“নাড়া পঁচিয়েই সার! করা হোক এই বার!”
✍ প্রেমাঙ্কুর মালাকার
ক্ষেতে নাড়া পোড়া চালু করেছিলো
পাঞ্জাব হরিয়ানা –
সেই বিষ ধোঁয়া গড়িয়ে গড়িয়ে
দিল্লিতে দিতো হানা।
শীতের বাতাস হালকা অনেক
ধোঁয়াতো যায়না উড়ে;
সমতল বেয়ে ছড়িয়ে পড়ছে
দূর দূরান্ত জুড়ে।
সেই নাড়া পোড়া শুরু হয়ে গেছে
আজ বাঙলার বুকে-
নয়া ধান ওঠে নাড়া পোড়া শুরু
ঠিক নবান্ন মুখে!
কৃষ্ণনগর কাছে ঝাউতলা
ক্ষেতে ক্ষেতে নাড়া জ্বলে-
সেই বিষধোঁয়া আকাশে ওঠেনা
ছড়াচ্ছে সমতলে।
বিষাক্ত ধোঁয়া গ্রাম বাসীদের
বিষাইছে এর ফলে-
দূষণের এই মারণ ধোঁয়ায়
ওদের দু’চোখ জ্বলে!
গোঘাটেও পোড়ে আদ্যাপীঠের
চাষের জমিতে নাড়া;
দাউ দাউ জ্বলে কিন্তু ধোঁয়ায়
ধুসর এলাকা সারা।
ক্ষেতে নাড়া পোড়া এতে সরকারি
আছে নিষেধের মানা;
শোনেনা বারণ সেটাই কারণ
গ্রামে দূষণের হানা।
ট্রাকটরে চষে ক্ষেতে নাড়া তুলে
বানানো যায়না সার?
মোহন পুরের কৃষিবিশারদ
ভেবে দেখো এই বার!
–~০০০XX০০০~–