“একটি জীবনের গল্প”
–:: নীলাঞ্জন রায় ::–
সকাল সকাল ঘুম ভাঙ্গার অভ্যাস তমালের। বিছানাতে শুয়ে এপাস ওপাস করে। গ্রামের বাড়িতে বছরে একবার কি দুবার আসা হয়। দোতলা মাটির বাড়ি। বাবার চাষবাস করে দিন চলে। সারাদিন মাঠে খাটেন আর সন্ধ্যাবেলায় বন্ধুদের সাথে পালাগান করেন। তমালের ভালোই লাগে। ওদের বাড়ির সামনে একটা পুকুর আছে। পুকুরের ওপাশ দিয়ে পায়ে চলার পথ। সাইকেল চলতে পারে। দোতলার ঘর থেকে পুকুরের ওপারের সেলিমচাচার বাড়ি দেখা যায়। সেলিমচাচার দুই মেয়ে – সালমা আর সায়রা।
তমাল এখন মুম্বাইতে থাকে। ছোটবেলায় সন্ধেবেলা পালাগান এর সময় বেশ দুলে দুলে গান শুনতো তমাল। গান গাওয়ার থেকে ছবি আকা তে মন ছিল বেশি। পেনসিল দিয়ে বাবার বন্ধুদের ছবি একে দিত। বেশ খানিকটা মিলত ও ওদের মুখের সাথে। বাড়িতে মা , দাদা আর এক বোন। চাষের ধান আর পুকুরের মাছ খেয়ে বেশ চলে। দাদা বাবার সাথে ই থাকে। ওর এই সব গান বাজনা তে খুব টান নেই। নিজের মতো থাকতেই বেশি ভালোবাসে। ওই সন্ধ্যাবেলা মায়ের একটু চাপ পড়ে। সবার জন্য চা আর এক ধামা মুড়ি মেখে দিতে হয়। অবশ্য এ নিয়ে মায়ের কোনো অভিযোগ নেই। গ্রামের অনিল কাকা ওর হাতের আকা দেখে ডেকে বলে – বা, তোমার হাতটা তো বেশ। চলো, কলকাতায় আমার এক পরিচিত আর্টিস্ট আছে। ওর নিজস্ব স্টুডিও আছে – সিনেমার পোস্টার আকে। হাতটা পাকা হয়ে যাবে। ওখানেই থাকবি, হাত খরচ ও পাবি।
ওখানে চারজন তমালের মতো ছেলে আছে। একসঙ্গে থাকে, একসাথে খাওয়া। মাস গেলে দেড়শ টাকা পায়। তমাল বাবার কাছে শুনেছে যে সব সময় এক যায়না। এই তো কতদিন উনি অন্য মানুষের জমি তে ভাগচাষী ছিলেন আর এখন ওনার নিজের জমি।
তমাল তাই দাঁত কামড়ে পরে থাকে। কিছু হবে।কিছু একটা হবেই।
গ্রাম থেকে চলে আসার সময় সেলিমচাচার বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিল তমাল। সেলিমচাচা বাড়িতে ছিল না। খালি আমিনাচাচি, সালমা আর সায়রা ছিল। তমালের কাছে সালমা একটা আলোর মতো। কলকাতায় কাজের ফাঁকে ওই একটা আনন্দ – সালমা।
সালমার গড়ন টা বেশ। বোরখা পরে কলেজ যাওয়ার সময় মনেই হয় না ওর বাবা চাষী। পড়াশোনাতে নাকি ভালোই। স্কলারশিপ পেয়ে কলকাতায় বড় কলেজে ভর্তি হয়েছে।
সেলিমচাচার এক বন্ধু কলকাতায় থাকে। অবস্থা একটু ভালো। ওদের বাড়িতে একটা ঘরে সালমাকে থাকতে দিয়েছে। পড়াশোনার ফাকে বাড়ির কাজ ও একটু আধটু করে।
তমাল নিজের মতো ব্যস্ত ছবি আঁকা নিয়ে। প্রধানত সিনেমার পোস্টার আকার কাজ ই হয়। সেলিমচাচা খালি বলে দিয়ছিল – মেয়েটা তো একলা থাকে, পারলে একটু খবর নিস।
কাজের শেষে সময় করে তমাল যায় রহিমচাচার বাড়ি। চাচা একটু রাশভারী কিন্তু চাচি বেশ মা মা। নিজের ছেলের মতোই কথা বলে। গেলেই ঠান্ডা সরবৎ আর মিষ্টি খাওয়ায়।
তমাল খুব সাধারণ ছেলে। বাবার সাথে মাঠে কাজ করার ফলে শরীরের বাধনটা ভালো। রঙটা শ্যামলা। বাড়িতে পালাগানের জন্য অল্প আধটু গাইতে পারে। কিন্তু ঝোঁকটা আকার দিকে বেশি।
প্রথম কয়েকবার সালমার সাথে দেখা হয়েছে। সেদিন সালমার সাথে দেখা হোলো না। সালমা এখন টিউশনি করে। কলেজের প্রফেসরদের প্রিয় বলে ওনারাই এই টিউশনির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। জুনিয়রদের পড়ানোর জন্য। যেদিন দেখা হয় সেদিন বেশ সুন্দর কথা বলে। কমলের কথা, বীনার কথা ও জিগ্গেস করে। কমল তমালের দাদা আর বীনা ছোট বোন। ওঐ গ্রামের স্কুলে পড়ে। সালমার মধ্যে একটা সৌম্য পরিশীলিত ছাপ আছে। তমাল গ্রাম থেকে এটা খেয়াল করেছে। তাই সালমার মুখোমুখি হতে অসুবিধা হয়। ওর মুখের দিকে না তাকিয়ে বলে – পড়াশোনা টা হোলো না। ওই কোনরকমে হায়ার সেকেন্ডারি।
—- তাতে কি হয়েছে তমালদা। তোমার মনটা খুব ভালো। মনটা নষ্ট করে ফেলো না। তমাল মাথা নিচু করে থাকে।
—- তুমি তো এখানে ছবি আঁকো তাই না? তা কি ছবি আঁকো?
—– তোমরা যে রাস্তায় বড় বড় সিনেমার হোর্ডিং দেখো সেই গুলো।
—– ও বাবা, তুমি তো গুণী মানুষ।
—- পড়াশোনাটা হোলো না। ছবিটা একটু আকতে পারি বলে বাবার বন্ধু নিয়ে এলেন এখানে। আসলে আমরা খুব গরীব তো।
— খুব ভালো। কি জানো তমালদা, একেকজন একেকভাবে গরীব। মাঝে মাঝে চলে এসো।
এতক্ষণ সময় সবসময় দিতে পারে না সালমা। টিউশনি তে যেতে হয়।
তমাল অত কিছু মনে ও করে না। কিন্তু সালমাকে দেখলে যে মনে একটা আনন্দ হয় সেটা বলে উঠতে পারে না।
এর পর অনেকটা সময় চলে গেছে। তমালের ও বেশি আর যাওয়া হয়নি সালমার কাছে। এর মধ্যে সালমার মা ও এসেছিল। তমালের হাত ধরে বলেছিল – আমাদের গ্রামটা ভালো রে। এই শহর, এই আলো আমাদের পোষায় না রে।
তমালের কালিঘাটের স্টুডিওর উল্টো দিকে শচীনবাবুর ফ্রেমিং এর দোকান। কলকাতার অনেক নামীদামী আর্টিস্টদের আনাগোনা। তমালের এখন নিজে কিছু করবে ঠিক করে। এর মধ্যে অল্প কিছু টাকা করেছে। শচীনবাবুকে বলে একটা ছোট জায়গা যোগাড় করল। তমালের আকা শচীনবাবু দেখেছিলেন। শচীনবাবুর মনে হয়েছিল যে এই ছেলেটা অনেক কিছু করতে পারবে। তমাল নতুন দুটি ছেলে ও রেখেছে। শচীনবাবু ধীরে ধীরে তমালকে পাল্টাতে শুরু করল।
একদিন বললেন – আচ্ছা তমাল, তোমার নিজের থেকে কিছু আঁকতে মন চায়?
— হ্যা, কাকা
— সময় পেলে এঁকে দেখাস তো।
—- আচ্ছা কাকা।
অনেক দিন বাদে একবার গেলো সালমার সাথে দেখা করতে। সালমা কে দেখে ভাল লাগলো না। আমিনাচাচি গ্রাম থেকে এসেছে।
—- চাচি, কি হয়েছে?
—- কি আর বলব তমাল। মেয়ের এতো পড়ার ইচ্ছে, কিন্তু তোমার চাচা তো অর বিয়া দিবই। কন এতো বড় সোমত্ত মেয়ে, আর একলা রাখা যাইবো না।
এদিকে শচীনবাবু কিছু নামী মানুষদের তমালের আঁকা দেখালেন। তমালের আঁকা বেশ কয়েকজনের কাছে প্রশংসিতও হোলো।
একদিন সুহাসবাবু এলেন দোকানে।
— এই শচীন, ওই ছেলেটার আঁকা গুলো ফ্রেম করে রেখো তো। একটা এক্সিবিশন আছে, ওখানে দেবো।
চারটের মধ্যে তিনটি বিক্রি। বেশ কিছু টাকা পেল তমাল। বাড়িতে সবার জন্য কিছু নিয়ে গেলো।
একদিন সালমার বাড়িতে যেতে দেখা হয়ে গেলো।
—- আরে তমালদা কেমন আছ? বেশ একটু অন্য রকম লাগছে। কাগজে একটা এক্সিবিশন এর রিভিউ পড়লাম। তোমার সমন্ধে তো বেশ লিখেছে। তুমি তো এখন কেউকেটা। বলে সালমা হাসে।
তমাল বলে – তোমাকে আজ এত ডাউন লাগছে যে। কি হয়েছে?
— কি হবে? ফাইনাল সামনে তো। একটু খাটুনি যাচ্ছে।
তমালের মনে হোলো ও কিছু একটা বলতে চাইছে না। ভীষন অবাক হয় তমাল।
— একটু বসো। সরবৎ করে আনি।
সালমাকে খুব অস্থির আর চঞ্চল লাগলো।
ওই এক্সিবিশন ওপর একজন নামকরা আর্ট ক্রিটিক এর একটা বড় লেখা তমালের চোখে পড়েছে। একদিন মুম্বাই থেকে তমালের কাছে ইনভিটেশন এলো ছবির জন্য। তমাল শচীনবাবুর কাছে দৌড়ে গেলো।
শচীনবাবু বললো – বা, বেশ। আমি জানতাম এরকম একটা কিছু হবে। তুমি তৈরি তো।
— কাকু আমার স্টুডিও।
— আমি আছি। তুমি লেগে পর তোমার কাজে। প্রায় একমাসের ওপর ও ছবি থেকে বেরতে পারেনি। মুম্বাই যাওয়ার আগে সালমার সাথে দেখা করতে গেলো তমাল। গিয়ে দেখে আমিনাচাচি। তমাল দেখা হতেই বলল – কেমন আছো আমিনাচাচি?
চাচি একটু হাল্কা হাসল। তমালের এই হাসিটা চেনা নয় একদম।
—- সালমা কোথায়?
চাচি গলা চড়িয়ে ডাকলো — ও সালমা, তমাল আইছে। একটু সরবৎ আর মিষ্টি আনতো।
তমাল বললো — চাচি, আমি মুম্বাই যাচ্ছি। আমার এক্সিবিশন।
সালমা সরবৎ নিয়ে এসে বলল — তমালদা, তোমার এখন কত নাম। কত মানুষ তোমাকে চেনে। তুমি কত্ত উন্নতি করেছ।
— আরে না না। আঁকতে আমার সবসময় ভালো লাগত।
তমাল বরাবর প্রচারবিমুখ। কোনদিনই নিজের কথা বলতে পারে না।
তবে সালমার যে আলোটা ওকে টানতো, সেটা সালমাকে বলব বলব করেও বলে উঠতে পারেনি।
চাচি বলল — বাঃ। আমরাও দ্যাশে ফির্যা যাইত্যাছি। অর বোধহয় আর পড়া হইব না। ওর বাবায় কইছে বিয়া দিয়া দিব।
মুম্বাই তে এক্সিবিশন চলাকালীন সালমার বিয়ের খবর পেলো ।
তমাল বুঝতে পারে, সে নিজে যে আলোর পথে পা রেখেছে, সালমার সাথে সেখানে দেখা হওয়া সম্ভব নয়। কারণ সালমা যে পথে পা রেখেছে, দুজনের পরস্পরের দিকে এরপর থেকে আর তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোনো উপায় নেই। সালমার হারিয়ে যাওয়া আলোটার জন্য তমালের খুব কষ্ট হোলো।
তমাল সালমাকে ওই আলোর কথাটা বলতেই পারলো লা।
আজকাল তমালের সময় খুব কম। মুম্বই যাতায়াত টা ভীষণ ভাবে বেড়ে গেছে। পরপর বেশ কয়েকটা বড় বড় এক্সিবিশন। এবার বিদেশ থেকে ও ডাক আসা শুরু হয়েছে। কলকাতায় ফিরে এসে শচীনকাকা কে স্টুডিওর দায়িত্ব দিয়ে পাকাপাকি ভাবে মুম্বাই চলে এলো। মুম্বাইতে একটা ছোট ওয়ান বেডরুম অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছে। একটা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি ও কিনেছে। দেশের বাড়িটা কে ঠিকঠাক করেছে। অনেকটা চাষের জমি কিনেছে। বাবাকে আর চাষ করতে দেয় না। দাদা ই সব দেখাশোনা করে। বোনের বিয়ে দিয়েছে। বেশ বড় করে। জীবনটা এতো স্পীডে চলতে শুরু করেছে যে মাঝে মাঝে মনটা ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
সালমার মায়ের সাথে বিয়ের পর একবার দেখা হয়েছিল তমালের। আমিনাচাচি খুশী নয়।
বলল – মেয়েটা না পড়াশোনা করতে খুব ভালোবাসত। আসলে একটা বড়লোক বাড়িতে যোগাযোগ হইয়্যা গ্যালো। ব্যস।
তমাল বুঝতো, সালমাকে দেখলে পছন্দ হবেই। ভীষণ সৌম্য, ঠান্ডা। কিন্তু একটা উজ্জ্বলতা আছে।
সালমার শ্বশুরবাড়ির কাপড়ের ব্যবসা।
একদিন মুম্বাই থাকাকালীন সালমার ফোন। মনটা ছ্যাৎ করে উঠলো। সালমাতো কোনোদিন ওকে ফোন করেনি। তাহলে—
——তমালদা, কোনো দিন কলকাতায় এলে একটু জানিয়ে এসো। আমার বাড়িতে একদিন খেয়ে যেও। তোমার তো আমার বিয়ে তে আসা হয়নি।
—–আচ্ছা, আসবো। কেমন আছো তুমি?
—–সারাদিন বাড়িতেই থাকি। টিভি দেখতে ভালো লাগে না। সাংসারিক কাজকর্ম। দুপুরে আব্বু আম্মার সাথে কথা, ব্যাস। এই ভাবে নিজের সাথে লড়াই, আর কি।
তমাল একটা অদ্ভুত স্পীডে চলতে শুরু করেছে। বুঝতে পারছে কিন্তু থামতে পারছে না। মাঝে মাঝে ওই এক কামরার ফ্লাটে বেশ ক্লান্ত আর একা লাগে। এইসময় একজন নারীর ছোঁয়া ভীষণ দরকার। মেয়েরাই পারে এই সময়টা কে সুন্দর করে দিতে। ওরাই ছেলেদের ভালোবাসা,সৌন্দর্য আবার আশ্রয়।
তমাল সময় পায় না, তবুও সালমার বাড়ি এক দুপুরে পৌঁছে গেলো।
সালমা একটা হাল্কা সবুজ শাড়ি পড়েছে। কপালে একটা ছোট্টো টিপ। সালমাকে এইরকম বেশ লাগে। চুলটা খোলা। দেখে মনে হোলো সবে স্নান সেরে উঠেছে। তবে ওই যে একটা আলো ছিল সেটা হারাবার পথে।
তমাল বলে ওঠে – আমি এসে গেছি।
সালমা হাল্কা হেসে বলে – এসো, বোসো। জানো, কতদিন বাদে তোমাকে দেখে গ্রামের কথা মনে পড়ল। শহরটা ভীষণ মেশিন মেশিন।
মাথার চুলগুলো কে হাতখোঁপা করে বলল – বোসো, সরবৎ আনছি।
সালমার শ্বশুরবাড়ি টা দোতলা। ঘরগুলো বেশ বড়।
বাড়িটাতে একটা বড়লোক ছাপ আছে।
সালমা খাবার রেডি করে তমালকে ডেকে নিয়ে গেলো। সালমার শ্বাশুড়ী সামনে বসে।
তমালের দিকে তাকিয়ে বললেন – কেমন আছো? শুনলাম খুব নামধাম হয়েছে তোমার।
তমাল খুব লজ্জা পায়। ও তো এই নাম এর বিলাসিতায় এখানে আসে না। আসে ওই সালমার আলোর টানে ।
— খাও, সালমা একটু দেখে নিও।
সালমা চুপচাপ তমালের খাওয়ার দিকে চেয়ে থাকে।
তারপর বলে – তমালদা , তোমার গ্রামে ঘুড়ি ওড়ানোর কথা মনে আছে? সেই তোমাদের ঘুড়ি কেটে মাঠে গিয়ে পড়তো আর আমরা দৌড়ে যেতাম ধরতে।
—হ্যা। তখনই তোমার মধ্যে একটা আলো ছিল। সেটা আমার বেশ লাগত।
— কই, কোনোদিন বলো নি তো।
— ওটা পারিনি বলতে তোমাকে। এর মধ্যে এত ওলটপালট হয়ে গেলো। তবে আলো টা এখন যে কেন দেখতে পাচ্ছি না।
— আসলে আমি মানুষটা তো হারিয়ে গেলাম এই ব্যবসায়ী বাড়ির চালচলনের মধ্যে। সন্ধ্যাবেলায় বাড়ি ফেরার পর আপ্যায়ন। রাতে বিছানায় স্বামীত্ব। তারপর এই সংসারের চাকায় ঘুরতে ঘুরতে হারিয়ে গেলাম বিনা প্রতিরোধে।
তমাল সালমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল।
সালমা আবার বললো – তুমি ও তো হারিয়ে গেছো তমালদা। তোমার কথা তে কত মাপজোক এসে গেছে। তুমি গ্রামের হাসিটা এখন আর হাসো না। তুমিও এখন ব্র্যান্ডেড।
তমালের ভেতরটা বলে উঠল – কিন্তু আজও তোমার ওই আলো আমি ভুলিনি সালমা। কখনো ভুলবও না।
************************