মাতৃভাষা শ্যামাপ্রসাদ সরকার   ছোটবেলায় শেখা সেই বুলি,বেরিয়ে আসছে ক্রমে জিহ্বামূলেতর্জনী শাসন করছে ঐতিহ্যকেই!তার কাছে মাথা নীচু করে বসি,আবেগের নাম তার কাছে বাংলাই। হেমন্তে লাজুক সন্ধ্যা স্পর্শ করে,হিমঘ্ন সন্ধ্যাকালে শিশিরে ভিজিয়ে,সে দেয় অনুষ্টুপ আলোই। তার ডাকে গতজন্ম কেটে,এজন্মে দিব্যি সংযোগভোগ!পরের জন্মে যদি উদাসী আকাশতলায়একা সে জিহ্বায় যেন দেয় চন্দনের ঘ্রাণ!
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানোএকুশে ফেব্রয়ারিআমি কি ভুলিতে পারি!!   একুশ কাকলি ঘোষ   একুশ মানে বিপ্লবআর বিদ্রোহের_ ই বানএকুশ মানে ফুল পাখি নয়রক্ত ঝরা গান। একুশ হল আগুন ফাগুনকালবোশেখি ঝড়একুশ মানে ই অত্যাচারীরকণ্ঠ চেপে ধর। আমার একুশ মায়ের ভাষামায়ের গাওয়া গানআমার একুশ তপ্ত বুলেটঝাঁঝরা করে প্রাণ। একুশ আনে বেপরোয়াযৌবনের_ ই
অহংকার জলধর (সলিল চক্রবর্ত্তী)   হৃদয় মাঝে প্রবেশ করি-হৃদয়েরী অলক্ষে,প্রকাশ কালে জ্ঞাত হই –অকস্মাৎ আচম্বিতে। হৃদয় মাঝে সদাই ঘুরি-নরক আমার ধাম,আগুনে পুড়ুক বা মাটিতে মিশুকঅবিনশ্বর আমার প্রাণ। মনুষ্যত্ব যায় রসাতলেমনুষ্য হস্ত ধরিয়া,মদেতে মত্ত মনুষ্য জাতি-অহম করিতে মরিয়া। এ ধরায় কারোর কিছুই নেই-যাহাই দেখ ,সবই মায়া,একদিন সবই ছড়িয়া যাইবে-চরম সত্য ইহা।
অঘটন নবু   বৃষ্টির সুর নুপুরের সুর –মিলেমিশে একাকার,এই বাংলায় এত অঘটনকে করে তার প্রতিকার? সবাই তো বলে আমি আছি পাশে –গরিবের মৃত্যু শুনে আশ্বাসে।বেকার যুবক হেথা হোথা ঘোরেএকটা কি চাকরি কেউ দিতে পারে? রাজনীতি করো মিছিলেতে যাওসুযোগ পেলে লুটেপুটে খাওআরো ভালো হয় কিছু ভাগ দাওভাঙ্গা বলে ভেঙে দাওঅট্টালিকা তোলোফ্ল্যাট
// একুশ মাতৃভাষা // ✍ অনিমেষ চ্যাটার্জী   অতীত চিঠির একুশে কলমঅতীতের ছোঁয়া থাক,ভালবাসা বুকে একুশ দিয়েছেভাষা দিবসের ডাক। তোমার ভাষা আমার ভাষাআজ মিশে গলাগলি,যে ভাষা প্রথম মা চেনালোসে ভাষায় কথা বলি। একুশ মানে প্রাণের আবেগমাঝি বাউল চাষাএকুশ মানে প্রাণেরই টানবাংলা মায়ের ভাষা। মনের গোপন যত অনুভূতিযে ভাষায় প্রাণ পায়,তারই