কল্পনার ছায়াপথে
…………………………
-: শ্যামাপ্রসাদ সরকার :-
সূচনা ::
ঊষালগ্নে নতুন বছরের ঘটেছে ক্রমোন্মোচন। সেই পরম ক্ষণে কিছু অস্ফুট কথা কি ভেসে এল কল্পনার ছায়াপথে?
অবচেতনের মনমাধুরীতে মূর্ছনা তুলল এই কথোপোকথন?
কোন শাপমোচনের পর তাহলে অরুণেশ্বর পেল কি শুনতে তার সেই কমলিকার হারিয়ে যাওয়া ডাক?
বৈশাখেরই ভোরের হাওয়ায় সেই না বলা বাণীর কানাকানি ধরা পড়ল কবি স্বাগতা ভট্টাচার্য আর কবি শ্যামাপ্রসাদ সরকারের কলমে।
এক অন্য কথা ও কাহিনীর আড়ালে রইল বর্ষসূচনার কিছু অলীক উদযাপন!…
*******************
কল্পনার-ছায়াপথে
*******************
রবি- সৌরলোকের পথে যদি হয় দেখা, নিভৃত অন্ধকার মাঝে যদি দেহ ডাক, জীবনের পরপার হতে…….
নতুন বৌঠান- আরে! রবি! তুমিইইইই?
রবি- আজ পঁচিশে বোশেখ মনে আছে তো?
নতুন বৌঠান- তোমার জন্মতিথি..ভুলব ভাবলে কি করে?
রবি – ‘সেকি তোমার মনে আছে,তাই শুধাতে এলেম কাছে’…
নতুন বৌঠান- কি লিখছ এখন?…
রবি – কি শুনবে বল?
নতুন বৌঠান- সব! তোমার প্রেমের নন্দনভূমি, তোমার বাঁশরীর বিষাদ ব্যথা, তোমার তোমার কুসুমিত বনানী, তোমার বিকশিত অক্ষয় যৌবন আর তোমার জ্যোতিষ্মান তেজমহিমা।…
তোমার সবটুকু নবসৃষ্টির প্রথম সাক্ষী থাকবো আমি।
চুপিচুপি বললাম কিন্তু…
রবি- সেই তো, তুমি না পড়লে বিহারীলালের ভারী আনন্দ হবে যে, যখন তুমি বলবে কিচ্ছুটি হয়নি…
নতুন বৌঠান- ভারী হিংসুটে ছিলে তুমি…
রবি – “তোমার কাছে এ বর মাগি, মরণ হতে যেন জাগি গানের সুরে।।”…
নতুন বৌঠান- চুপ! চুপ! মরণের কথা বলবে না আর কখনো! এ বৃহৎ জগৎ তোমার অপেক্ষায়!..
তুমি কি জানো?…
“কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া/ তোমার চরণে দিব হৃদয় খুলিয়া।”…
রবি- আর পালিয়ে যেওনা তুমি। অবশ্য চেতনার এপারে তোমার বিষের বড়ি কাজ করবে না আর।….
উতল হাওয়ার মত এখন আমরা দিশেহারা। দেহবোধ আর নেই, চেতনাটুকুই শুধু…
নতুন বৌঠান- বিশুপাগলা…বদলাওনি তুমি একটুও…
রবি- আচ্ছা, তোমার রূপোর সেই সুপুরি কাটার জাঁতিটা খুঁজে পেলে?
নতুন বৌঠান- ওটা তো তুমিই চুরি করেছিলে। আমার খোঁপার কাঁটাটাও খুঁজে পাচ্ছিনা যে!…
রবি- তোমার চৌকিদারের কাছেই তা গচ্ছিত আছে জেনো। ওগুলো এখন আমার।
নতুন বৌঠান- রবি! না থাক্….
রবি- জানো বৌঠান! সেদিন রাতে ঘুম আসছিল না। হঠাৎ দেখি তুমি এলে,…
একটা বাটিতে করে ছাতিমফুল নিয়ে..
কি মাতাল গন্ধ যে তার!…
নতুন বৌঠান- হায় রে! তারপর?
রবি- এখন শান্তিনিকেতনের ছাতিমতলায় সেই গন্ধটা পাই জানো?…
তুমি পাওনা?…
নতুন বৌঠান- পাই তো…কেমন একটা মশলা মশলা গন্ধ…
তোমার কথা মনে পড়িয়ে দেয়।
আর অন্তরের পিপাসা….
রবি – আমার জোড়াসাঁকো ফিরতে ভাল লাগেনা আর, বড্ড লোকের ভীড় ওখানে…
বরং শিলাইদহ, সাজাদপুর….পদ্মাবোট..সেই ভালো
নতুন বৌঠান- শিলাইদহের মেঘ আমায় চিঠি পাঠিয়েছে জানো?…
বলেছে তুমি খুব একা হয়ে গেছ।
আমি তো ভেবেই সারা…
রবি – সেতো আমারই বপ্রক্রীড়া ছিল সেদিন ।
ছোট বৌ চলে যাওয়ার পর মহালেও আর যেতুম না বৌঠান। কোথাও ভাল লাগত না।
তুমি সেদিন যাবেনা জানলে আমি সদর স্ট্রীটেও একা একা…
আমার ভুল হয়েছিল…
নতুন বৌঠান- তা কেন হবে !
ওখানে সব্বাই তোমাকে ভালবাসে…বিবি,সুরেন,মেজদি…
আমিই ব্রাত্য ছিলাম শুধু…..
রবি- বৌঠান কাছে এসো একবারটি! আর অভিমান করনা। আমি যে ভাষা হারিয়ে ফেলি!.. আচ্ছা তেতলার ছাতে নিভৃতে সেদিনের মত মেঘদূত শুনতে আসবে একদিন?….
নাকি জ্যোতিদাদার কাছে কুমারসম্ভবই শুনবে কেবল…
নতুন বৌঠান- না! মেঘদূতই শুনিও একদিন কেমন! যেমনটি বললে ‘নিরালায়’।…
রবি – আবার তোমায় জাগালাম ‘হেকেটি’! এবার আর পালিয়ে যেওনা যেন….
নতুন বৌঠান- মনে আছে তুমি একদিন বলেছিলে… “তোমারে করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা”…
এই তো আমার পরম পাওয়া রবি…
আচ্ছা মনে আছে সেই দুপুরের নির্জনতায় তুমি আমি মুখোমুখি!….
তুমি পাঠক আর আমি মুগ্ধ শ্রোতা..
সেই তোমার বঙ্গদর্শন পাঠ? আমি সমৃদ্ধ হতাম রোজ! একটু একটু করে….
রবি- তারপর জানো তো ! সবাই একদিন আমায় তাদের সভায় ডেকে নিলে। কত দেশ ঘুরলেম। কত মানুষ দেখলেম। আর দেখলেম সভ্যতার সংকট….
সেই সব হাসিকান্নার দিনগুলোয় এক তুমিই ছিলেনা কাছে…যাকে নিয়েই প্রভাত সঙ্গীত শুরু হয়েছিল একদিন। আমায় খণ্ড করে যারা চাইলে, তারা পেলে অংশটুকুই। তাই তো আজও আমার উদ্বোধন হল না। বৌঠান তুমি তো গেলে শরীরে। আর সত্ত্বা জুড়ে আজীবন ছেয়ে রইলে আমায়।…
তাতে অবশ্য ভালোই হয়েছে। রসের আসরে ভিয়েন বসেছে। আমায় আজকাল গুরুদেবও বলছে কেউ কেউ। কেবল তোমার রবিটি শুধু হারিয়ে গিয়েছে। ব্যর্থ সাধনার মন্ত্রে সে হারিয়েছে তার পাখির মত হাল্কা প্রাণটিকে…
নতুন বৌঠান – আচ্ছা রবি আমি যখন শুধুই তোমার স্মৃতির দুয়ারে, তখন কে সামলাতো তোমায়?
তোমার সব আবদার কে মেটাতো রবি?…
রবি – ‘আত্মানাং বিদ্ধি’- বাবামশায়ের উপনিষদ! কেই বা কবে ছিল আমার একান্ত কখনো!
সবার ছিলাম আমিই! আমারই কেউ ছিলনা! তাই তো মৃত্যুঞ্জয়ী ব্রহ্মস্বরূপকেই জীবনভর খুঁজেছি…
একেবারে যে সন্ধান পাইনি তা বলতে পারিনে।…
তবে তোমার মসৃণ গ্রীবায় যখন পড়ত ভোরের আলো, ধরে নাও তারই মশাল জ্বেলেছি বুকের পাঁজরে।… নইলে আর একা চলতেম কি করে?
নতুন বৌঠান- আমি আমি তো চির অনাহুত…
শিশির ভেজা ঘাসে ভোরের আলোয় তোমার হাতে হাত…
এইটুকুই তো একমাত্র পরম প্রাপ্তি রবি!..
মনে পড়ে সেই গান!…
“দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার
গানের ওপারে।”…
রবি- সে ছাড়াও তোমার তো অন্য পরিচয়ও ছিল। তুমি নিজেই সরে গেলে তার প্রাবল্যে। জ্যোতিদাদার ওপর অভিমান করলে আর আমায় দিয়ে গেলে নিষ্প্রাণ কুসুমের অর্ঘ্য। আমিও তাই দিয়েই জীবনদেবতাকে তুষ্ট করতে চেয়েছি আজীবন।
ছিন্ন পাতায় সাজিয়েছি তরণী আমার।…
নতুন বৌঠান- ছাড়ো ওসব কথা…
আজ আমার স্মৃতিচারণ শুধুই তোমায় নিয়ে।…
নির্জন ছাদের একাকিত্বে নিস্তব্ধতায় বাঁধা পড়া দুটো মন…
সুরের মূর্ছনায়।…
তোমার জ্যোতি দাদা আরবি ঘোড়ায় চাপিয়ে গড়ের মাঠে ঘুরতে নিয়ে যেতে পারতেন, কিন্তু মন ছুঁতে পারতেন কি? আমার সব উপেক্ষার মলম ছিলে তুমি…
রবি – সে সব গান যে আজ আর গাইতে চাইলেও আসেনা বৌঠান। তা শুধু তোমায় আলাদা করে শোনাতেই চেয়েছিলাম।
আজ সেই গান হাটে বিকিয়ে যে নিঃস্ব হয়ে গেছি!…
নতুন বৌঠান- “সে সাধনায় মিশিয়া যায় ফুলের গন্ধ/সে সাধনায় মিলিয়া যায় সুরেরও ছন্দ-
তুমি জানো না।”…
কিন্তু আমি জানি, তুমি সমৃদ্ধ রবি। পেয়েছো যোগ্য সম্মান! আজও বিশ্ববাসীর মনের মণি কোঠায় তুমি!…
বৃহৎ জগতে, ধূসর রাজপথে, উন্মুক্ত আকাশতলে শুধুই তুমি!
জীবনের প্রতিটি অনুভূতিতে শুধু তোমার অদৃশ্য জাদুস্পর্শ!….
রবি- সে তো বাইরে থেকে পাওয়া। মনের কোণে তোমায় ছুঁয়ে সে সুরের আগুন শুধু আমায় জ্বালালো অবিশ্বাস্য এক পরশমণিতে!…
তোমায় কেমন করে তার সন্ধান দিই আজ।
আন্না তড়খড়, নলিনী সেও ছিল তোমারই মত খানিকটা। সেও দিতে এসেছিল ওই ঝরা বকুলের গন্ধ ভরা ব্যথাটুকুই! তারপর ইন্দিরা, বিজয়া, তোমি, রাণু…
সবাই তাদের মত করেই আমায় চাইলে। আমার মত করে তাদের চাইতে আর সাহস হল না। ছোট বৌ আমায় সন্তান দিলে। বিধাতা এসে তাদেরকেও এক এক করে….
আমার শমীকে তুমি যদি দেখতে একবার..তোমার হাতে নির্ভার হয়ে আমি সঁপে দিতাম তাকে….
নতুন বৌঠান- শমী কে বুক দিয়ে আগলাতাম রবি! এক অসম্পূর্ণ মাতৃত্ব পূর্ণতা পেত, আমি তাকে বেঁধে রাখতাম আঁচলের ছায়ায়!…
কিন্তু সকলের চোখে আমি যে…
রবি- জীবন জুড়ে শুধুই বিষণ্ণতা!…
নতুন বৌঠান-আর কষ্ট দিও না রবি…
তোমার কষ্ট আমি সইতে পারি না।…
তুমি জানোনা?…
আজ অনেক অনেক স্নেহ চুম্বন দিলাম তোমার আরক্ত ভালে…
তোমার অন্তিম ব্যথাটুকু আমায় দাও রবি!…
তোমায় শুশ্রূষার সুযোগ….
চোখের জলটুকুও কি মোছাতে দেবে না রবি?? দেখো আমিও কাঁদছি!
বিশ্বাস করো!
ঝরা বকুলের কান্না শুনতে পাচ্ছ কি??
রবি- বৌঠান! এতদিন পর দেখা হয়েও আজও শুধুই অশ্রু দিলাম তোমায়। আর দিলাম অব্যক্ত আখরের আখ্যান। যে কথা কেউ জানবে না কখনো, যে লেখা সবার কাছে এক; কেবল আমাদের কাছে আলাদা তাই দিয়েই তো তোমার চরণে অঞ্জলি দিলাম।
নতুন বৌঠান- আমার খণ্ড জীবনের অখণ্ড অধ্যায় জুড়ে শুধুই তোমার প্রতিবিম্ব….
আমার একটা প্রিয় গান আজ তোমায় উপহার দিলাম কবি…. “এ ভরা ভাদর মাহ ভাদর শূন্য মন্দির মোর”…
মনে পড়ে সেই সব দিন! তোমার জ্যোতি দাদা আমি আর তুমি…
তেতলার ছাদের ঘর…
এলো নতুন পিয়ানো..মনে আছে তোমার?…
রবি- বিদ্যাপতির গান গুলো তাহলে এখনো মনে আছে তোমার? জ্যোতিদাদার বেহালার সুর? বল, আতরদানে রাখা আতর একটুখানি নিয়ে কানের পাশটিতে কেমন করে তুমি!…..
তুমি ঠিক যেন তেমনি থাকতে পার অজরা হয়ে!…
তোমার বদল হয়নি বলে তোমায় তো আর আমার মত বুড়ো হতে হয়নি হাঃ হাঃ…
তাই তুমি সেই বয়সেই থমকে থাকবে চিরটা কাল…
নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ হয়ে..
আমার কন্ঠে গান তো এখন আর নেই…তুমি অভয় দিলে আবার শুরু করতে পারি…নতুন করে…
সুরেশ্বরীর পায়ের তলায় বসে আবার বীণাখানি বাঁধব তবে!
এ পৃথিবীও জরাগ্রস্ত আজ।ফুল, পাখি, আকাশ সব যে বিবর্ণ হয়ে আসছে….এখানে আবার বসন্তকে ফিরিয়ে আনতে হবে…
আনন্দকে ডেকে আনতে হবে…
প্রেমের শ্যামলিমাকে নিভৃতে এনে কাছে রাখতে হবে!….
নতুন বৌঠান – বটেই তো! তোমার গানের ফোয়ারা,আর আমার মুগ্ধতা!…
আমি আছি তো তোমার হৃদয় জুড়ে…
খুঁজে দেখো বসন্তকে…
তোমার মনের মাঝেই মৌন বসন্ত…
‘ওই শোন ঊষার প্রথম কোকিলের ডাক’!
রবি- কিন্তু একটা অসুবিধা আছে।
বৌঠান! তোমায় কেমন করে ডাকব এবার। মরজগতের বন্ধন যে ঘুচেছে!…
কি ডাকে ডাকব বল তোমায়….তুমিই বা কি সম্বন্ধে নৈকট্যের পন্থা খুঁজবে আসার? তা না হলে আমার দখিনা বাতাস যে নীরব হয়ে ফিরে যাবে…
নতুন বৌঠান – লোকে জানবে তোমার নতুন বৌঠান…আর তুমি…তোমার কাছে আমি কি??
তুমিই বলো রবি?
রবি – বুকের মাঝে দহন জ্বালা…জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে পতঙ্গের মরণ ঝাঁপ…
নতুন বৌঠান – আজও যে জ্বলে মরি ঠাকুরপো…
‘মিথ্যে আপনার সুখ’!…
তাই তো ভালোবাসতে ভয় করে আমার…
তোমায় হারাবার ভয়…
তাইতো এ চোখের আড়াল..
আজ বিশ্ব চরাচরে তোমার বিস্তার…
আর আমার হৃদয় জুড়ে তোমার প্রতিধ্বনি…
শুনতে পাচ্ছ সেই মরুঝড়??
রবি- স্তুতি করব সে শক্তি নেই! প্রণয় সম্বোধন করি সে ভাষা আমার নেই!
নতুন বৌঠান – আমার এ মরণদশা তোমারই দান.. একবার ছুঁয়ে দেখবে আমার হৃদয়?
আমার দীর্ঘ পথের ক্লান্তি?
ছুঁয়ে দেখবে আমার অবসাদ?…
শেষ বারের মতো ছুঁয়ে যাবে আমার তৃষিত অন্তর!…
অন্তিম বারের মতো,
শূন্যতাকে পূর্ণতা দেবে রবি! ধন্য করবে আমায়?…
অশ্রুজলে অমর করবে আমাদের জীবনের সখ্য?…
রবি- বৌঠান তবে শোন- “নতুন নামে ডাকবে মোরে ডাকবে/বাঁধবে নতুন বাহুর ডোরে/আসব যাব চিরদিনের সেই আমি/ তখন আমায় নাই বা মনে রাখলে/তারার পানে চেয়ে চেয়ে নাইবা আমায় ডাকলে”…
তুমি আর একটা গান শুনবে? দাও দেখি হাতখানা এদিকে,…
“সে কি আমায় নেবে চিনে সেই নব ফাল্গুনের দিনে…
যদি তারে নাই চিনি গো সে কি”…
নতুন বৌঠান – নাও! দিলাম আমার হাত! দিলাম আমার দুঃখনিশা!…
“ওগো দুখ-জাগানিয়া।”….
রবি – “গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়”…
অনন্ত প্রতীক্ষায় আমি…
অনেক তো হলো, খ্যাতি, সম্মান, বিয়োগ ব্যথা.…
নতুন বৌঠান – এবার তোমার সব দুঃখটুকু আমায় আপন করতে দাও রবি…
সবটুকু খেদ ভুলে নতুন করে বাঁচি একবার দীর্ঘ পথ শেষে!… “আমার সকল দুখের প্রদীপ জ্বেলে দিবস গেলে করব নিবেদন, আমার ব্যথার পূজা হয়নি সমাপন”..
রবি – “দুঃখের তিমিরে যদি জ্বলে তবে মঙ্গল-আলোক
তাই হোক।।”….
(কৃতজ্ঞতা – স্বাগতা ভট্টাচার্য)
–~০০০XX০০০~–