গ্বালিবের জলসাঘরে
✍ ফায়েজ আহমেদ ফয়েজ
১) কওন হ্যায় জো নহীঁ হ্যায় হাজতমন্দ
কিসকি হাজত রওয়া করে কোয়ী
– গালিব
কে আছে যার চাহিদা কোন অপূর্ণ নেই
কার কামনা এখানে পূরণ করবে কেউ
২) মূল গযল: ইবন এ মরিয়ম হুয়া করে কোয়ী
চরম অস্থির মানসিক অবস্থার মধ্যে লেখা এই গযলে বারবার কবির কষ্ট ধরা পড়ে। এমনকি, স্বভাববিরুদ্ধ ভাবে,তিনি এক জায়গায় লেখেন,
৩) বক রহা হুঁ জুনুঁ মেঁ কয়া কয়া কুছ
কুছ ন সমঝে খুদা করে কোয়ী
অর্থাৎ, জেদের (জুনুনের এর থেকে ভালো অর্থ আমার জানা নেই, কোন ভালো বাংলা জানা বন্ধু বলতে পারেন) বশে না জানি কি কি বলে যাচ্ছি, ভগবান করুক যেন কেউ না কিছু বুঝতে পারে।
বা লিখছেন মুসলসল শের, যা পড়ে মনে হচ্ছে হাত মকশ করতে বসা কোন কিশোর কবির লেখা।
কখনো বলছেন,
৪) ইয়ে কহাঁ কি দোস্তি হ্যায় কে বনেঁ হ্যাঁয় দোস্ত নাসেহ
কোয়ী চারাসাজ হোতা, কোয়ী গমগুসার হোতা
জানিনা এ কোন বন্ধুত্ব যে বন্ধুরা দেয় উপদেশ
কেউ উপশম বেশ করত, কেউ দুঃখ কমিয়ে দিত
বা, লিখছেন এর অমর ওপেনিং শের, যে শের এর স্পেশাল নাম কয়েকদিন আগে বলেছিলুম, তাই আর বলছি না,
৫) ইবন এ মরিয়ম হুয়া করে কোয়ী
মেরে ইস দর্দ কি দওয়া করে কোয়ী
মা মারীর পুত্রের মত কেউ আসুক জীবনে
আমার এই দুঃখ লাঘব করুন সে জনে
কিন্তু অসলিয়ৎ গালিব জানেন, তাই তার পরেই বলছেন,
৬) কওন হ্যায় জো নহীঁ হ্যায় হাজতমন্দ
কিসকি হাজত রওয়া করে কোয়ী
আজকে এর থেকে বেশি লিখছি না। এই লেখার কাছে আজ ফিরে আসার কারণ, আমার যা বলার এই মুহূর্তে, তা আমার থেকে ভালো করে,আমার হয়ে গালিব বলে গেছেন। এই অবস্থায় আর যাই হোক, লিখতে ইচ্ছে করে না।
–~০০০XX০০০~–