চিরাগনামা শ‍্যামাপ্রসাদ সরকার     উৎসর্গ : আমার মাতৃকূলের ধারাপতনে পাওয়া মজুমদার ও সরকার পদবীর সকলের জন‍্যই…   (১) ” যতই ভাবি করব মানা কাম ছাড়ে না … মদনে ও….সাঁই….তবে আমি প্রেমরসিক হব কেমনে?” অনেকক্ষণ থেকে একটাই কলি গেয়ে এবার বৃদ্ধ ফকিরটি একটু থামল। তারপর একট মাটির বদনাতে করে খানিকটা
হাড়োল কাকলি ঘোষ     এই দুপুরের সময়টা সাধারণত কেউ আসে না। থানা ফাঁকাই থাকে। বাইরে কনস্টেবল রাম সিং চেয়ারে বসে ঝিমোয়। ভেতরেও কেউ কেউ টেবিলে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে যায়। আগে এই সময়টা ভেতর বাড়িতে গিয়ে ভাত খেয়ে গিন্নির পাশে শুয়ে এক ঘুম দিয়ে নিতেন এস. আই. অমিয় পাত্র। কিন্তু
আগুন পাখি অনিমেষ চ্যাটার্জী ***********   আগুন পাখিটা ঘুম ভেঙে হঠাৎ গা ঝাড়া দিলে, পালকে পালকে ঝরে বিপ্লব। পাখির কঠিন ঠোঁটে চমকায় বেয়নেট, কর্কশ কণ্ঠের উল্লাসে সাইরেন, দৃপ্ত পদক্ষেপে সাঁজোয়া গাড়ির গতিবেগ। ডানা মেলে দিলে গুমরে ওঠে মেঘ, আতঙ্কে মুখ ঢাকে আকাশ, লাখে লাখে ওড়ে বোমারু বিমান। প্রতি নিশ্বাসে বিষ,
উদাস মন ✍ কলমে : অনিমেষ চ্যাটার্জী ফাগুনবেলায় কাজের ফাঁকে বাঁশিতে ডুবেছে মন, নিরালা ঘরের এই কোণ। পশ্চিমের জানলা পেরিয়ে, শেষ বেলার এক চিলতে রোদ লেগেছে গায়ে, মন বুঝি বা উদাস পানে ধায়। একান্ত মুহূর্তের টানে অলস মন সঙ্গী করে প্রয়াসের লেখা পাতাটি সামনে খোলা, হরেক তাতে হরফমালা। মোহময় পরিবেশ,
সেই মায়েদের ব্যথা ✍️শিব প্রসাদ হালদার     গর্ভে ধরার তৃপ্তি শেষে যে জননীর যন্ত্রণা কান পাতলেই যায় শোনা,সভ্য সমাজেও আলোচনা বুক ভরা ব্যথা নিয়ে, দিন কেটে যায় নীরবে সুপ্ত ব্যথা লুপ্ত হবে, কেউ জানে না তা কবে– ! মন চাইলেও যায়না বলা- কুরে কুরে খায় সন্তানের মঙ্গলার্থে- মন যে