✍️ মৃনাল কান্তি বাগচী
কবি পরিচিতি :-
কবি মৃণাল কান্তি বাগচীর জন্ম হাজার ১৯৬২ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগ্রাম মহাকুমার গাইঘাটা থানার অন্তর্গত চক ঝাউডাঙ্গা গ্রামে। গ্রামের স্কুলেই প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন ঝাউডাঙ্গা সম্মিলনী উচ্চ বিদ্যালয়ে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী পড়াশুনা করেন বনগ্রাম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। পরে বনগ্রাম দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয় থেকে তিনি বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক হন। ১৯৮৬ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শ্রমদপ্তর, পঞ্চায়েত দপ্তর ও স্বরাষ্ট্র দপ্তরে সুনামের সাথে কর্মজীবন অতিবাহিত করেন। বর্তমানে তিনি পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর – ফরিদপুর ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক হিসেবে আসীন রয়েছেন।
বর্তমানে কবির ২০১ টি কবিতা সহ একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া আরো ২০০ টি কবিতা সমৃদ্ধ আরো একটি বই প্রকাশিত হতে চলেছে। তার এই সুন্দর সৃষ্টির পাশে আমরা সর্বদা আছি ও থাকবো।
“লেখনীর মহিমা”
কৈশোরে দিদি দিয়েছিলো একটি ঝরনা কলম উপহার আমায়
নিজের দোষে কলমটি হারিয়ে ফেলায়, বারে বারে মোর দুঃখ হয়।
কলমটি দেওয়ার সময় দিদি আমাকে যা বলেছিলো
সে কথাগুলি রাখার চেষ্টা করি জীবনে শত প্রতিবন্ধকতা আসা সত্বেও।
অসির থেকে মসির শক্তি অনেক বেশী একথা সবাই জানি
অর্থ, প্রভাব, প্রতিপত্তির থেকে মনুষত্ব, মানবিকতা অনেক বেশী দামী।
যুগে যুগে অশুভ শক্তি বারে বারে হেনেছে মানব সভ্যতার উপর আঘাত
শুভ শক্তির লেখনীর দ্বারা সোচ্চারিত হয়েছে জনকণ্ঠের প্রতিবাদ।
অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করার জন্য লেখনীর মত নেই কোন অস্ত্র
অশুভ শক্তি যতই পরাক্রমশালী হোকনা কেন, তাকে হতে হয় পরাস্ত।
লেখনীর দ্বারা সৃষ্ট হয় সাহিত্য জগতের বিপুল সম্ভার
মানুষের সুখ, দুঃখ, আনন্দ, বেদনার সব রসদ আছে তথায়, খুঁজে নেবার।
লেখনী ছাড়া মানব সভ্যতার কল্পনা করা যায়না
তাইতো লেখনী মানব জীবনের সতিকারের আয়না।
দিদির দেওয়া কলমের সঙ্গে দেওয়া কথাগুলি
বারে বারে স্মৃতিপটে ঢেউ তোলে সেগুলি।
বির্বতনের সঙ্গে মানুষের বেড়েছে সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের অনেক উপকরন
তবুও মনে হয়, অনেক কিছু পেয়েও হারিয়েছে অনেকেই সুনয়ন।
ছলে, বলে, কৌশলে নিজেকে করতে চায় সবাই সবার শ্রেষ্ঠ,
তার ফলে অনেক সময় হারাচ্ছে সত্যিকারের মানুষের মনুষত্ব।
যদিও লেখনীর প্রতিবাদ চলছে সমগ্র বিশ্বে নিরন্তর
তবুও কি তাতে দেখা যাচ্ছে মানবতা লঙ্ঘনের ঘটনা কমার???
———– +++++++ ———-