“রাসু ঠাকুমা”
–:: ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় ::–
রাসু ঠাকুমা আমার নিজের ঠাকুমা নয়। তবে আজও রাসু ঠাকুমাকে আমি ভুলতে পারি না।বিশেষ করে পুজো এলেই জীবনের প্রিয় মানুষ গুলো স্মৃতি তে ভিড় জমায়। কত কথা যে মনে পরে কী বলবো। যেন মনে হয় ওই তো রাসু ঠাকুমা ইন্দু ইন্দু বলে ডাকছে। আমি যেন সেই ডাক এখনো শুনতে পাই।শুনেছিলাম রাসু ঠাকুমা নাকি নিদানকালে আমার নামটাই করছিল।
রাসু ঠাকুমা র আসল নাম রাসমণি। আমার ঠাকুমা সংক্ষেপে রাসু বলতো। ছোটোবেলায় ঠাকুমা র মতো আধো আধো স্বরে আমি নাকি লাসু বলতাম। ওরা কেউ মানা করেনি।তাই অমন করেই আমি ডাকতাম।অনেক না জানা কথা যা রাসু ঠাকুমা কাউকে বলেনি তা আমাকে বলে গিয়েছিল। তখন তাঁর বলা কথা গুলো ছোট্ট মস্তিষ্কে তেমন প্রভাব ফেলেনি।আজ পরিনত বয়সে বড় ভাবায়।
শিয়াখালায় যাঁদের উত্তর বাহিনী ঠাকুর আছে সেই চাটুজ্যে বংশে রাসু ঠাকুমা র জন্ম।বাবাকে নিয়ে গর্ব করতেন ।ব্রিটিশ আমলে জুড়ি বিচারক ছিলেন। ওনার নাম ছিল রামকালী চট্টোপাধ্যায়। বেশ বর্ধিষ্ণু আর নাম করা পরিবার।আমার একটু একটু মনে পরে। খুউউব ছোট্ট বেলায় আমি একবার ঠাকুমার সাথে গিয়েছিলাম।
রাসুঠাকুমার দাদারা সরকারি অফিসার ছিলেন। একটা দাদামশায় কে আমি দেখেছিলাম।অনেক বয়স্ক। এই পরিবারের মেয়ে রাসু ঠাকুমার সর্বাঙ্গে একটা আভিজাত্য দেখতাম।ছোট্ট আমিটা তাঁর বশংবদ ছিল।কী অসীম ধৈর্য আর নিষ্ঠা তখনকার রমণীদের মধ্যে ছিল তার দৃষ্টান্ত আমার প্রিয় লাসুর।
আমার ঠাকুরদারা তিন ভাই ছিলেন। রাসুঠাকুমা ছিলেন ঠাকুরদার খুড়তুতো ভাই এর বৌ। গায়ের রঙ ছিল কালো।ওনার মুখে শুনেছি উনি এত মোটা ছিলেন যে হাতল দেওয়া চেয়ারে ধরতেন না। বিয়ের পর এই নিয়ে খোঁটা শুনতে হতো। বাপরে। এ মেয়েকে তিনটে শেয়ালেও খেতে পারবে না।কী বৌ এনেছিস। এখনকার মেয়েরা মানে আমরা হলে কী করতাম?
ঠাকুমা আমাকে গল্প করেছিলেন । কালো আর মোটা বলে ঠাকুমা কে পছন্দ করছিল না। একরকম বিয়ের আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। বাড়িতে দাদাদের কাছে ইংরেজি পড়া শুরুও করেছিলেন। রাসু ঠাকুমা দাদাদের বললেন আমি নার্সের কাজ করবো। দাদারা তো আকাশ থেকে পড়লেন।এ মেয়ে বলে কি! ওসব করতে হবে না।সত্যি বলতে কি তখনকার দিনে মেয়েরা চাকরি করবে এমন চল ছিল না।দাদারা একগুঁয়ে বোনকে বোঝাতে লাগলেন।
আমার যে ঠাকুরদা রাসুঠাকুমার স্বামী প্রথম জীবনে ছিলেন বাউন্ডুলে। এসব কথা শুধু আমিই জানি। আর কাউকে বলেনি। পাড়ায় পাড়ায় রামযাত্রা করে বেড়াতেন। তবে সঙ্গীতে অসাধারণ ব্যুৎপত্তি ছিল। রাসু ঠাকুমার সাথে ঠাকুরদার বিয়ে হল। সংসারের কোনো ব্যাপারে দায়িত্ব ছিল না লোকটার। শিল্পীমনের মানুষের এমন হয় শুনেছি।
তখনকার জা জেউলিরা শাশুড়ি র মতোই কর্তৃত্ব ফলাতেন।উঠতে বসতে খোঁটা আর টিপ্পনি প্রতিদিনের প্রাপ্তিযোগ।পুরুষ রা প্রতিবাদ করতেন না মেয়েদের ব্যাপারে।একান্নবর্তী পরিবারের এই দস্তুর।আর একটা কারণ ছিল যে কারণে রাসুঠাকমা ঈর্ষণীয় ছিলেন।ঝরঝরে ইংরেজি বলতেন।
মেয়েরা গহনার ব্যাপারে ও পরশ্রীকাতরতা দেখায়।রাসুঠাকুমার বিয়ের আগেই ওনার পিতৃবিয়োগ ঘটে।দাদারা বোনের বিয়েতে এক চুবড়ি গহনা দিয়েছিলেন।কত গহনা।মান্তাসা,বাজুবন্ধ,হরেক নামের হার,বালা,চুড়ি।এগুলো দেখে সবাই ভিতরে ভিতরে রেগেই যেত।
পথের পাঁচালী তে যাত্রার যেমন বর্ণনা
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন তা পড়লে আমাকে আর বোঝাতে হবে না কেমন ছিল তখনকার যাত্রার হুজুগ।গোটা গ্ৰাম মেতে উঠতো ।ছেলে থেকে বুড়ো।কুটুম আত্মীয়রা নির্দিষ্ট দিনে আসত।বড়ো আন্তরিকতা ছিল।যান্ত্রিকতার সম্পর্ক নয়।রাসু ঠাকুমা কে বেশি কাজ করতে হত।কারণ রচনা নির্দেশনা গানে সুর সব ওনার যাত্রাপাগল স্বামীর নেশা।
দিনের পর দিন যায়।সংসার বাড়তে থাকে।রাসু ঠাকুমার কোল আলো করে দুটো ছেলে আর একটা মেয়ে আসে।চিন্তা ও বাড়তে থাকে।ওমন বাউন্ডুলে পনা আর সহ্য করা যায় না।কত রাত করে বাড়ি ফেরে ঠাকুরদা।রাসু ঠাকুমা রেগে গেলেন একদিন।নিজের ব্যাপারে কোনোদিন ভাবেন নি।তাই বলে সন্তান দের ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতেই হবে।একদিন রাতে রাসু ঠাকুমা করলেন কি ভাত তরকারি রান্না করে যেমনকার তেমন রেখে দিলেন।নিকুচি করেছে সংসারের।ছেলে মেয়েরাও অভুক্ত র ইল।দরজা য় খিল এঁটে শুয়ে পরলেন।
ঠাকুরদা বাড়ি ফিরলেন।রান্নাঘরে ঢুকলেন।দেখলেন সব ভাত তরকারি যেমনকার তেমন।তবে কি সন্তানরাও অভুক্ত।মনে মোচড় দিয়ে উঠল।বাড়ি থেকে বেরোবার সময় রাসুর থমথমে মুখ দেখে গেছেন।গুণী স্ত্রীকে এমন রূপে এর আগে কখনো দেখেননি ।সংকুচিত হয়ে ঘরের কাছে এলেন।দরজায় টোকা দিয়ে ঠাকুমা কে ডাকছেন।কঠোর কণ্ঠে ঠাকুমা জানিয়ে দিল আমাদের নিয়ে ভাবতে হবে না।আমি আর তোমার উপরে কোনো ভরসা করতে পারছি না।একান্নবর্তী পরিবারের সবাই খিল এঁটে ঘুমোচ্ছে।কেউ জানতেও পারলো না কি হয়েছে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে। এ প্রসঙ্গে একটা কথা না বললেই নয়। আমার অন্যান্য ঠাকুরদারা ভালো চাকরি করতেন।বেকার ভাই এর সংসার তাদের অন্নেই পুষ্ট।তারা রান্না হয়ে গেলে যে যার মতো নিয়ে নিতেন।
যাইহোক। সেদিনের রাত এ রাসু ঠাকুমা র কথায় কি যে ছিল। ঠাকুরদা দরজা থেকেই সেই রাতে আবার বেরিয়ে গেলেন।সকাল হল।অবাক কান্ড। ঠাকুরদা মস্তক মুন্ডন করে বাড়িতে ঢুকলেন। রাসুর জলে ভরা চোখ শুদ্ধু মুখখানা দুহাতে নিয়ে বললেন আজ থেকে আমি সংসারী হলাম।তুমি তো আমার কৃষ্ণকলি।
ভালোবাসা কারে কয়? পৃথিবীতে ওটাই পারে সব অসাধ্য সাধন করতে। আজ তো রাসু ঠাকুমা নেই।চির বসন্তের দেশে চলে গেছেন। ঠাকুর দা তো আরো আগে। ওনারা জানেন না সেই ছোট্ট ইন্দু এখন অনেক পরিনত। তাঁদের সেদিনের সেই বলা কথায় প্রেম খুঁজে পায়।তার অন্তর কাঁদে।কোথায় তোমরা। আর একটিবার এসো না।
আজ রাসুঠাকুমার কথা লিখতে গিয়ে চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে।ছুট্টে চলে যেতাম অশীতিপর ঠাকুমার ঘরে।বলতেন পড়া হয়ে গেল নাকি?আমি বলতাম হ্যাঁ।সব পড়ে ফেলেছি।উনি বলতেন বেশ তো।তবে বলো দেখি সতের,আঠারো আর উনিশের নামতা।যা বাব্বা।আমার তো ওই তিনটে নামতা বলতে গেলে আটকে যায়।বলেও ফেললাম।আচ্ছা লাসু।তুমি কী করে বুঝলে আমি ওগুলো ঠিক করে বলতে পারবো না?রাসু হাসতো।বলতো শিক্ষক হলে মনস্তাত্ত্বিক হতে হয়।রাসুর সেদিনের হাসি মনে পরলে মনে হয় কে বলেছে আমার রাসু কালো আর মোটা।ও তো পৃথিবীর সেরা সুন্দরী।কেউ নেই তার সাথে তুলনা করবো।
সেদিনের সেই আধুনিকা আজকেও বেঁচে থাকবে।আমি তাঁর উত্তরসূরী।যিনি ভালোবাসতে শিখিয়েছেন।বলতেন যাকে ভালোবাসি তার ভালো টাও বাসি আবার মন্দটাও বাসি।কতবড় কথা।মেকি নয়।আসল।সস্তা নয়।অমূল্য।রাসু তুমি শুনতে পাচ্ছো।তোমার শেখানো কথা।কিচ্ছু হারায় নি।কিছু হারিয়ে যায় না।
“ফুরোয় না তার
কিছুই ফুরোয় না
নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে
কিন্ত্ত মুড়োয় না”
বুড়ো নটেগাছটা বীজ রেখে গেছে।জন্মাবে অসংখ্য নটেগাছ।এরা চিরকালীন।শাশ্বত।আমি এই উঠানে দাঁড়িয়ে আছি।ওই তো তুলসীর মূলে প্রদীপ জ্বালিয়ে আমার মা প্রণাম করছেন।মা এর মুখটা হঠাৎ বদলে গিয়ে রাসুর মুখ হয়ে গেছে।আর লিখতে পারছি না।এখন রাসুর সাথেই থাকবো।
ঠাকুরদা সংসারে মন দিলেন।বুদ্ধিমতী লাসু স্বামীকে বললেন আমার কথাটা শোনো।দিনের পর দিন সংসারে খরচ বাড়ছে।এবার স্বনির্ভর হতে হবে।তুমি এক কাজ করো।আমার গয়না গুলো বন্ধক দিয়ে এসো।শুনেছি ঘোষ বাবুরা জমি বিক্রি করবেন।ছেলেদের ভবিষ্যত চিন্তা করতে হবে তো।
কথা মতো কাজ।সর্বজ্ঞ সাহা সুদের কারবার করে।ঠাকুরদা লাসুর গহনা বন্ধক দিয়ে এক প্লটে আট বিঘে তিন ফসলী জমি কিনলেন।লাসুর আত্মসম্মান আর আত্মমর্যাদা এতটাই বেশি ছিল যে তার দাদা দের পর্যন্ত জানালেন না কত কঠিন পরিস্থিতি তে আছে।আর স্বামীকে ভীষণ ভালোবাসতেন।তাকে ছোটো করতেও চাননি।
সংসারে আবার অশান্তির প্রবাহ এল।রাসুর কেনা আটবিঘে জমিতে প্রচুর ধান ফলেছে।লক্ষ্মী যেন উপচে পড়ছে।গোরুর গাড়ি করে খামারে ধান বোঝাই হচ্ছে।রাসুর মুখে হাসি ফুটেছে।ভাবলো বছরে তিনটে ফসল ফললে দুবছরের মধ্যেই সব গহনা ছাড়িয়ে ফেলবে।
ধান গোলাভর্তি হল।চোখ টাটালো অনেকের।সেদিন থেকে রাসুর সাথে বাক্যালাপ ও বন্ধ।স্থিতধী লাসু দেখলো রান্না করতে কেউ ডাকলো না।ওরা রান্না করে খেয়ে যে যার ঘরে চলে গেল।লাসু তো দূরের কথা ওর বাচ্চাদের খাবার নেই।কী করবে ভেবে পেলো না।অপেক্ষা করছে ঠাকুরদা আসার।
খাবার সময় হাজির ঠাকুরদা।দেখলো পরিস্থিতি জটিল।দ্বিতীয় উনান নেই।বাসন পত্র নেই।এদিকে বাচ্ছা রা খিদের জ্বালায় কাঁদছে।তাড়াতাড়ি একটা হাঁড়ি ,কড়া আর কিছু দরকারি সামগ্ৰী এনে ওদের উনানেই সিদ্ধ ভাত হল।পরের দিন বড় জা ডাক পাক বলে দিল তোরা আলাদা হয়ে যা।এখন তো তোদের অভাব নেই।যে যার দালান বাড়ি ভাগ নিয়ে পুরোনো আমলের মাটির ঘর লাসুকে মানে ঠাকুরদা কে দেওয়া হল।সত্যি!কত বিচিত্র চরিত্র মানুষের।
এরপর একদিন ননদের বাড়ি বেড়াতে গেল লাসু।পাশের গ্ৰামেই ননদের বাড়ি।ওখানে যাত্রা দেখতে গিয়ে লাসু হতভম্ব।লাসুর গয়না গুলো সাহা গিন্নি পড়ে আছে।মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলো ওগুলো ছাড়াতে হবে।
আমাদের বাড়িতে অনেক বিশিষ্ট জন আসতেন।কেশব চন্দ্র নাগ বা কে.সি.নাগ।যাঁর গণিতে ভারত জোড়া নাম।ওনার সাথে আমার একটা ছবিও আছে।তখন কী অত বুঝতাম।ঠাকুরদা কে নাম ধরে ডাকতেন।ওনার ছাত্র ছিলেন লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার ড:সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়।সত্যি কথা বলছি।যাঁরা অনেক বড়ো পদে আছেন আমার মনে হয় তাঁরা মহাপ্রাণ।উদার।আমি দেখেছি।
আমার লাসু ছিল স্বয়ং অন্নপূর্ণা।পাড়ায় কার বাড়িতে হাঁড়ি চড়েনি।কার বস্ত্র নেই।সব আসতো লাসুর কাছে।খুব হিসেবী ছিলেন।বাড়িতে অতিথি এলে লাসুই আপ্যায়ন করতো।কে ভালো পড়াশোনা করছে তাকে ব ই কিনে দিত লাসু।আমাকেও শালিমার নারকেল তেলের টিন ফুটো করে একটা বোকাভাঁড় বানিয়ে দিয়ে বলেছিলেন যে যখন টাকা দেবে এতে জমিয়ে রাখবি।
আমদের পরিবারের সাথে ওঙ্কারনাথ দেবের পরিবারের সম্পর্কটা ভীষণ সুন্দর ছিল।উনি,ওনার একমাত্র পুত্র রঘুনাথ জিউ এবং এখন পৌত্র বিজ্ঞানানন্দ মহারাজ আসেন।ফাল্গুন মাসের ছয় তারিখে ওঁঙ্কারনাথ দেবের জন্মদিন পালিত হয় এখনো।আমাদের সমগ্ৰ পরিবার একত্রিত হয়।হাজার হাজার মানুষের পাত পরে।ছোট্ট বেলা থেকেই দেখছি।আমার ঠাকুরদা কীর্তন করতেন।উনি সুদর্শন এবং সৌম্যকান্তি পুরুষ ছিলেন।বাড়িতে আগের দিন অধিবাস আর পরের দিন নামসংকীর্তন হতো।নগরকীর্তন হতো।এখনো হয়।সারাদিন খিচুড়ি হতেই থাকে।পঞ্চাশ ষাট কড়া খিচুড়ি।তবে ওনারা এখন নেই।ছোট্ট বেলায় শুনেছি ঠাকুরদার গান।
“রাধাকৃষ্ণ প্রাণ মম যূগলকিশোর
জনমে মরণে আর
গতি নাহি মোর”।
গান শেষে রঘুনাথ জিউ বলতেন “বিশ্বের কল্যাণ হোক।”।এসব ছোট্ট আমির নিজের চোখে দেখা।
রাসু ঠাকুরদা কে বলল এবার গহনা গুলো নিয়ে এসো।কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় অমন গহনার লোভ সাহা গিন্নি ছাড়েন নি।বলে দিলে ও গহনা তো বিক্রি করে গেছো তোমরা।
হায়!তবুও সৌভাগ্য লক্ষ্মী থেমে থাকলো না।বর্ধমানের জমিদার এর দেওয়ান ঠাকুরদা কে গোমস্তা পদে বহাল করলেন।আর রাসু ওই জমিগুলোকে বন্ধক দিয়ে নতুন জমি কিনতো।আবার ফসল উঠলে ছাড়িয়ে নিত।এইভাবে প্রায় আশি বিঘা জমি কিনলেন।
আমি এসব কথা কিছুটা বালিকা বয়সের স্মৃতি আর কিছু শুনে লিখলাম।লাসুর প্রভাব আমার চরিত্রে বিদ্যমান।একথা আমার পরিবারের সবাই স্বীকার করেন
আমার ঠাকুরদা সম্পন্ন হয়েছেন একজন নারীর প্রখর বুদ্ধিমত্তায়।কপর্দক শূণ্য বাউন্ডুলে ঠাকুরদার পিছনে সলতে পাকিয়েছিলেন এক নারী।যাঁরা নারীর ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা কী বলবেন এই প্রশ্নের উত্তরে?
অনেক কথা বলে ফেললাম।আরো অনেক বাকী থেকে গেল।ভবিষ্যতে হয়ত কখনো বলবো।
¤●¤●¤●¤●¤●¤●¤
¤●¤●¤●¤