ডাক নন্দিতা চক্রবর্ত্তী —————- বলল হাওয়া নেচে নেচে নাচবি যদি আয় ব্যথার মেঘ ভাসিয়ে দিয়ে নীল আকাশের গায়ে পাল তুলে মন পানসি ভাসাও খুশির সাগর জলে সুখ দুঃখ হাসি কান্না নাচবে তালে তালে গাছের পাতা সরস সবুজ রোদ হাসে তার বুকে বন্ধ হৃদয় দরজা খোলো হাসবে মনের সুখে। সাদা মেঘ পাল তুলেছে…
তথাগতের বোধিপথ মণিকা বড়ুয়া আমি সুজাতার মনকে বুকে করে হেঁটে যাই গয়ার বিম্বিসার রাজত্বে। আমি বিশাখার ঋজুতা ও দৃঢ়তা মাথায় করে ছুটে যাই সারনাথ, লুম্বিনী ও কুশীনগর। আমি মায়াদেবী ও গোতমীর ত্যাগ সাধনায় ধ্যানমগ্ন হয়ে পৃথিবী গর্ভ থেকে উঠে পড়ি। আমি গোপার নিষ্ঠা, ত্যাগ ও অভিমান বুকে নিয়ে ধীর স্থির যজ্ঞপথ খুঁজে নিই। বহু বিভক্তি…
দেশ হারানোর আর্তনাদ কিশোর বিশ্বাস আমি তো নেই নদী কি আর জোয়ার ভাটা খেলে ? আমি তো নেই প্রজাপতি পাখনা কি আর মেলে ? আমি তো নেই মেঘ কি আর তেমন রঙিন হয় ? আমি তো নেই আউশ খেতে হাওয়া কি আর বয় ? আমি তো নেই ছাগল ছানা লাফায় কি আর মাঠে ? আমি…
একা একা রণজিৎ মন্ডল মেঘলা কালো চুলের আড়ালে পটোল চেরা চোখের চাওনি, যেন নিপুণ শিল্পীর নিপুণ হাতে তুলির টানে আঁকা, মেঘরাশির ন্যায় কালো চুলে রূপ তাঁর ঢাকা! অবসণ্ণ আমি বিষণ্ণ বদনে, কালো মেঘে আবছা আলো আঁধারে জানালার ধারে, ভাত খাওয়া দুপুরে, আমি একা, চেয়ে থাকি, শুণশাণ রাস্তা, ফাকা আকাবাকা, আমি চেয়ে থাকি…
মিটলো কি… অশোক কুমার দাস ওগো সুরবালা গেঁথে ফুলমালা ভাসিয়ে দিলে নদীর জলে পুজোর ডালা। রাত জেগে গাঁথা শখের মালা কার আঘাতে কিসের জ্বালাতে ভাসালে নদীর এই প্রভাতে মিটলো কি তাতে ঘুচবে কি দিন রাতে খুলবে কি এই হাতে দেবালয়ের ওই তালা ? বলো সুরবালা… –~০০০XX০০০~–