“ব্রাজিলের সালগাদো, সৃষ্টির সুর সাধো!”
— :: প্রেমাংকুর মালাকার ::—
ছোটো বেলা থেকে, দেখে এসেছেন, সবুজের সংসার;
চোখের সামনে, পুরো এলাকাটা, তিলে তিলে ছারখার!
এই বন ভূমি, গোচারণে যেতো, বাড়ির বাছুর গরু;
একটা সময়, পুরো এলাকাটা, হলো খট খটে মরু!
দেশ ব্রাজিলের, ‘মিনে জেরাইসে’, ‘সালগাদো’ করে পণ;
“ওই জমিকেই, আগের হালতে, ফিরিয়ে বানাবো বন!”
বিশ বছরের, স্বপ্ন সফল, বৃষ্টি-অরণ্যানী ;
বিশ লাখ গাছ, মেঘ ডেকে আনে, আসমানে হাতছানি!
পনেরো শো দুই, একরের বনে, দুশো প্রজাতির পাখি ;
সাঁঝে আর ভোরে, দুই বেলা করে, আনন্দে ডাকাডাকি!
আছে তেত্রিশ, কিসিমের নানা, প্রাণীরা স্তন্যপায়ী ;
পনেরো প্রজাতি, উভচর আর সর্প ঠিকানা স্থায়ী।
সালগাদো বলে,”গ্রহকে বাঁচাবে, ধ্বংসের থেকে বন;
চাই দিকে দিকে, শুধু অরণ্য, বনের বিস্ফোরণ!
বৃক্ষশূন্য, এলাকায় ফের, লাগালে নতুন গাছ;
বায়ুর বদল, প্রভাবের থেকে,মেলে জীবনের আঁচ!”
দেশীয় নানান, গাছেই ভরাট, অরণ্য প্রয়োজন ;
নয় উইপোকা এবং সাপের হবেনাতো আগমন!
জংগল গড়ে, কেউ না এলেও জংগল নিষ্প্রাণ ;
অরণ্য চুপ, বোবা হয়ে যায়, পুরোপুরি সুনসান!
রাষ্ট্রপুঞ্জ, খতিয়ানে দাবী, এ গ্রহের আশি লাখ-
নানান প্রজাতি, দশ লাখ প্রায়, বিলুপ্তপ্রায় খাঁক!
নতুন নজির, গড়ে দেখালেন, ব্রাজিলের ‘সালগাদো’!
তুমি নমস্য, ধ্বংসের মাঝে, সৃষ্টির সুর সাধো!
–~০০০XX০০০~–