কোথা ভেসে যাই শ্যামাপ্রসাদ সরকার ১) ….   জোয়ারের জল আর কিছুক্ষণের মধ্যে এসে বাগবাজারের ঘাটটিকে একটি নতুন দিনের জন্য নিয়ম করে মুক্তিস্নান করাতে চলেছে। শীতকাল সদ্য শেষ হয়েছে বলে চারপাশের দৃশ্যাবলী দিনের বেলা ইদানিং বেশ মনোরম । এরমধ্যে কয়েকটা কেরাঞ্চি গাড়ি তার ঘোড়াদের ক্ষুরের শব্দ উঠিয়ে চলে যেতেই দেখা
আপন জন (দ্বিতীয় পর্ব) কাকলী ঘোষ ওমা ! পরে খবর পেয়ে তো মাথায় হাত ! এটা একটা বিয়ে ! নাকি এটা একটা পাত্র ! শেষে ভূষণ নন্দীর মেজো ছেলে ওই মুখপোড়া ঘনশ্যামের সঙ্গে বিয়ে ! এই সম্বন্ধ ঠিক করেছে ওর ভাইয়েরা ! লোকটা টাকার কুমীর আর একই সঙ্গে দুশ্চরিত্র আর
ভিটের টানে (চতুর্থপর্ব) সলিল চক্রবর্ত্তী  “ভোরের হাওয়া জানিয়ে দিল, ফেলে যাওয়া সেই ভিটের টান”     অনুভূতিটা আমার সহধর্মিণীর। স্থান,কাল,পাত্র অতীতের স্মৃতিকে বর্তমানে ফিরিয়ে আনে। ভোর পাঁচটায় এ সি লাক্সারি রকেট সার্ভিস বাস এসে দাঁড়াল খুলনার সাতক্ষীরা বাস স্ট্যান্ডে । এটি একটি মফস্বল শহর। বাস থেকে নামতেই একটা ফুরফুরে শিতল মনোরম বাতাস
লড়াই (তৃতীয় পর্ব) ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় একটু আগেই যে চিন্তার মেঘ গোটা বাড়িতে ঘনিয়ে ছিল হঠাৎই তা উধাও। খেতে বসে বাবা বললে “সামনের মাসে মাইনে পেলে আগে জানালার কপাট লাগাব।এমন করে কী থাকা যায়! সবাই হাসলেও মা চুপ করে রইল। বাবা বলল “কিছুই বললে না যে”? মা মৃদু হাসলে। বললে “যা
★দরশন★ কর্ণ শীল (১) স্বচ্ছসলিলা ভাগীরথীর তীরবর্তী একটি মন্দির। বহিড়াম্বর তাহার নাই। অষ্টোত্তর শতসংখ্যক মৃৎপ্রদীপ জ্বলিতেছে মন্দিরের দালানে। রাজবাটী হইতে কিয়ৎ দূরত্বে অবস্থিত হওয়ায়, পথচারী তথা সাধারণ মনুষ্যের সমাগম নাই। মৃদু বাতাস বেণুবনের মাথা আন্দোলিত করিতেছে। যেন উহারা চন্দ্রদেবের চামর। উত্তর -পূর্বে কোলদ্বীপ। তাহার পশ্চিমপ্রান্ত স্পর্শ করিয়া জাহ্নবী ছুটিয়া গিয়াছে