যত্তসব
✍ চন্দ্রাণী গোস্বামী
তিসিফুলের মতো ছিল তার ঠোঁটের রঙ। কমলাকান্তের মতো তার উজ্বল শরীরে খেলত শ্যাম পাখিটির মতো নিরাতঙ্ক চোখ। আমার মুঠোয় জোনাক ভরে দিয়ে বলেছিল, “হিজাবের দিনেও বক্ষলগ্ন থেকো। আমার অধরে বেড়ে দিও তোমার তিলফুলের হাসি।”
হিসাব তবুও মেলে না। শুধু মনে পড়ে সেই মানুষটির কথা। তিস্তা নদীর পাড়ে চুপটি করে বসে থাকতে থাকতে কখন যেন জলের বুকে যেখানে ওলান থেকে মাছেদের গভীর দুঃখ উঠে আসে, সেখানে সে চলে গিয়েছিল। আজও ফেরে নি…।
সে ফিরবে নিশ্চিত। কিন্তু তোমরা তাকে চিনবে না। ধরতেও পারবে না। শাস্তিও দিতে পারবে না। হিঁচড়ে নিয়ে যেতে পারবে না পাঁচ-মানুষের সালিশী সভায়।
আসলে সে নেই। কখনো কোনোদিন ছিলও না, যেমন ছিল না আমার ফড়িংয়ের মতো জীবন। ছিল না আমার হাসি। তাকে আমিই বানিয়েছিলাম। আমার প্রেমিক ছিল না। লজ্জা ছিল। সংকোচ ছিল না। শরীর ছিল। ভয় ছিল না। ছিল একাকীত্ব। তাই তাকে আমি মন থেকে একটু একটু করে ঢেউ তুলে এনে শরীরের সকল বেআব্রু আর গোপন দিয়ে বানিয়েছিলাম, একমাত্র আমার করে।
–~০০০XX০০০~–