তালপাতার পাখা (দ্বিতীয় পর্ব) ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় আজ রান্না চাপাতে দেরী হল শেতলার। এক ঝুড়ি কাঠখড়ি কুড়িয়ে এনে ভাত বসালে। বড়ো তিজেল হাঁড়িতে টগবগ করে ফুটছে ভাত। এর ফাঁকেই ছুটে চলল ঠাকুরঝি পুকুরে। এই পুকুরের একটা ইতিহাস আছে। সেই কবে কোন জমিদার গিন্নি তার ঠাকুরঝিকে এখানে ডুবিয়ে মেরেছিল। দুদিন আগে তালপাতা
আনন্দ রূপং অমৃতম্ যদ্বিভাতি ……………………………………… শ্যামাপ্রসাদ সরকার ১৮৮২, ৫ই অগস্ট একটি মনোরম সন্ধ্যাকাল। ইতিহাস বদলাচ্ছে একটু একটু করে। গঙ্গার পাশে ইংরেজের কেল্লার পাশাপাশি বাগবাজারে বলরাম বসুর বাড়িতেও একটি কেল্লা তৈরী হচ্ছে। আর সেখানকার সৈন্যসামন্তরাও সব প্রস্তুত হচ্ছেন আগামীদিনের ভারতবর্ষের জন্য। এদের মধ্যে লালচক্ষু রোহিত মৎস্যের মত একটি যুবক সবার
অমলের সেকাল ও একাল বাসুদেব চন্দ *****১৯১১***** দইওয়ালা- দই….দই… ভালো দই….! অমল- দইওয়ালা, দইওয়ালা, ও দইওয়ালা..…! দইওয়ালা- ডাকছ কেন? দই কিনবে? অমল- কেমন করে কিনব! আমার তো পয়সা নেই। -কেমন ছেলে তুমি। কিনবে না তো আমার বেলা বইয়ে দাও কেন? -আমি যদি তোমার সঙ্গে চলে যেতে পারতুম তো যেতুম। -আমার
আপনজন (সপ্তম পর্ব) কাকলী ঘোষ “ কিন্তু ধনাই যে বলত শিখা ওকে পছন্দ করে। ” “ ধুস । ওসব ওর বানানো কথা। শিখা অন্য কাউকে একটা পছন্দ করে। ” শুনেই বুকের ভেতর কেমন যেন গুড়গুড় করে উঠল ওর। কে সে? জানার বড্ড ইচ্ছে হচ্ছে। তবে ইচ্ছেটাকে ও মনের ভেতর চাপা
বর্বরতা স্বপ্না নাথ দেখেছি সেই বীভৎসতার রূপ, দেখেছি সেই রুধিরাক্ত কাল, বিগত সময়, ১৯৭১ সাল। হাতে নিয়ে প্রাণ, সনাতনীর মহা মিছিল, কোলে ভুখা শিশু, লোটা কম্বল, ত্রাসিত আননে শুধু বাঁচার সমাকুল। বর্বরতার কি নৃশংস চিত্র! এতদিনের সহযাপন, এত চেনা মুখ, একই রক্ত তবু, নয় কেউ মিত্র। শুধু ধর্মের কারণে— পারে