“রহস্যের গভীরে বাঁধা বাসা”
ডঃ বন্ধন পাল
°°°•••°°° •••°°°••• °°°•••°°°
শান্তি ছিল, শক্তি ছিল ঢের
বিকেলবেলাকে সকালের অংশ বলে ভাবা যেত যতদিন,
তখন কী তেজ অন্তরের!
পরিপাটি অনুভবে নিভন্ত রোদের তাপও রেশ রেখে দিয়ে
যৌবন ভাসিয়ে যেত,নিরাতঙ্ক আলস্যবিহীন,
যেখানে এখন যাওয়া যায় না পিছিয়ে।
অলাতচক্র আসলে মায়া নয়, দৃষ্টির বিভ্রম—
চক্রবৃত্তে ঘুরে যায় জ্বলন্ত অঙ্গার,
তবু সে অলীকবৃত্ত,চক্রের সত্যের মধ্যে হয়েছে দুর্গম,
সময় করেছে পূর্ণ ফাঁকটুকু সে অপূর্ণতার!
সেইসব ফাঁকে ফাঁকে শৈশব, কৈশোর
নিভে যেতে যেতে আনে যৌবনের ঘোর।
গতির অজস্র গর্তে জমে থাকা ধুলো-কাদাজলে
গতানুগতিক দেহ সেরে নেয় স্নান,
শরীরে কাদাতিলক কখনও কলঙ্কদাগে জ্বলে
অথচ,অন্তরে তেজ রোদের অমর রেশ ধ’রে
শুকোলে নিষ্ক্রান্ত হয় মান-অপমান;
জ্বলন্ত অঙ্গারে শেষে যৌবনের শেষপ্রান্ত পোড়ে।
ইন্দ্রধনুষ এবার আকাশের পিঠ থেকে তুলে
প্রৌঢ়ের চোখের ভাষা রঙ খোঁজে হৃদয়-তূণীরে
কী করে করবে স্থির চাঁদমারি ঘোরলাগা-চোখের শার্দূলে?
সেখানে গর্জন নেই,উৎকণ্ঠা-উদ্বেগ নেই ঘিরে
যেখানে কাঙ্ক্ষিত প্রেম ঝরে পড়া পাতার মতন
জীর্ণতা সম্বল করে ধরা দেয় যখন তখন।
×=XX=×