“অভিনয়” –:: ইন্দ্রানী বন্দ্যোপাধ্যায় ::– বালির পঞ্চানন তলার কাছেই যেখানে বিষহরির মাদুলি আর কবচ বিক্রি হয় তার উত্তরদিকে লাল রঙের দোতলাটা আমাদের যতীন দার। যতীন দা মানে যতীন গুহ। খুব ই নিরীহ। যাকে বলে একেবারে গোবেচারা। লম্বা সুড়ুঙ্গু দেহে হাড়ের উপর চামড়া জড়ানো যতীনের নাকটি অনেকটা টিয়াপাখির
“ইন্টারভিউ” –:: ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় ::– কালরাতে স্বপ্ন দেখেছি আমি হয়েছি সাংবাদিক পথে যেতে যেতে হঠাৎ দেখা হল ঈশ্বরের সাথে। আমাকে দেখে মুচকি হাসলেন। আমি তো প্রভুকে সামনে পেয়ে আহ্লাদে তাঁকে প্রণাম করলাম। আমার ক্যামেরা টা দেখিয়ে বললেন ছবি তুলবে না। আমি তাঁর ইন্টারভিউ নেবো বলতেই তিনি রাজি। প্রথমেই
“মধুরেণ” ********* –:: শ্যামাপ্রসাদ সরকার ::– রোববারের সকালে জলখাবারে লুচি নেই ! কুরুক্ষেত্র বাঁধতে বাকী থাকে শুধু। মালতীর মা চিনি ছাড়া লাল চা আর দুটো ব্রাউন ব্রেডের মাখনহীন নির্জীব টোস্ট নামিয়ে রেখে চলে যেতে যেতে বলে ‘বৈদি এডাই দিতি বলিছে!’ সর্বনাশের মাথায় পা ! পদে থাকলে কোর্টমার্শাল করতেন
“বসবাসহীন” 🌿🌿🌿🌿🌿 –:: প্রাপ্তি মুখোপাধ্যায় ::– আলাহিয়া বিলাবল থামলে, অবেলার রোদ্দুর অনিয়ম এনে দেয় বেশ ! আশ্বিন পিঠে করে বাক্সবাদামের গাছগুলো মাঝে মাঝে হুঁশিয়ারি দেয়। তখন কাদের ঘরে বৃন্দাবনী সারং বেজে ওঠে। ছাদের আলসে ধরে এখানে ওখানে অবাঞ্ছিত শেকড়ের শ্রেণীসংগ্রাম কিম্বা একপেশে অবৈধ বসবাস। পশ্চিমমুখে দাঁড়ালে একটা ছাপোষা
“থেকে যাব” ————— –:: শ্রী সেনগুপ্ত ::– অবশেষ টুকু থেকে যাব কোনো চরিত্রের সাথে মিশে। গল্প হোক বা কবিতা কিম্বা উপন্যাসে। থেকে যাবে কিছু ব্যর্থ প্রতিশ্রুতি আয়না জুড়ে ক্ষয়ে যাওয়া মধুর সব স্মৃতি। জমবে অনেক অনাসক্ত ধুলো একই রকম জ্বলবে প্রদীপ সম্মোহনী আলো। প্রতিদিনের তুচ্ছ কথারা টুথব্রাশে রুমালে।