“অভ্যূত্থান”
ডঃ রতনশ্রী ভিক্ষু
তোমার রাজকার্য সতত অপছন্দ
এত পরামর্শ এত মন্ত্রনার পরেও তুমি সজাগ নও
তোমার স্বজনপোষণ কিনা অস্তিত্ব রক্ষায়—-
কার জন্য এত দয়াদাক্ষিণ্য বলতে পার!
এটা পুরুষানুক্রমে কিনা জানিনা
অপেক্ষায় থাকে সুযোগসন্ধানী কালপুরুষ——
অভ্যূত্থান খড়গ হস্তে, মৃত্যুপরোয়ানা জারী
আমি পুষ্যমিত্র, তোমার পুরোহিত
ক্ষমা নেই——
এই নাও যোগ্য উপহার মৌর্যসম্রাট বৃহদ্রথ।
তোমার অক্ষমতায় মৌর্যবংশ ধ্বংসস্তূপে।
সুনিশ্চিত শুঙ্গরাজত্ব আমি সিংহাসনে
ব্রাহ্মণরক্তে প্লাবিত শিরা-উপশিরা
বৌদ্ধ হয়ে তোমার কুশপুত্তলিকা
প্রজ্বলিত রাজাঙ্গনে,
এখনও কি তুমি রাজা থাকতে চাও?
না! সেই বাসনার হয়েছে নির্বাণ।
তোমার বর্জিত কর্ম আমাতে আলিঙ্গন
ব্রাহ্মণ্যধর্মের জয়গান মুহূর্তে প্রবল
অবশেষে দাপটের অন্তিম শরণ
অনিত্য সংসারের ক্ষণস্থায়ী শয্যায়।
–~০০০XX০০০~–