### “প্রায়শ্চিত্ত পর্ব (৪)” ### ¤●¤●¤●¤●¤●¤●¤●¤●¤ –:: সপ্তদ্বীপা অধিকারী ::–       ভালোবাসা হীন, ঘৃণাহীন এক অনুভূতির নির্মোচন হয় জানি আমি পৃথিবীর বায়ুস্তর একা হয়না কখনো… চেয়েছি কিংবা না চেয়েছি বলে নয় ঘূর্ণনের নিপুণ আবেশে যতবার গড়ে তোলো কুম্ভকার মিথ বারে বারে ততবারই মৃত, মৃত নিষ্প্রাণ এক অবয়ব পরে
“বাঁচার লড়াই” –:: প্রণতি ভৌমিক ::–     শোক দগ্ধ বটগাছটা ক্রমাগত মাটি আঁকড়ে ধরতে চারদিক থেকে তার ঝুড়ি নামাতে থাকে। উচ্ছেদের ভয়ে ঝুড়ির ডালে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে চায়। প্রতিদিন একটা একটা করে বয়স্ক বাড়িগুলোকে যেভাবে যন্ত্রদানব গুঁড়িয়ে দিচ্ছে মাটির সাথে। নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার শত চেষ্টা হার মানছে দানবের
“ডাক” –:: প্রবীর ভৌমিক ::–     সকাল থেকে ডাকছি দেখো বিকেল থেকে ডাকছি ঘুমের ভিতর আসছি যেমন মনের ভিতর ভাঙছি সহস্র দল পদ্ম ছিঁড়ে পাতাল বেয়ে নামছি। যৎ সামান্য রেশম বাধা অবশিষ্ট সমুদ্দুরের ফেনা এসব খেলা ক্লান্ত হয়ে উৎস সন্ধানে তোমায় আমি ডাকছি সকাল থেকে বিকেল থেকে… রাত্রি ব্যাপি
“নক্সীকাঁথা” –:: ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় ::–     একটা নক্সীকাঁথা বুনবো যেমন করে সাজু বুনেছিল রূপাই কে না পাবার বিরহগাথা। আমিও তেমনি করে বুনে যাবো নক্সীকাঁথা। চিরবিরহী মানব হৃদয় দুঃখের দাবানলে পুড়ে মরে যুগ থেকে যুগান্তরে। একটা নক্সীকাঁথা বুনবো যাকে পরশ করলে তোমরা শুনতে পাবে আমার ব্যথিত হৃদয়ের কান্না। যেমন করে
খোঁজ ****** –:: শ্যামাপ্রসাদ সরকার ::–       দেশ বিভাগের কয়েকবছর পরেই আমার ঠাকুর্দা তাঁর তিনটি সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে এপারে চলে আসতে বাধ্য হন। ঠাকুমার কাছে শুনেছি তাহের শেখ, যে আমাদের ডাব পেড়ে দিত, একরাত্তিরে সটান রান্নাঘরে ঢুকে এসে ঠাকুমাকে সাবধান করে গেছিল। একজন মুসলমান যখন সেকালে এক