“ছেলেটা একটু যত্ন আত্তি পেলে! মহীরুহ হতো দিয়ে ডালপালা মেলে!”
-:: প্রেমাঙ্কুর মালাকার ::-
প্রথম যখন এই বিল্ডিং
আমি আসি বসবাসে;
ওকে দেখতাম আমি রোজ রোজ
ভাবতাম কেন আসে?
প্রথমে ভেবেছি কোনো আবাসিক
ওযে তার সন্তান;
পরে ভুল ভাঙে কর্মচারীসে
পরিষেবা অবদান।
পরদিন জানি নীচের গ্রোসারি
তার ডেলিভারি বয়;
মুগ্ধ হলাম পেয়ে বহুমুখী
প্রতিভার পরিচয়!
বাঙলা হিন্দি, আরবির সাথে
ইংরাজিতেও দম;
বিস্মিত হই ওর ভাষাজ্ঞানে
বলছে মালয়ালম!
ক্যাশ সামলায় কাস্টমারও
সামলায় মাঝে মাঝে-
যতো বার দেখি মুগ্ধ হয়েছি
বুদ্ধিদৃপ্ত কাজে!
মনে মনে ভাবি এই চারা গাছ
একটু যত্ন পেলে-
মহীরুহ হতো বিশাল আকাশে
সুবিশাল ডাল মেলে!
কবিতার প্রেক্ষাপট –
ছেলেটা প্রথম যখন এই বিল্ডিং এ আসি সুদর্শন, স্মার্ট, ছিমছাম ছেলেটাকে দেখে ভেবেছিলাম কোন প্রবাসীর কলেজে পড়া সন্তান কদিন পরে জানলাম ও হচ্ছে বিল্ডিং এর নীচের গ্রসারী স্টোর্স এর ডেলিভ্যারী ম্যান। কখনো কখনো ক্যাশ ও সামলায়।
ছেলটাকে দেখি আর মুগ্ধ হই। বাংলা বলতে পারে কারন ও বাঙালী। এছাড়া চমৎকার হিন্দী বলতে পারে. ইংরেজী বলতে পারে, আরবি বলতে পারে। আর যেটা আমাকে অভিভূত করে, ও চমৎকার মালয়ালম ( কেরালাইট) বলতে পারে । টাফ কাস্টোমারদের মসৃন ভাবে হ্যান্ডল করে। বাড়তি কথা বলেনা , কৌতুহল দেখায়না , আবার যেটুকু জিজ্ঞেস করা হয় অন্তরঙ্গ ভাবে উত্তর দেয়। ওর উপস্থিত বুদ্ধি আমাকে অবাক করে দেয়। ওকে দেখি আর ভাবি যত্নের অভাবে কত চারাগাছের মহীরুহ হয়ে ওঠা হলনা।
—-~~ooXXoo~~—-
A touchy poem with a good rhythm.