প্রকৃতির বুকে ফেরো
ইন্দ্রানী বন্দ্যোপাধ্যায়
মানুষ পৃথিবীতে জন্মানোর পর চাই উপযুক্ত পরিবেশ।কৃষি শিল্পের উন্নয়ন জনবহুল দেশে জরুরি।কিন্তু এই উন্নয়নের হাত ধরে আসছে পরিবেশের দূষণ।আমরা যে জায়গায় এসে গেছি তাতে দূষণের কবলে মানবজাতি।ফেরার পথ নেই।এখন প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগানো।কবির কথায় ” শহুরে অসুখ হাঁ করে শুধু সবুজ খায়”।
আরোগ্যের জন্য সবুজের প্রয়োজন।
মানবজাতির সমূহ বিপদ।এই বিপদের জন্য আজ নিজেই দায়ী সে।একদিন এমন আসবে ক্লোরোফ্লুরোকার্বনে ভরে যাবে পৃথিবী।
পানীয় জলের সঙ্কটের কথা বিজ্ঞানীরা বলেই দিয়েছেন।ছোটো থেকেই আমরা জানি পৃথিবীর তিন ভাগ জল।
কিন্তু খাবার জল?সে তো মাত্র তিন শতাংশ।পৃথিবীর জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে।কিন্তু জল বাড়ছে ধীরে ধীরে।
একবার ভাবতে বসুন।জল নেই,অক্সিজেন নেই,বিদ্যুৎ থাকবে না।অত এব ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা।
বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলছে।সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে।উপকূলীয় অঞ্চল সব গ্ৰাস করে নেবে সমুদ্র।
আমাদের আরাম আয়েশ এখন আকাশ ছোঁয়া। এ.সি, ফ্রিজ ছাড়া অচল।যা দূষিত করছে গৃহপ্রাঙ্গন।কোন পরিবেশ রেখে যাবো আমরা আগামী দিনের নাগরিক দের জন্য।এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করার যে স্বপ্ন কবি সুকান্ত শুনিয়েছিলেন তা কি সম্ভব হবে?
শুধু প্রাকৃতিক পরিবেশ নয়।সামাজিক পরিবেশেও দেখা দিয়েছে অবক্ষয় ।মূল্যবোধ, ঐতিহ্য সবের জলাঞ্জলি দিয়ে গড্ডালিকা প্রবাহে ভাসছি আমরা।কিন্তু মনে রাখতে হবে এ বিষবৃক্ষ তে অমৃত ফলবে না।তাই আসুন সবাই।শুভবুদ্ধির বিকাশ ঘটুক।যদি বাঁচাতে পারি বসুন্ধরা।তাই বেঁধে বেঁধে কাজ করি। শূণ্য ভালোবাসা থেকে ফিরি মাটির পৃথিবীতে।প্রকৃতির বুকে।এখানে শান্তি অনাবিল।
–~০০০XX০০০~–
দারুন দারুন
ধন্যবাদ 😊😊