ক্ষিপ্ত আত্মা
✍ ডঃ রতনশ্রী ভিক্ষু
মুক্তি চাই ! মুক্তি চাই!!
পিঞ্জরায় আবদ্ধ আমি এক বিক্ষিপ্ত আত্মা,
চারিদিকে বিষাক্ত হাওয়া ধেয়ে আসে;
কি বিকট গন্ধ , এ যেন মন বারুদে রুদ্ধশ্বাস,
ভাসমান কন্ঠ শুনি, শুধু শুনি;
মুক্তি চাই ! মুক্তি চাই !!
দূরে নিক্ষিপ্ত মানবতা আর বিশুদ্ধিতা,
ধর্মান্ধতার অনলে ক্ষত-বিক্ষত আমি।
পিছন ফিরে তাকাই – তাদের মুচকি হাসি।
এই বুঝি আমি জব্দ অসত্যের কারাগারে;
ধর্মের মোড়কে এখন অধর্ম,
তিক্ত লাঞ্ছনা আমায় পরাধীন করতে চায়।
ভাসমান কন্ঠ বলে এ বসন তোমায় সাজে না;
তুমি যে অপবিত্র এক নারী
শুনে আমি অবাক ! একেই কিনা মানবতা বলে?
না ! এ বিচার আমি মানি না
আমি নির্ভিক, আমি চঞ্চল ।
সন্মুখে আমার অদৃশ্য সমাজ কারা,
অশুভ লোলুপ বেঁধে রাখতে চায়।
কাতর কন্ঠে বলে, তোমাদের এগিয়ে যাওয়া অনুচিৎ।
তিল তিল করে ছিড়ে খাব
সংখ্যাধিক্য ছদ্মবেশী সন্মুখে আমার ,
তাদের এমন করুণায় আমি অতৃপ্ত ;
সাধু সাবধান ! আমি সেই বিক্ষিপ্ত আত্মা।
রক্ষকের পেটে যখন ভক্ষকের গর্ভধারণ ,
তখন সুষম আহার তো আমিই।
অতএব মুক্তি চাই ! মুক্তি চাই !!
প্রকৃতি আমায় দোষী করেছে,
তাই বলে কিনা আমি অশুদ্ধ ?
না- না- না-না-না।
বিশুদ্ধিতা কি আমায় ছোঁবে না?
এ বিচার আমি তোমাদের দিলাম ।
সদুত্তরের অপেক্ষায় থাকি,
আর দৃপ্ত কন্ঠে বলি
মক্তি চাই ! মুক্তি চাই !!
–~০০০XX০০০~–