“হাটের গন্ধে”
✍ কাকলি ভট্টাচার্য্য মৈত্র
…. উদাস হয়ে হাঁটতে হাঁটতে হাঁটতে
কখন যে বুড়ো তেঁতুল গাছের নিচে এসে দাঁড়িয়েছে কমলি,
বুঝতে পারে… হাটের মানুষের হট্টগোলে।
পড়ন্ত দুপুরে হাল্কা হাওয়া দিচ্ছে
তেঁতুল গাছের ঝিরিঝিরি শুকনো পাতা ঝরে পড়ছে,
কমলির চুলে শাড়ির ভাঁজে।
কয়েকটি উড়ন্ত পাতা,
দূরন্ত প্রেমিকের মতো কমলির শরীরের খাঁজে খাঁজে…
আবার অহংকারমদে মত্ত প্রেমিকার মতো কিছু ঝরা পাতা পায়ে মাড়িয়েও… চলেছে কমলি
আজ বড়ই মনে পড়ছে সুজয়কে
এমনি পাতা ঝরা বিকেলে… চৈত্রের পড়ন্ত দুপুরের হাটে,
চৈত্র সেলের বাজারে…..
জামা-কাপড়,জানলা-দরজার পর্দা, বিছানার চাদরে, বালিশের কভারে..
হাটের গন্ধে।
তখন গায়ে মাথায় পাতা পড়লে,
সুজয় খুব স্নেহে…
শেষবেলার হাটে হইহই চিৎকার
সবাই নিজের নিজের জিনিস বিক্রি করতে ব্যস্ত
সবাই চিৎকার করে বলছে,
তাদের নিজেদের জিনিসটা বেশি ভালো
শেষ বেলার হাটে বুঝি… এমন হাঁকডাক হয়!!
কমলি থমকে দাঁড়ায়,
ভাবে, তারও তো হাট ভাঙার সময় হয়ে এলো,
জীবনের…
কোনো হাঁকডাক নেই!!
কমলির আজ দুটো ম্যাক্সি নেবে, মেয়েটার জন্য।
–~০০০XX০০০~–