশে ছুটন্ত গাড়ির সারে—
দৌড়ে এলো সে—নাম না জানা মেয়ে
ছুটে এসে জাপটে ধরে
টান মারলো—
সাক্ষাৎ মৃত্যুদূতের হাত থেকে
বাঁচাল আমায়।
চোখেমুখে জল দিয়ে
সে কী সেবা!
আমি হতবাক, শীর্ণ দুহাতে জড়িয়ে ধরে বলি—
“তুই যে আমার
সাতজন্মের মা,
তুই যে আমার মেয়ে।”
–~০০০XX০০০~–