প্রেতিনী ********* শ্যামাপ্রসাদ সরকার   এ নদীর বুকেতে জল নেই। কবেই ধূ ধূ চরা পড়ে গেছে। আর সেই নিষ্প্রাণ ভূমিতলটি ভাসছে এক মায়াবী জ‍্যোৎস্নায়।সাদাটে বালির ওপর এই চাঁদের আলো নেশা ধরিয়ে দেয়। নদীর একপাশে শ্মশান আর রঙ্কিনী দেবীর মন্দির। মাধু পাগলী তারই একপাশে কাঠ কুটো গুঁজে ঝোপড়া বেঁধে থাকে। মাধু
তিস্তা পারের রহস্য (আন্তিম পর্ব) সলিল চক্রবর্ত্তী  ডাইরিতে আর কিছু লেখা নেই। কারন সাধু বাবার জীবনে সেই সুযোগ আর আসেনি। সাধু বাবার লেখা শেষ কথা গুলো (হয় হাজার হাজার অতৃপ্ত আত্মার মুক্তির ব্যবস্থা করব,নয়তো নিজেই অতৃপ্ত আত্মা হয়ে ইহলোকে মুক্তির আশায় ঘুরে বেড়াব।)  কয়েকবার পড়ে অরুন রায়ের চোখ ফেটে কখন
দিনান্তে কাকলি ঘোষ গাড়ি থেকে নেমে সাইনবোর্ডটা দেখলেন লাবণ্য। শেষের কবিতা। আহা! মুগ্ধ হলেন আবারও! শুধু নামটা শুনেই ঠিক করেছিলেন এখানেই আসবেন। বৃদ্ধাশ্রমের এর থেকে উপযুক্ত নাম আর হয়? চমৎকার পরিবেশ। দুপাশে কেয়ারি করা মরশুমী ফুলের মাঝখান দিয়ে লাল মোরাম বিছানো পথ শেষ হয়েছে একসারি শ্বেত পাথরের সিঁড়িতে। ওপরে সুসজ্জিত,
অরুণবাবুর কপাল ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়   অরুণবাবুকে তোমরা চেনো তো?সেই যে গো লম্বা শ্যামলা লোকটা।ওকে অবিশ্যি আমি অরুণ দা বলি।কতদিন বলে এবার বড়লোক হতেই হবে।আমি একদিন বলেও ছিলাম “চিন্তা কোরো না দাদা।এই নিষ্ঠা তোমাকে সঠিক পথ দেখাবেই। অরুণ দা বিয়ে করেছিল সতের বছর বয়সে।বলা নেই কওয়া নেই পাড়ার একটা মেয়েকে নিয়ে
সমুদ্রের সেই দিনগুলি (সপ্তম পর্ব) ✍️ শিব প্রসাদ হালদার গভীর নিম্নচাপে অবিশ্রান্ত বৃষ্টিতে এই সময় সমস্ত এলাকায় জল জমতে থাকে।পরের দিন আরও বেড়ে যায়।২৪শে সেপ্টেম্বর রাত্রের বৃষ্টিতে আমাদের বাড়ির বারান্দা ছুঁইছুঁই।চারিদিকে জলে থৈথৈ করছে।ছেলে আটকে পড়লো মাঠকল তার বন্ধু পিন্টুদের বাড়িতে। ফোন করে রাত্রে আসতে নিষেধ করলাম।তবুও জলের প্লাবনে ঘরেতে