সব রস যাবে ঝরে!
পুঁথি রাখে চিৎকরে!
✍ প্রেমাঙ্কুর মালাকার
“সব রস যাবে ঝরে!
পুঁথি রাখে চিৎকরে!”
মহারাজ তিনি কৃষ্ণচন্দ্র
নবদ্বীপাধিপতি;
তাঁর সভাকবি ভারতচন্দ্র
অনুরোধ তাঁর প্রতি-
“রায়গুণাকর কাব্য লিখুন”
তিনি বিদ্যোৎসাহী –
ভারত কবির প্রতিভায় তিনি
মুগ্ধ গুণগ্রাহী!
ভারতচন্দ্র কাব্য করেন
রাজদরবারে পেশ;
রাজা পুঁথিখানি সিংহাসনেই
কাতকরে রাখে বেশ।
দেখে কবি বলে,”কাত করে নয়
সব রস যাবে ঝরে!”
সেই কথা শুনে, রাজা হাসি মুখে
পুঁথি রাখে চিৎকরে!
মধুর কাব্য রসে ভরপুর
ছিলো যে ‘বিদ্যাসুন্দর’!
কবি ও রাজার সংলাপে ওঠে
সভায় হাসির ঝড়!
–~০০০XX০০০~–