চারকড়ি মুহুরী
✍ সোমনাথ প্রামানিক
মুহুরী বাবুর পেটটি মোটা ছাড়েন যে আরিমুড়ি ,
আলসেমিতে জগৎ জুড়ে নেইকো তাহার জুড়ি ।
ষাটের ঘরে পা রেখেছেন সঙ্গে মস্ত ভুঁড়ি ,
পরের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে করেন যে মাতব্বরি।
সকাল বেলায় টিফিনে খান মুড়ি আর তরকারি ,
না পেলে বলেই ফেলেন ভাল লাগেনা ধুৎতেড়ি।
দুপুর বেলায় চাই যে তার ডাল ভাত মাছ চচ্চোড়ি,
যে ভাবেই হোকনা কেন জোগাড় হওয়া দরকারি ।
তিনজনের খাবার একাই যে সাফ করেন তারাতারি
খাওয়ার শেষে আবার চাই মিঠা পান চুন সুপারি ।
সন্ধ্যা বেলায় রোজ যে বসান বাড়িতে দরবারী
প্যাঁচমেরে সব জানেন তিনি অন্যের কথা সরাসরি ।
রাত নটা তে মনটা তাহার হয় যে ভীষণ ভারী
কদিন তিনি বাঁচিয়ে রাখবেন খাওয়ার জমিদারি ।
একসের আটার রুটি আর রেওয়াজি মটনকারী
এখনো তিনি হামেশাই খান বাজিয়ে এক তুড়ি ।
ভোজন রসিক বংশ যে তার বাপ হলেন তিনকড়ি
ছেলের জন্য রেখে গেছেন তিনমোহলার বাড়ি ।
দুইটি যে তার পুত্র কন্যা ভোলা আর শংকরী,
পাড়াপড়শি সব বলেন ওরা বদমাইশ এর ধাড়ি ।
গিন্নি তিনার স্বর্গে গেছেন ছিলেন যে চমৎকারী ,
সন্তান গুলি দেখে ছিল চাকর রামচরণ কিঙ্করী ।
উকিল তিনি নয় তবু তো পেশায় হলেন মুহুরী ।
দুকড়ী তার ঠাকুরদা নাম রেখেছিলেন চারকড়ি ।
–~০০০XX০০০~–