মেয়েবেলার নদী
—————-‐-
প্রাপ্তি মুখোপাধ্যায়
আজও “এই কথাটি মনে রেখো”-
এমন করে বলতে গিয়ে বাধে।
একতলাতে কান্না এলে
চোখ লুকিয়ে মাদুর পাতে ছাদে।
শীর্ণতাতে শাণিয়ে তোলে
দেহের রেখা লুকিয়ে রাখার ছুরি,
পাশের বনে পলাশ এলে
নদীর তখন দোল গিয়েছে চুরি।
হাঁটুর উপর হাজারকুঁচি
বক্ররেখা ঢেউ তোলেনি বুকে,
ওদের চিঠি স্লো-সাইকেলে,
রুগ্ন নদী চাখছে কটুমুখে।
দুপুরবাগান মা-মাসিরা
বড় হওয়ার ফিসফিসানি চলে,
অপুষ্টভার শরীর বেয়ে
লজ্জা এবং আত্মগ্লানি গলে।
এমন নদী আঁকলে কেন?
ঢেউ ওঠে না,স্রোত ভাঙে না দেহে
সব পীনতার আরাম ছেড়ে
শীর্ণতাতে মুখ ডোবাবে কে হে!
হলুদ শাড়ি ওরাও পরে
নদীও জড়ায় কোমর বুকে গায়ে
ওদের চোখে ঘোর কল্লোল
আরশি বাধে নদীর পায়ে পায়ে।
ওদের ঠোঁটে বয়ঃসন্ধি
থার্মোমিটার তাপের পারা লোফে,
নদীর বুকে জ্বর পোড়ালে
লজ্জা শোনে একাই স্টেথোস্কোপে।
শীর্ণতা আজ সহস্রধার
ক্ষতও ক্রমে বয়স্বী সাবেকী-
শুধু, সাহস করে হয় নি বলা
“আমায় কেমন দেখতে বলো দেখি”!
–~০০০XX০০০~–