স্মরণে শঙ্খ
✍ অনিমেষ
শিয়রের পাশে
খাপ খোলা কলম হাতে
তুমি ছিলে কবি,
কারণ তুমি জানতে
জেগে থাকাটাই ধর্ম।
জানতে , আমাদের চারপাশে
সমস্ত দিক থেকে ঘিরে রয়েছে
ধ্বস, গিরিখাদ, বোমারু বিমান
আর দুঃসময়ের কাঁটা মারা বুট।
তাই পথ চলতে যেখানে
পিঠ ঠেকেছে দেওয়ালে
সেখানে পাহারায় ছিলে তুমি।
সহসা দমকা ঝড়ে
পাশ হাতড়ে দেখি
অন্ধকারটা খাঁ খাঁ করে
গ্রাস করছে আমাদের।
নেই !! তুমি নেই !!!
চমকে উঠি,
এমন হঠাৎ করে
কোথায় গেলে কবি ??
তবে কি অন্ধকার বিধুর সন্ধ্যায়
অলিন্দের বুক খোলা রেখে
সত্যিই চলে গেলে ?
ঠিক যেমনটা বলেছিলে ?
যেমনটা বলতে বার বার ?
আমাদের দৃশ্য পটে
জটিল আঁধার।
কবিতার দুচোখে নায়াগ্রা অশ্রুধার।
মনের জানালা তো
বন্ধ হয়নি কবি,
তোমার কলমের খোঁচায়
চিরকালের মতো তার
আগল গেছে টুটে,
তাই অসূর্যম্পশ্যা ধোঁয়াটে মন
এখন ভয়ানক সূর্যলোভী।
তাই তো সে তোমার
পথ চেয়ে হাঁটু গেড়ে বসে
মেরুদণ্ড খুঁজে চলে ক্রমাগত।
জানি হাতের পরে হাত রাখা
সহজ কথা নয়,
সারা জীবন বইতে পারাও
সহজ কথা নয়,
তাই আমাদের একতা
ভাঙে বার বার,
এখনও অনেকটা পথ
হতে হবে পার,
নাবিকহীন হাল ভাঙা
নৌকার মতো।
ব্যথার বলিরেখা আঁকা
রাতের দ্বিপ্রহর মুখে,
নৈঃশব্দ্যের নিভৃত কান্নায়,
আজ আগামীর পথ রোধে
বোবা অন্ধকার।
ঝড়ো হাওয়ার দাপটে,
গাছেদের পাতায় পাতায়,
মর্মর শঙ্খধ্বনি,
” আমরাও তবে এইভাবে
এ-মুহূর্তে মরে যাব না কি ?
আমাদের পথ নেই আর
আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি “।
🙏🏻
–~০০০XX০০০~–
🙂
💐💐💐