আত্মদর্শন
✍ নান্টু চক্রবর্তী
এই তো প্রথম আমার মধ্যে তোমার সঙ্গে দেখা
চিনতে পারিনি আঁধার গুহায় শ্রীপদচিহ্ন রেখা,
না জেনে অবুঝ করেছি তোমার কতই না অপমান
জ্বালায়েছ দীপ দেহমন্দিরে, জ্বলে সে অনির্বাণ।
পাইনি শুনিতে আমার চিত্তে তোমার নূপুরধ্বনি
কাটায়েছি কাল লুকায়ে এ মুখ, মরণের কাল গণি।
আজ শুভক্ষণে কোনও নিরজনে তোমার সঙ্গে দেখা
দুয়ারে খুলিয়া এসো হে বন্ধু, নই আমি আজ একা।
তুমি যদি থাকো মোর অন্তরে তবে আর কিবা ভয়
মৃত্যুসাগর পার হয়ে আমি হব মৃত্যুঞ্জয়।
একবার যদি হাত দুটি ধরো, হও মোর চিরসাথী
অন্তরগৃহে আলোকিত করে কাটুক আঁধার রাতি।
আজ এই মহা পূণ্য লগনে তোমার সঙ্গে দেখা
মুঠো মুঠো ধন কুড়ায়ে লব গো, যা আছে ভাগ্যে লেখা।
যা কিছু তোমার মহাসম্পদ ভরে লব আজ ঝোলা
আমি যে তোমার অন্ধ পথিক, চিরদিন পথভোলা।
কে তুমি এসেছ বাউল তাপস থাকো মোর ঘরে থাকো
বিশ্ববীণায় বাজাও যে সুর সেই সুরে মোরে ডাকো।
আজিকে তোমার লব সমাদরে, দিয়াছ যে তুমি দেখা
তোমার কন্ঠে সাধিব সে সুর, যা কিছু হয়নি শেখা।
যা কিছু দিয়াছ কাঙালের ধন, করো মোরে বঞ্চিত
জেগেছে আমার হৃদয়দেবতা, করো আলো – সঞ্চিত।
আমার আমিরে চিনেছি যে আজে, তোমারে লয়েছি চিনে
অমৃতলোকের সারথি যে সেই মৃত্যুরে লব কিনে
–~০০০XX০০০~–