তালপাতার পাখা (শেষপর্ব) ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় কুসুমের শরীরে যখন যৌবন এল তখন প্রস্ফুটিত পদ্মের মতোই তার সৌন্দর্য। চুলে কেশুত পাতা ঘষে দিত ঠাগমা। কালো ভ্রমরের মতো চুল ,আয়ত চোখ। ফাল্গুন মাসে শিবরাত্রির ব্রত করে জল ঢালতে গিয়েছিল পলাশডাঙার টাটেশ্বর বাবার থানে। কী বিরাট মেলা বসেছিল। ওখানেই প্রথম দেখা হয়েছিল আশুতোষ এর
ক্ষত ——- শ্যামাপ্রসাদ সরকার   …’আচ্ছা দাদা আপনি ঠিক এখানে কোন বাড়ীটা খুঁজছেন বলুন তো?’ এতক্ষণ ধরে গোটা পাড়াটা যেন অচেনা লাগছে। লাল লাল রঙের সব কটা বাড়ীগুলোতে ইদানীং অন্য ফ্যাকাশে রঙের পোঁচ পড়েছে। এমনকি সামনের ফাঁকা জায়গাটায় আর আগের মত ক্রিকেট বা লুকোচুরি খেলেনা বাচ্চারা। বাবার হাতে পোঁতা সেই
রাজ-দর্শন বাসুদেব চন্দ রাজা প্রতাপ সেন দীর্ঘকাল রাজপাট শেষে আজ বড় ক্লান্ত, বড় বিধ্বস্ত! রাজাসন-রাজমুকুট কোনোটাই নিষ্কণ্টক নয়! বড় অস্থির এ-মন! সারাজীবন শুধু আধিপত্যের প্রতিযোগিতা আর পরিবার-প্রজাদের আশা পূরণের দায়! মন্ত্রীদের হিংস্র-অভিলাষ তলোয়ারের থেকেও ক্ষুরধার! একটু একা হওয়া তাই আজ বড় প্রয়োজন! কিন্তু এ-পাগলের প্রলাপ, রাজাকে ভিক্ষে দেবে এমন দুঃসাহস
আপন জন (অষ্টম পর্ব) কাকলী ঘোষ   ছিঃ ছিঃ এসব কথা কেউ বলে? ওর ধারণা ছিল শহরের লোকেরা ভদ্র সভ্য হয়।ওরা গ্রামে থাকে । ভাষার ঠিক থাকে না ওদেরই। এখন তো দেখছে উল্টো। কিন্তু কী করবে ? এদের সংগে লাগতে যাওয়াই বিপদ। ইদানিং লক্ষ্য করছে এক দুজন ছাড়া বাকিরা ওকে
ভাঙা-গড়া (Remarriage) বাসুদেব দাশ সংযুক্তা বণিক বাবা মায়ের এক মাত্র মেয়ে l খুব ছোট বেলা থেকেই ভীষণ আদর যত্নের মধ্যে দিয়ে বড় হয়েছেl বাবা ব্যাঙ্ক এ চাকরি করতেন আর মা স্কুলের টিচার l বাবা মা দুজনেই যেহেতু চাকরি করতেন তাই সংযুক্তাকে ছোট বেলা থেকে কাজের লোকের কাছে থাকে মানুষ হতে