অনুত্তমা ✍ শ্যামাপ্রসাদ সরকার         দ্বিপ্রহর হইতে প্রবল বর্ষণে বেত্রবতী তীরস্হ প্রাচীন জনপদটি এক্ষণে প্রায় জলমগ্ন। দূরদূরান্ত হইতে ভেকের কলস্বরের শব্দ ক্রমাণ্বয়ে বারিধারার সহিত উচ্চরোলে বাজিতেছে। পথঘাট জনশূন‍্য। নিশিবাসরের রসিকগণ আজ অনুপস্থিত। পল্লীর স্কন্ধাবারে দীপ সকল ক্রমে স্তিমিত হইয়া আসিতেছে। নৃত‍্যপটিয়সীনী মালবিকা আর তাহার সখীবৃন্দ তা লইয়া
ঢেউ ✍ ড. মদন চন্দ্র করণ (বিদ্যা লঙ্কার )     একটি সাহিত্য ঢেউ.. আছরে পড়ুক নীরস জীবনে কয়েকটি শব্দের ঢেউ মায়া চরে বসে আছি.. ক্ষুধা বেকার অশান্তি অসুখ সুজনী সাহিত্য শিল্প দিতে পার কেউ? ভেসে গেছি ফেঁসে গেছি.. নদী পাড় ভাঙে মন ভাঙে সংসার মনে হয় ব্যর্থ জীবন মিছে
অদেখা আলোয় ✍ ইন্দ্রানী চক্রবর্ত্তী     আকাশে কোথায় তুমি নীরব? রাতের অভিমানী চাঁদ, এ বুঝি আলো-ছায়ার খেলাঘরে অমাবস্যার রাত। চারিদিকে শুধু ম্লান বিষন্নতার নিকষ কালো কারা যেন ওই জ্বেলেছে প্রদীপের শুভেচ্ছার আলো। আলোকমেলায় সেজেছে এ বাস্তবের শহর চোখের তারায় জেগেছে অলীক স্বপ্নের ঘোর। চেনা শহর লাগছে এ কোন মায়াবী
জীবন যাত্রাপালা ✍ সুপ্তোত্থিতা সাথী       ব্যথা তোর কোমর অবধি জল কান্নাবাড়ির বারান্দাতে আগুনেরা চঞ্চল গুনতে পারিস বেশ,আগুন কেমন ছাই হয়ে যায়- পুড়ছে ফিনিক্স,কাঁদলেই ব্যথা শেষ! জ্বরের ঘোরে ছটফটানি,বাচ্চা সুলভ মন মন! ওসব বস্তাপচা,মরণের ডাক শোন এক্কা,দোক্কা-অনেক হল,বৈঠা বাইবি কত! বুকের পাহাড় কাটতে কাটতে মন আজ বিক্ষত ব্যালকনিতে
খাট ✍ সুতপা বিশ্বাস ঘোষ         এখন সকাল দশটা। এক এক করে সব জিনিসপত্র লোকগুলো বাইরে বের করে নিয়ে যাচ্ছে। আমি তাকিয়ে দেখছি, মনে হচ্ছে যত তাড়াতাড়ি এই বিরক্তিকর কাজটা শেষ হয়, ভালো হয়। এমনিতেও সন্ধ্যা সাতটা পনেরোর ফ্লাইট ধরব, খুব বেশিক্ষন থাকতেও পারব না। একটা থেকে