মেদ
✍ পৌলমী মুখার্জী
মুঠোফোনের ভেতর কেউ স্বাভাবিক নয়। ঠিকমতো জাস্টিফাই করে না। পায়চারি করতে করতে ভাবছিল দীপশেখর। সে প্রাচীনপন্থী। আগে কাগজে কলমে তারপরে মুঠোফোনে। এতদিনের ডিপ্রেশন তার। সময় তো লাগবেই। আঙুল ছুঁইয়ে খুলে দিল সে। ‘বেশ’, ‘ভালোই হয়েছে’, ‘অপূর্ব’। ইচ্ছে করে বলতে, “আদৌ পড়েছেন?” তার নিজের পছন্দ তন্বী। সুপর্ণার মতো স্লিম, চশমার ওপারে চোখদুটো ঝকঝকে। একবার দেখলে ভুলে যেতে সময় লাগে। অবশ্য সামনাসামনি একবারও দেখেনি। যা দেখেছে সব এই এখানে। খুব বিচার করে করে লিখতো। সব কিছু বিশ্লেষণ করে। সেই থেকে লেখালিখি, রাগ, অভিমান, ভালোবাসাবাসি, জানলা খোলা, জানলা বন্ধ। অনেকদিন জানলা বন্ধ পড়েছিল। কলমখানা হাতে নিয়ে টেবিলের দিকে এগোলো দীপ।
টেবিলের ওপারে জানলা। বাতাস আসছে খুব। শেষ চৈত্রের এলোমেলো বাতাস। পর্দাটা দুলছে। টেবিল ল্যাম্পের ঠিক তলাটা হলদে হয়ে আছে। ঝোড়ো হাওয়ায় পাতাগুলো উল্টেপাল্টে যাচ্ছে। কেউ জানলা বন্ধ করছে না এ ঘরে। ডায়েরীর ভেতর থেকে ওরা উঁকি দিয়ে দেখলো দেওয়ালে ছায়া কাঁপছে। ছুরি হাতে আততায়ীর ছায়া এগোচ্ছে। যে করেই হোক, যেমন করেই হোক, অতিরিক্ত মেদ ছেঁটে ফেলবে।
তবেই না?
–~০০০XX০০০~–