আমার পুজো / জয়িতা হালদার ঘোষ / বাংলা ছোট গল্প / শারদীয়া সংখ্যা /

আমার পুজো জয়িতা হালদার ঘোষ       আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা মাত্র তারা চোখে পড়লো। তারপর আরো একটা , তারপর আরো একটা।এইভাবে হাজার হাজার তারাভরা আকাশটা যেন আপন হয়ে আমার কাছে এগিয়ে এলো। আমি শ্রীমতী আনন্দী রায়।কার্শিয়াং এর একটা হোটেলের ছাদে দাঁড়িয়ে সারা পৃথিবী থেকে নিজেকে আলাদা করে তারাদের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়ার নিষ্ফল চেষ্টা…

মা আসছে এবং প্রতিবিম্ব / অসিত ঘোষ / বাংলা কবিতা / শারদীয়া সংখ্যা /

মা আসছে অসিত ঘোষ     আসছে আসছে মা সাজছে সাজো প্রকৃতি আসছে নতুন কাপড় বাবা গেছে বাজারে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকি। মাটির ঘর গুলি সব করছে কাদামাটি গোলা তার উপরে আলপনা বছরের এই একবার। কত রকম গুড়ের লাড্ডু চিনির সঙ্গে নারকেল কোড়া। মুড়কি মিঠাই আর কত কি। ঠাকুর তলায় গিয়ে দেখি কখন ফোটাবে চোখ। মা…

বড় একা এবং কেহ কোথাও নাই / রণজিৎ মন্ডল / বাংলা কবিতা / শারদীয়া সংখ্যা /

বড় একা রণজিৎ মন্ডল       রাস্তা ফাকা, যতদূর চোখ যায়, আকা বাকা, কোরো নেই দেখা। জীবন যেন কাঁদিছে ঘরের কোনে, একা একা নিরজনে, রাস্তাগুলো যেন মৃত্যুর ফুলশয্যায় ঢাকা। কোথায় অকরুন ভালোবাসা, কোথায় দুখের কান্না সূখে হাসা, হারিয়ে গেছে সব গল্প মুখের ভাষা, ভেসে বেড়ায় আকাশে বাতাসে একটাই ছবি মাস্কে মুখ ঢাকা। শুধু অজানা…

দুঃখিনী মা এবং অবুঝ মন / মৃনাল কান্তি বাগচী / বাংলা কবিতা / শারদীয়া সংখ্যা /

দুঃখিনী মা মৃনাল কান্তি বাগচী     দশ মাস দশ দিন ধরে যাকে রেখেছিলো জননী জঠরে, সেই সন্তানই তাকে ঘর থেকে দিলো বের করে। নীরব অশ্রু জলে বক্ষ ভাসাইয়া, জননী ধীর পায়ে চলে হাঁটিয়া। কোথাও তার থাকার ঠাঁই নাই, অজানা উদ্দেশ্যে তার এই যাত্রা তাই। যে ছিলো তার নারী ছেঁড়া ধন, তার থেকে পাবে এই…

বোধনের ঘট ব্রাত্য এখন এবং শারদ পুজোর ঘ্রাণ / প্রেমাঙ্কুর মালাকার / বাংলা কবিতা / শারদীয়া সংখ্যা /

বোধনের ঘট ব্রাত্য এখন! প্রেমাঙ্কুর মালাকার     ফোটা কাশফুলে, ধবধবে সাদা, সবুজ কাশের বন; ওরাই করছে, শারদ পুজোর, পতাকা উত্তোলন! ভোরের শিউলি, ঘাসে ঝরেঝরে, বিছায় আস্তরণ ; দুব্বো বিছায়, পারসি গালচে, দুর্গার আগমন। অতি ঘটা করে, হবে মণ্ডপে, পুজোর উদ্বোধন! ফিতে কাটবার, ছলে আসবেন, বিখ্যাত লোকজন! আগেতো ছিলোনা, যুগের হুজুগে এলো এই আয়োজন ;…